• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুলাই ৬, ২০২১, ০৯:৪৮ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুলাই ৬, ২০২১, ০৯:৪৮ পিএম

‘ফাঁসি দিয়ে সমাজ অপরাধমুক্ত করা যায় না’

‘ফাঁসি দিয়ে সমাজ অপরাধমুক্ত করা যায় না’
প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ● ফাইল ছবি

প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন বলেছেন, বিচারে সাজা বা ফাঁসি দিয়ে অপরাধ থেকে সমাজকে রক্ষা করা যায় না।

মঙ্গলবার (৬ জুলাই) সন্তান হত্যার দায়ে মৃত্যুদণ্ডের রায়ের বিরুদ্ধে এক ব্যক্তির আপিলের শুনানিতে  তিনি এ মন্তব্য করেন। রায়ে মামলার আসামি জসীম রাঢ়ীর সাজা কমিয়ে ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন সর্বোচ্চ আদালত।

তবে শুনানির একপর্যায়ে প্রধান বিচারপতি বলেছেন, যেখানে অপরাধ মৃত্যুদণ্ড দেয়ার মতো, সেখানে আদালতকে মৃত্যুদণ্ড দিতেই হবে।

রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ দেবনাথ শুনানি করেন।

প্রধান বিচারপতি বলেন, স্ত্রী হত্যা কি বন্ধ হয়েছে? স্ত্রী হত্যায় কোনও সাক্ষীও তো লাগে না। রাষ্ট্রপক্ষ চিকিৎসকের রিপোর্ট নিয়ে এলেই স্বামীর ফাঁসি, নইলে যাবজ্জীবন। সুতরাং এটা ভুল ধারণা যে, সাজা দিলেই আমরা একদম দুধের মধ্যে ভাসতে থাকব।

শাশুড়ির সঙ্গে রাগ করে চার বছর বয়সী সন্তান শামীমকে হত্যার দায়ে ২০০৮ সালে বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জের জসীম রাঢ়ীকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিলেন জজ আদালত।

পরে হাইকোর্টেও সেই রায় বহাল ছিল। হাইকোর্টের সেই রায়ের বিরুদ্ধে কারাগারে থেকে জেল আপিল করেন জসীম। ওই আপিল আংশিক মঞ্জুর করে রায় দিলেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন ছয় বিচারকের ভার্চুয়াল আপিল বেঞ্চ।

রায়ে মৃত্যুদণ্ডের পরিবর্তে জসীমকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। ২০০৭ সাল থেকে কারাগারে থাকা জসীম এরই মধ্যে সেই সময় কাটিয়ে ফেলেছেন।

সে কারণে সর্বোচ্চ আদালত রায়ে বলেছেন, অন্য কোনো মামলায় গ্রেফতার না থাকলে তাকে যেন অবিলম্বে মুক্তি দেয়া হয়।

জসীমের পক্ষে আপিল বিভাগে শুনানি করেন রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী হেলাল উদ্দিন মোল্লা।

হাইকোর্টে বেঞ্চ বাড়ানোর আবেদন নাকচ

করোনাকালে হাইকোর্ট বিভাগের আরও বেশিসংখ্যক বেঞ্চে বিচারকাজ শুরু করার বিষয়ে সুপ্রিম কোর্ট বারের আহ্বান নাকচ করে দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি। এ বিষয়ে তিনি বলেছেন, করোনায় দেশের অবস্থা খুব খারাপ। সবাইকে আরও সজাগ থাকতে হবে।

মঙ্গলবার (৬ জুলাই) আপিল বিভাগের ভার্চুয়াল শুনানিতে প্রধান বিচারপতি এ মন্তব্য করেন।

সকালে শুনানির শুরুতেই সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল হাইকোর্ট বিভাগের বেশির সংখ্যক বেঞ্চ খুলে দেয়ার কথা বলেন।

তখন প্রধান বিচারপতি তাকে থামিয়ে দিয়ে বলেন, আপনি খবর রাখেন? দেশের অবস্থা খুব খারাপ।

জাগরণ/এসএসকে/এমএ