এক যুগ আগে নোয়াখালীর সুধারামের গোপীনাথপুর গ্রামের নয় বছরের এক শিশু হত্যার দায়ে একমাত্র আসামি জাহাঙ্গীরের মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখেছে আপিল বিভাগ।
বৃহস্পতিবার (৮ জুলাই) এই আসামির আপিল খারিজ করে এই রায় দেয় প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন ছয় বিচারপতির ভার্চুয়াল আপিল বেঞ্চ।
আদালত রায়ে বলেছে, আপিল খারিজ করা হল। বিচারিক আদালতের দেয়া মৃত্যুদণ্ডাদেশ যা উচ্চ আদালতও বহাল রেখেছিল, তাই বহাল থাকছে।
আদালতে আসামিপক্ষে ছিলেন রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী এবিএম বায়েজীদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম মুনীর ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ দেবনাথ।
পারিবারিক বিরোধের জেরে ২০০৭ সালের ১৩ মার্চ সন্ধ্যার পর খেলনা পিস্তল দেয়ার লোভ দেখিয়ে শিশু আরাফাত হোসেনকে (৯) বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।
হত্যার পর আরাফাতের রক্তাক্ত লাশ পাশের কবরস্থানে ফেলে রেখে যায় জাহাঙ্গীর বলে মামলার এজাহারে বলা হয়।
হত্যাকাণ্ডের দু’দিন পর শিশুটির বাবা বাবুল খান বাদী হয়ে সুধারাম থানায় জাহাঙ্গীরের নামে হত্যা মামলা করেন।
এই মামলায় গ্রেফতারের পর জাহাঙ্গীর ওই বছরের ১৮ মার্চ হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেন।
জবানবন্দীতে উল্লেখ করা হয়, ‘জমি বিক্রির টাকা নিয়ে বিবাদের জেরে শিশু আরাফাতকে হত্যা করা হয়।’
বিচার শেষে ২০০৮ সালের ২৮ জুলাই নোয়াখালীর আদালত জাহাঙ্গীরকে মৃত্যুদণ্ড দেয়।
নিয়ম অনুযায়ী বিচারিক আদালতের মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদনের আবেদন ডেথ রেফারেন্স আকারে হাই কোর্টে পাঠানো হয়। পাশাপাশি রায়ের বিরুদ্ধে আসামি আপিল করেন।
২০১৩ সালের ১৮ নভেম্বর জাহাঙ্গীরের মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখে ডেথ রেফারেন্সের অনুমোদন দেয় হাই কোর্ট।
পরে এই রায়ের বিরুদ্ধেও তিনি আপিল করেন।
জাগরণ/এসএসকে