• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১০, ২০১৯, ১০:২৫ এএম

সাগর-রুনি হত্যার ৭ বছর, ৬১ বার সময় নিয়েও জমা হয়নি তদন্ত রিপোর্ট

সাগর-রুনি হত্যার ৭ বছর, ৬১ বার সময় নিয়েও জমা হয়নি তদন্ত রিপোর্ট
নিহত সাগর-রুনি-ফাইল ছবি।

 

সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনিকে হত্যা করা হয়েছে ৭ বছর। ২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর রাজাবাজারের ভাড়া বাসায় নির্মমভাবে খুন হন বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল মাছরাঙ্গার বার্তা সম্পাদক সাগর সারোয়ার ও এটিএন বাংলার সিনিয়র রিপোর্টার মেহেরুন রুনি।

৬১ বার সময় নিয়েও নির্মম এই হত্যাকাণ্ডের তদন্ত রিপোর্ট জমা দিতে পারেনি দায়িত্বে থাকা র‌্যাব। আর এ কারণে নিরাপদেই থেকে গেছে ঘাতকরা। দীর্ঘ সময়ে পার হয়ে গেলেও চাঞ্চল্যকর এই হত্যা মামলার কিনারা না হওয়ায় হতাশ সাগর-রুনির পরিবার। ক্ষুব্ধ গণমাধ্যম কর্মীরাও।

সাগর-রুনি হত্যার এক দিন পর অজ্ঞাতদের আসামি করে ডিএমপির শেরেবাংলা নগর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। মামলার তদন্তে তেমন কোনো অগ্রগতি না হওয়ায় থানা পুলিশের পর ডিবির হাত ঘুরে চাঞ্চল্যকর এই হত্যা মামলাটি র‌্যাবের কাছে স্থানান্তর করা হয়।

র‌্যাব এ মামলার তদন্তের দায়িত্বভার গ্রহণের পর সাগর-রুনি হত্যার আলামতের ডিএনএ পরীক্ষার জন্য আমেরিকা পাঠায়। রিপোর্ট পেতেই কেটে যায় ৩ বছর। রিপোর্ট আসার পর তা সন্দেহভাজনদের সঙ্গে মেলানো হবে র‌্যাবের এমন তথ্য জানানোর পর শেষ পর্যন্ত কি হয়েছে, তা সাগর-রুনির পরিবার বা গণমাধ্যমকে জানানো হয়নি। এভাবেই পেরিয়ে গেছে ৭ বছর।

দীর্ঘ এই সময়ে প্রকৃত একজন আসামিও গ্রেফতার না হওয়ায় নিহতের পরিবার ও গণমাধ্যম কর্মীদের মাঝে তীব্র ক্ষোভ ও অসন্তোষ বিরাজ করছে। সাগর-রুনি হত্যার প্রকৃত আসামি গ্রেফতারের নামে পুলিশ, সিআইড, ডিবি ও র‌্যাব বিগত সময়ে কিছু নাটক উপস্থাপন করেছে বলে মনে করছেন গণমাধ্যম কর্মীরা।

চাঞ্চল্যকর এই হত্যার তদন্তের দায়িত্বে থাকা র‌্যাব এই পর্যন্ত ৮ জনকে গ্রেফতার দেখিয়েছে। যার মধ্যে নিহতদের রাজাবাজারের বাসার দারোয়ান এনামুলও রয়েছে। গ্রেফতার হওয়া অন্য ৭ জন হলেন- তানভীর রহমান, বাড়ির অপর এক দারোয়ান পলাশ রুদ্র পাল, সন্দেহভাজন ডাকাত রফিকুল ইসলাম, বকুল মিয়া, মাসুম মিন্টু, কামরুল হাসান অরুণ ও সাঈদ। তবে র‌্যাবের এই গ্রেফতারকে অগ্রগতি হিসেবে দেখছে না নিহত সাগর-রুনির পরিবার ও গণমাধ্যম কর্মীরা।

মামলার বাদি মেহেরুন রুনির ভাই নওশের রোমান দৈনিক জাগরণকে বলেছেন, ‘সাগর-রুনী হত্যা মামলায় এ পর্যন্ত আমরা কোনো অগ্রগতি দেখছি না। বিভিন্ন সময়ে যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে, তা লোক দেখানো অগ্রগতি মাত্র। তদন্ত নিয়ে র‌্যাবের কর্মকাণ্ড পজেটিভলি দেখার কিছুই নেই। আমাদের উভয় পরিবারই এখন চরম হতাশ।’

নওশের রোমান আরো বলেন, ‘সাগর-রুনির মত জনপ্রিয় দুই সাংবাদিক তাদের বাসায় খুন হওয়ার পর এই মামলার ৭ বছর পার হচ্ছে। অথচ এই মামলার প্রকৃত একজন আসামিও ডিটেক্ট হয়নি। এটা নিহতের পরিবারের জন্য ভীষণ কষ্টের।’

আরআর/সাইসে