• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
প্রকাশিত: জুলাই ৩১, ২০২১, ১২:০২ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুলাই ৩১, ২০২১, ১২:০২ পিএম

লকডাউনে থেমে আছে সিনহা হত্যা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ

লকডাউনে থেমে আছে সিনহা হত্যা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ
সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান ● ফাইল ছবি

অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা রাশেদ হত্যার এক বছরেও পুরো ঘটনা যেন রহস্যাবৃত। এর মাঝে ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দিয়েছে র‍্যাব। যদিও লকডাউনের কারণে, থমকে গেছে বাদিপক্ষের সাক্ষ্যগ্রহণ। আর তাতেই সাক্ষিদের সুরক্ষা নিয়ে চিন্তিত মামলার বাদি সিনহা রাশেদের বোন।

চৌকস সেনা কর্মকর্তা অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান। মাঝপথে যেমন চাকুরিজীবন শেষ করেছেন, জীবনের ইতিও টেনেছেন অপ্রত্যাশিতভাবে অকালে। পঞ্জিকায় একটি বছর বদলে গেছে মেজর সিনহার মৃত্যুদিনের। তবু তার মৃত্যু যেনো রহসাবৃত।

২০২০ সালের ৩১ জুলাই টেকনাফের শামলাপুর চেকপোস্টে মেজর সিনহা নিহত হন পুলিশের গুলিতে। এরপর জল ঘোলা হয় অনেক। তৎকালীন টেকনাফের ওসি প্রদীপ, বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ লিয়াকতসহ ৯ জনকে আসামি করে মামলা করেন সিনহার বোন। পরে গ্রেফতার করা হয় ঘটনার সময় এপিবিএন এর তিন সদস্য ও পুলিশের তিন সোর্সকেও। কয়েকমাস তদন্ত শেষে ১৩ ডিসেম্বর ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দেয় তদন্তকারী সংস্থা র‍্যাব। যার মধ্যে ১২জনই ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়।

গত ২৬ জুলাই বাদীপক্ষের সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ থাকলেও লকডাউনে তা পিছিয়ে যায়। মামলার বাদী অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহার বোন এখন শঙ্কায় আছেন, সাক্ষীদের সুরক্ষা নিয়ে।

বাদীপক্ষের আইনজীবীর প্রত্যাশা, করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) পরিস্থিতির উন্নতি হলে, দ্রুততম সময়ে হবে বিচার। যদিও সার্বিক বিবেচনায় অসন্তোষ আসামিপক্ষের।

পুলিশের গুলিতে মেজর অবসরপ্রাপ্ত সিনহা নিহতের পর বেশ কয়েকমাস, পুলিশ কিংবা অন্য আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর সন্ত্রাসী অপরাধীদের অতর্কিত আক্রমনের ঘটনা ঘটেনি। আত্মরক্ষার্থে করা গুলিতে নিহত হয়নি কোনও সন্ত্রাসীও। তবে সম্প্রতি আবারও ঘটেছে এমন বেশ কয়েকটি বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা।

সিনহা হত্যা মামলায় চার্জশিটভুক্ত ১৫ আসামি হলেন—ওসি প্রদীপ কুমার দাস, পরিদর্শক লিয়াকত আলী, এসআই নন্দ প্রদীপ দুলাল রক্ষিত, কনস্টেবল সাফানুর করিম, কামাল হোসেন, আবদুল্লাহ আল-মামুন, মোহাম্মদ মোস্তফা, সাবেক এএসআই সাগর দেব, সাবেক কনস্টেবল রুবেল শর্মা; এপিবিএনের তিন সদস্য— এসআই মোহাম্মদ শাহজাহান, কনস্টেবল মোহাম্মদ রাজীব ও মোহাম্মদ আবদুল্লাহ এবং পুলিশের মামলার তিন সাক্ষী নূরুল আমিন, আয়াজ উদ্দিন ও নিজাম উদ্দিন।

অভিযোগপত্রভুক্ত আসামিদের ১২ জন দোষ স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। আসামিদের মধ্যে প্রদীপ ও রুবেল শর্মা জবানবন্দি দেননি। তদন্ত কর্মকর্তা ৮৩ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করেছেন।

জাগরণ/এসএসকে/এমএ