• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: অক্টোবর ১২, ২০২০, ০৫:৫৯ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : অক্টোবর ১২, ২০২০, ০৫:৫৯ পিএম

পাপিয়া ও তার স্বামীর রায় নিয়ে যা বললেন আইনজীবীরা

পাপিয়া ও তার স্বামীর রায় নিয়ে যা বললেন আইনজীবীরা

অস্ত্র আইনের মামলায় নরসিংদী জেলা যুব মহিলা লীগের বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক শামীমা নূর পাপিয়া ও তার স্বামী মফিজুর রহমান সুমনকে ২০ বছর সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া, গুলি উদ্ধারের মামলায় তাদের আরও ৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

সোমবার (১২ অক্টোবর) দুপুরে ঢাকা মহানগর ১ নম্বর স্পেশাল ট্রাইব্যুনালের বিচারক কেএম ইমরুল কায়েশ এ আদেশ দেন।

 
রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছে রাষ্ট্রপক্ষ। এদিকে মামলাটি ত্রুটিপূর্ণ বলছে আসামিপক্ষ। ত্রুটিপূর্ণ মামলায় সাজা হওয়ায় সংক্ষুব্ধ আসামিপক্ষের আইনজীবী।  

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আব্দুল্লাহ আবু বলেন, রায়ে আমরা সন্তুষ্ট। পর্যবেক্ষণে বিচারক বলেছেন, তারা দুজনেই রাজনীতি করতো, রাজনীতিবিদ। তাদের বাড়ি থেকে অনৈতিকভাবে আয় করা এতগুলো টাকা এবং অস্ত্র পাওয়া গেছে। যেহেতু তারা দুজনে একই পরিবারের সেজন্য তাদের যাবজ্জীবনের পরিবর্তে ২৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আমরা এ রায়ে সন্তুষ্ট।

আসামিপক্ষের আইনজীবী এ এফ এম গোলাম ফাত্তাহ বলেন, মামলাটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত টোটালি সাজানো এবং গুরুত্বপূর্ণ। একদিনের জন্যও তাদের সাজা হতে পারে না। সেখানে ২৭ বছরের সাজা দেওয়া হয়েছে। ত্রুটিগুলো মধ্যে ঘটনার সময় এবং জব্দ তালিকার সময় দেখানো হয়েছে সাড়ে ৫টা। জব্দ তালিকার মধ্যে উপস্থাপনকারীর ও  আসামির কোনো নাম নেই। কার অস্ত্র সে কথাও জব্দ তালিকায় বলা নেই। এক পাতায় সাক্ষীদের স্বাক্ষর থাকলেও অন্য পাতায় নেই। জব্দ তালিকা প্রস্তুতকারীর স্বাক্ষর নেই। সাক্ষী বলে গেছেন, জব্দ করেছেন এক ম্যাজিস্ট্রেট। 

কিন্তু বাদী বলেছেন, তিনি জব্দ করেছেন। যে ম্যাজিস্ট্রেট জব্দ করেছেন তাকে স্বাক্ষী করা হয়নি। ভাইটাল সাক্ষী হওয়া সত্ত্বেও তার সাক্ষ্য নেওয়া হয়নি। তাহলে অবশ্যই মামলাটা ত্রুটিপূর্ণ। রুমের কোথা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে সাক্ষীরা বলতে পারেনি। টোটাল মামলায় এক সাক্ষীর সঙ্গে আরেক সাক্ষীর কথার মিল নেই।

তিনি বলেন, অস্ত্রই আমাদের না। এটা সাজানো মামলা। মিথ্যা অভিযোগে মামলায় জড়ানো হয়েছে। রাজনৈতিক প্রতিহিংসার জন্য মামলাটি করা।

জাগরণ/এমইউ