• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১০ মে, ২০২৪, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: নভেম্বর ৮, ২০১৮, ০৫:২৮ পিএম

নাইকো মামলার শুনানি মুলতবি ঘোষণা

নাইকো মামলার শুনানি মুলতবি ঘোষণা

 

পুরান ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থাপিত ৯ নম্বর বিশেষ জজ আদালতে অভিযোগ গঠনের আংশিক শুনানির পর নাইকো দুর্নীতি মামলার অভিযোগ গঠনের শুনানি আগামী বুধবার (১৪ নভেম্বর) পর্যন্ত  মুলতবি করেছেন আদালত। বুধবার (৭ নভেম্বর) বিচারক এ আদেশ দেন। 

এর আগে বেলা ১১টা ২০ মিনিটে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি প্রধানকে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে কালো রঙের একটি গাড়িতে করে নিয়ে যাওয়া হয়।১১টা ৩৫ মিনিটে খালেদাকে বহনকারী গাড়িটি কারাগারে প্রবেশের পর পৌনে ১২টার দিকে তাকে কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থাপিত ৯ নম্বর বিশেষ জজ আদালতে তোলা হয়। 

আগে এই মামলার বিচার কার্য সম্পাদন করা হতো বকশীবাজার আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থপিত আদালতে। বৃহস্পতিবার আসামিদের বিরুদ্ধে শুনানি শুরু হওয়ার আগে বুধবার (৭ নভেম্বর) কারাগার ভবনে অস্থায়ী এজলাস বসানোর আদেশ জারি হয়।
খালেদা জিয়া ছাড়াও নাইকো দুর্নীতি মামলার অন্য আসামিরা হলেন- সাবেক আইনমন্ত্রী ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেন, সাবেক সচিব মো. শফিউর রহমান, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সি এম ইউছুফ হোসাইন, ঢাকা ক্লাবের সাবেক সভাপতি সেলিম ভূঁইয়া, সাবেক মুখ্য সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন ও নাইকো’র দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ।

সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় ২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর কানাডিয়ার কোম্পানি নাইকোর সঙ্গে অস্বচ্ছ চুক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রের বিপুল পরিমাণ আর্থিক ক্ষতি ও দুর্নীতির অভিযোগে খালেদা জিয়াসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে তেজগাঁও থানায় মামলাটি দায়ের করা হয়। মামলাটি করেন দুদকের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ মাহবুবুল আলম ।

২০০৮ সালের ৫ মে খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করেন দুর্নীতি দমন কমিশনের সহকারী পরিচালক এস এম সাহেদুর রহমান। এতে প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকার রাষ্ট্রীয় ক্ষতির অভিযোগ আনা হয়।

উল্লেখ্য, গত ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ৫ বছর সাজা প্রাপ্ত আসামি  খালেদা জিয়াকে পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে রাখা হয়। গত ৬ অক্টোবর চিকিৎসার জন্য বিএসএমএমইউতে আনা হয় তাকে। এরমধ্যে ২৯ অক্টোবর খালেদা জিয়াকে চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় সাত বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।তিনি হাসপাতালের ভিআইপি কেবিনে চিকিৎসা নিচ্ছিন।

এসসি/ জেডএস