• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৩০, ২০১৯, ০৯:৪৪ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : সেপ্টেম্বর ৩০, ২০১৯, ০৯:৪৪ পিএম

মুক্তিযুদ্ধের পরে জন্ম নিয়েও মুক্তিযোদ্ধা, সংসদীয় কমিটির ক্ষোভ

মুক্তিযুদ্ধের পরে জন্ম নিয়েও মুক্তিযোদ্ধা, সংসদীয় কমিটির ক্ষোভ

মুক্তিযুদ্ধের পরে জন্ম নিয়েও মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্ত করার একাধিক অভিযোগ বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে সংসদীয় কমিটি। চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার হাজিগাঁও গ্রামের মো. মীজানুর রহমানের জন্ম মুক্তিযুদ্ধ সংগঠিত হওয়ার ৯ বছর পর ১৯৮০ সালে। তারপরও মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে নাম অন্তর্ভুক্ত হয়েছে তার।

সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির ৭ম বৈঠকে এ নিয়ে আলোচনা হয। কমিটির সভাপতি শাজাহান খানের সভাপতিত্বে কমিটির সদস্য মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, রাজি উদ্দিন আহমেদ, মেজর (অব.) রফিকুল ইসলাম (বীর উত্তম), কাজী ফিরোজ রশীদ এবং ওয়ারেসাত হোসেন বেলাল বৈঠকে অংশ নেন।

জানা গেছে, চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার হাজিগাঁও গ্রামের মো. মীজানুর রহমানের জন্ম মুক্তিযুদ্ধ সংগঠিত হওয়ার ৯ বছর পর ১৯৮০ সালে। তারপরও মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে নাম অন্তর্ভুক্ত হয়েছে তার। শুধু তাই-ই নয়, তার মা-বাবার বিয়েও হয়েছে মুক্তিযুদ্ধের পর। বাবার নাম আবদুল মজিদ, মা দিলরুবা খানম। তাদের বিয়ে হয় ১৯৭৮ সালে। এর দুই বছর পর ১৯৮০ সালের ৩ জুলাই জন্ম হয় মীজানুর রহমানের। 

যদিও মীজানুর রহমানের দাবি, মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় কীভাবে তার নাম এসেছে সেটা তিনি জানেন না। বিষয়টি তাকে বিব্রত করছে। ফলে তিনি নিজেই মুক্তিযোদ্ধা তালিকা থেকে তার নাম বাদ দেয়ার জন্য স্থানীয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে আবেদন করেন।

বৈঠকে মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা প্রণয়নের অগ্রগতি নিয়ে পর্যালোচনা করা হয়। সংসদীয় কমিটির কাছে অভিযোগ এসেছে যে ১৯৮০ সালে জন্মগ্রহণকারী এক ব্যক্তির নাম মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় রয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখতে আদালতের শরণাপন্ন হওয়ার সুপারিশ করে কমিটি।

এইচএস/ এফসি

আরও পড়ুন