• ঢাকা
  • বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২০, ১২:২৯ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২০, ১২:২৯ পিএম

রিফাত হত্যাকাণ্ডে স্ত্রী মিন্নির ভূমিকা কী, উত্তর মিলবে কাল 

রিফাত হত্যাকাণ্ডে স্ত্রী মিন্নির ভূমিকা কী, উত্তর মিলবে কাল 

দিন দুপুরে প্রকাশ্যে বরগুনায় রিফাত শরীফকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এই দৃশ্য দেখে দেশের মানুষ। এরপর প্রতিবাদে কেঁপে উঠে পুরো দেশ। দাবি তোলা খুনিদের বিচারের। কয়েকদিন পর খুনের ঘটনায় আটক মূল আসামি পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়। এদিকে, আগামীকাল (৩০ সেপ্টেম্বর) এই বহুল আলোচিত হত্যাকাণ্ড মামলার প্রাপ্তবয়স্ক ১০ আসামির রায় ঘোষণা করা হবে। 

মামলার আসামিরা হচ্ছেন- রাকিবুল হাসান ওরফে রিফাত ফরাজী (২৩), আল কাইয়ুম ওরফে রাব্বি আকন (২১), মোহাইমিনুল ইসলাম সিফাত (১৯), রেজোয়ান আলী খান হৃদয় ওরফে টিকটক হৃদয় (২২), মো. হাসান (১৯), মো. মুসা (২২), আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি (১৯), রাফিউল ইসলাম রাব্বি (২০), মো. সাগর (১৯) ও কামরুল হাসান সায়মুন (২১)।

গত ১৬ সেপ্টেম্বর বরগুনা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আছাদুজ্জামান এই তারিখ ঘোষণা করেন।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, রিফাত হত্যা মামলার প্রাপ্তবয়স্ক ১০ আসামির বিরুদ্ধে ৭৬ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে এক আসামির পক্ষে সাফাই সাক্ষ্য গ্রহণ করেন আদালত। এরপর সকল আসামির পক্ষে বিপক্ষে আদালতে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন সংশ্লিষ্ট আইনজীবীরা। গত ১৬ সেপ্টেম্বর নিহত রিফাতের স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নিকে নির্দোষ প্রমাণের জন্য আদালতে উপস্থাপিত যুক্তিখণ্ডন শেষে এ রায়ের দিন ধার্য করেন আদালত।

এ প্রসঙ্গে নিহত রিফাতের বাবা আব্দুল হালিম দুলাল শরীফ বলেন, আদালতের ওপর আমার আস্থা আছে। আশাকরি আমি আমার ছেলে হত্যার ন্যায় বিচার পাবো। এ ঘটনার মাস্টার মাইন্ড আমার ছেলের সাবেক স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নির সর্বোচ্চ শাস্তি হবে বলে আমি আশা করি।

তবে চাঞ্চল্যকর এই হত্যাকাণ্ডে স্ত্রী মিন্নির ভূমিকা কী? উত্তর মিলবে আগামীকাল আদালতের রায়ে। মাত্র এক বছর তিন মাসে শেষ হচ্ছে আলোচিত এই মামলার বিচার কাজ রিফাতের পরিবারের দাবি, হত্যাকাণ্ডের মূলহোতা মিন্নি। আর রিফাতের স্ত্রী মিন্নির পরিবারের দাবি সে নির্দোষ।

উল্লেখ্য, গত বছরের ২৬ জুন সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে রিফাত শরীফকে সন্ত্রাসীরা প্রকাশ্যে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। পরে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বিকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। এ ঘটনায় রিফাতের বাবা দুলাল শরীফ বাদী হয়ে ১২ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতনামা সাতজনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন।পরে গত ২ জুলাই ভোররাতে মামলার প্রধান আসামি নয়ন বন্ড পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হন।

জাগরণ/এমবার