• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৬, ২০২০, ০৩:৪৩ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জানুয়ারি ২৬, ২০২০, ০৩:৪৩ পিএম

গর্ভের শিশুর লিঙ্গ প্রকাশ বন্ধে হাইকোর্টে রিট

গর্ভের শিশুর লিঙ্গ প্রকাশ বন্ধে হাইকোর্টে রিট
ছবি- সংগৃহীত

মায়ের গর্ভে থাকা শিশুদের লিঙ্গ পরিচয় প্রকাশ বন্ধে হাইকোর্টে একটি রিট আবেদন করা হয়েছে। রোববার (২৬ জানুয়ারি) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় আইনজীবী ইশরাত হাসান এ রিট দায়ের করেন।

গর্ভবতী নারী ও অনাগত সন্তানের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে এই রিট করা হয়েছে বলে গণমাধ্যমকে জানান তিনি।

বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে এই রিট আবেদনের ওপর শুনানি হতে পারে।

গত ১ ডিসেম্বর গর্ভবতী নারী ও অনাগত সন্তানের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে পেটের শিশুদের লিঙ্গ পরিচয় জানার উদ্দেশে পরীক্ষা ও লিঙ্গ পরিচয় প্রকাশে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়।

ইশরাত হাসান স্বাস্থ্য সচিব, নারী ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব ও সমাজ কল্যাণ সচিবকে এ নোটিশ পাঠান।

নোটিশে তাদেরকে তিন দিনের মধ্যে সকল সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল, ডায়াগনস্টিক, ক্লিনিকের কর্তৃপক্ষকে পেটের শিশুদের লিঙ্গ পরিচয় জানার উদ্দেশে পরীক্ষা ও লিঙ্গ পরিচয় প্রকাশ বন্ধ করতে নির্দেশনা জারি করতে বলা হয়।নোটিশের জবাব না পাওয়ায় এ রিট দায়ের করা হয়েছে।

আইনজীবী ইশরাত হাসান বলেন, আমাদের দেশে এখনো বেশির ভাগ মানুষের ছেলে সন্তানই কাম্য। কারণ তারা মনে করেন, ছেলেরা বংশের ধারক, তারা বেশি শক্তিশালী ও আয় বেশি করে। এমন কি অনেক মহিলাও মনে করে ছেলে সন্তান তাদেরকে ভবিষ্যতে সুরক্ষা দিবে।
এ অবস্থায় যদি পরীক্ষার মাধ্যমে পেটে থাকা সন্তানের লিঙ্গ পরিচয় জানা যায় এবং তা মা-বাবার কাঙ্ক্ষিত না হলে গর্ভবতী মায়ের শারীরিক ও মানসিক অবস্থার উপর প্রভাব ফেলে। মা যদি হতাশায় ভুগে তবে বাচ্চার ব্রেইনের গঠন/বিকাশ ঠিকভাবে হয় না। চীন-ভারতসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পেটে থাকা সন্তানের লিঙ্গ পরিচয় প্রকাশের ওপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তাই বাংলাদেশে নারী ও শিশুদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে পেটের শিশুদের লিঙ্গ পরিচয় প্রকাশ বন্ধ হওয়া জরুরি।

তিনি বলেন, গর্ভবতী মা ও শিশুর সুস্থতা জানতে তারা যেকোনো পরীক্ষা করতেই পারেন। কিন্তু শুধু পেটে থাকা সন্তান ছেলে না মেয়ে তা জানার উদ্দেশে ডাক্তারি পরীক্ষা বা ডাক্তারি পরীক্ষার রিপোর্টে লিঙ্গ পরিচয় প্রকাশ কোনো ভাবেই কাম্য নয়।

এমএ /বিএস