• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২০, ০৭:৪৫ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২০, ০৭:৪৫ পিএম

বিসমিল্লাহ গ্রুপের এমডি ও তার স্ত্রীকে ধরতে রেড অ্যালাট

বিসমিল্লাহ গ্রুপের এমডি ও তার স্ত্রীকে ধরতে রেড অ্যালাট

বিসমিল্লাহ গ্রুপের এমডি খাজা সোলেমান আনোয়ার চৌধুরী ও তার স্ত্রী ও গ্রুপের চেয়ারম্যান নওরীন হাবিবসহ ৭ পলাতক আসামিকে ধরতে রেড অ্যালার্ট জারি করেছেন হাইকোর্ট।

এই বিষয়ে আইজিপি, র‍্যাব ও ডিআইজিকে আগামী ৫ এপ্রিল ( গৃহীত পদক্ষেপ জানতে বলেছেন হাইকোর্ট।

মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামি এসএম সোয়েব উল কবিরের আপিলের মধ্যে জামিন শুনানির সময় এই আদেশ দেন। 

২০১৮ সালের ১০ সেপ্টেম্বর অর্থ পাচার মামলায় বিসমিল্লাহ গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও চেয়ারম্যানসহ ৯ জনকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড দেন ঢাকা বিশেষ জজ আদালত-১০। পাশাপাশি আসামিদের ৩০ কোটি ৬৭ লাখ ২৩ হাজার ৩৭৩ টাকা অর্থদণ্ডও দেয়া হয়। 

দুর্নীতি দমন কমিশন সূত্র বলছে, ব্যাংকিং খাতের আরেক আর্থিক কেলেঙ্কারি বিসমিল্লাহ গ্রুপের প্রায় ১ হাজার ২০০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ১২ মামলায় ৫৪ জনকে আসামি করে দুদক। ১২টি মামলার সব কটিতেই বিসমিল্লাহ গ্রুপের পরিচালক খাজা সোলেমান চৌধুরী আসামি।

দুদকের অনুসন্ধান প্রতিবেদনে বলা হয়, বিসমিল্লাহ গ্রুপ ও এর সহযোগী প্রতিষ্ঠানগুলো মিলে মোট ১ হাজার ১৭৪ কোটি ৪৬ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছে। এর মধ্যে ফান্ডেড দায় (স্বীকৃত বিলের বিপরীতে) ৯৯০ কোটি ৩ লাখ টাকা এবং ননফান্ডেড অর্থের পরিমাণ ১৮৪ কোটি ৪৩ লাখ টাকা।

বিসমিল্লাহ গ্রুপ জনতা ব্যাংকের ভবন করপোরেট শাখা থেকে ফান্ডেড ৩০৭ কোটি ৩৮ লাখ টাকা ও ননফান্ডেড ২৫ কোটি ৫৩ লাখ টাকা, মগবাজার শাখা থেকে ১৭৭ কোটি ১০ লাখ ফান্ডেড ও ননফান্ডেড এক কোটি ৬০ লাখ টাকা এবং এলিফ্যান্ট রোড শাখা থেকে ফান্ডেড ১৫ কোটি ৩৪ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছে।

এ ছাড়া প্রাইম ব্যাংক মতিঝিল শাখা থেকে ফান্ডেড ২৬৫ কোটি ৪০ লাখ ও ননফান্ডেড টাকা ৬১ কোটি আট লাখ, প্রিমিয়ার ব্যাংক মতিঝিল শাখা থেকে ফান্ডেড ২৩ কোটি ২২ লাখ ও ননফান্ডেড ৩৯ কোটি ৩১ লাখ টাকা, যমুনা ব্যাংক লিমিটেডের দিলকুশা শাখা থেকে ফান্ডেড ১০৮ কোটি ৪৪ লাখ ও ননফান্ডেড ৪৬ কোটি দুই লাখ টাকা এবং শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেডের ইস্কাটন শাখা থেকে ৯৩ কোটি ১৫ লাখ টাকা ফান্ডেড ও ১০ কোটি ৮৯ লাখ টাকা ননফান্ডেড হিসাবে অর্থ আত্মসাৎ করেছে।

এসএমএম