• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুন ২৬, ২০১৯, ০৮:৪২ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুন ২৭, ২০১৯, ০২:৪৪ পিএম

জঙ্গিবাদ দমন করতেই হবে : মোজাম্মেল হক

জঙ্গিবাদ দমন করতেই হবে :  মোজাম্মেল হক
বক্তব্য রাখেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক -ছবি : জাগরণ

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক এমপি বলেছেন, বর্তমান সরকারের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী জঙ্গিদের দমন করতে সক্ষম হয়েছে। দেশ থেকে জঙ্গিবাদ পুরোপুরি দমনের চেষ্টাও অব্যাহত রয়েছে। এ লক্ষ্যে সরকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের জঙ্গিবাদের ক্ষতিকর দিকগুলোর বিষয়ে সচেতন করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। পড়াশোনার পাশাপাশি ক্রীড়া ও সংস্কৃতির দিকে তাদের মনোনিবেশ ঘটানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। 

বুধবার (২৬ জুন) বিকালে রাজধানী ঢাকার শাহবাগের জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে শহীদ জননী জাহানারা ইমামের ২৫তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে জাহানারা ইমাম স্মৃতিপদক প্রদান, স্মারক বক্তৃতা এবং ‘বাঙালি সংস্কৃতির ধর্মনিরপেক্ষতা ও মানবতার ঐতিহ্য ’ শীর্ষক স্মারক বক্তৃতানুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন। 

মন্ত্রী বলেন, বর্তমানে ধর্মনিরপেক্ষ ও অসাম্প্রদায়িক চেতনার আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকলেও দেশের সমগ্র জনগণকে অসাম্প্রদায়িক চেতনার অধিকারী করতে হলে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। কারণ শোষণের হাতিয়ার হিসেবে শুধু পাকিস্তানি শাসকেরা ধর্মকে ব্যবহার করে নি বরঞ্চ তাদের চেতনার অধিকারী এদেশীয় দোসররা রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় থাকাকালীন একই নীতি বাস্তবায়ন করেছে। তারা জাতির পিতার আত্মস্বীকৃত খুনিদের পুনর্বাসিত করেছে এবং স্বাধীনতা বিরোধীদের হাতে তুলে দিয়েছিলো স্বাধীনতার লাল সবুজ পতাকা।

মহিয়সী নারী জাহানারা ইমামের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের বিষয়টি দেশের মানুষ যখন ভুলতে বসেছিল তখন শহীদ জননী ছিলেন সোচ্চার। তার আন্তরিক প্রচেষ্টার ফসল এই যুদ্ধাপরাধীদের বিচার। বর্তমান প্রজন্মকে স্বাধীনতার চেতনায় উদ্ধুদ্ধ করার কাজে আত্মনিয়োগের জন্য একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির নেতৃবৃন্দের প্রতি আহবান জানান মন্ত্রী। 

একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সহ-সভাপতি শহীদজায়া শ্যামলী নাসরিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ‘বাঙালি সংস্কৃতির নির্যাস-অসাম্প্রদায়িকতা ও মানবিকতা’ শীর্ষক জাহানারা ইমাম স্মারক বক্তৃতা দেন নাট্যজন রামেন্দু মজুমদার। আলোচক ছিলেন জাতীয় জাদুঘরের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিল্পী হাশেম খান, বাংলাদেশ ইতিহাস সম্মিলনীর সভাপতি বঙ্গবন্ধু অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন, একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সাংস্কৃতিক স্কোয়াডের আহবায়ক সঙ্গীতশিল্পী মনোরঞ্জন ঘোষাল, রিজিওনাল অ্যান্টি টেরোরিস্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউট এর নির্বাহী পরিচালক মেজর জেনারেল এ কে মোহাম্মদ আলী সিকদার (অব.) প্রমুখ।

তার আগে ব্যক্তি ক্যাটাগরিতে জাহানারা ইমাম স্মৃতিপদক পুরস্কারে ভূষিত হন নাট্যজন রামেন্দু মজুমদার এবং প্রাতিষ্ঠানিক ক্যাটাগরিতে রিজিওনাল অ্যান্টি টেরোরিস্ট রিসার্চ ইন্সটিটিউট। প্রধান অতিথি মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বিজয়ীদের হাতে স্মারক তুলে দেন।

টিএইচ/এসএমএম