• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৬, ২০১৯, ০৩:৫২ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : ডিসেম্বর ৬, ২০১৯, ০৩:৫২ পিএম

৬ ডিসেম্বর ফেনী মুক্ত দিবস

৬ ডিসেম্বর ফেনী মুক্ত দিবস

আজ শুক্রবার ৬ ডিসেম্বর। ফেনী মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে মুক্তিযোদ্ধারা সম্মুখসমরে পাক হানাদার বাহিনীকে পরাজিত করে ফেনীর মাটিতে স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উড়িয়েছিল।

দীর্ঘ নয় মাসের রক্তক্ষয়ী স্বাধীনতাসংগ্রামে হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসর রাজাকার-আলবদর বাহিনীর নৃশংস বর্বরতায় ক্ষত-বিক্ষত ফেনী শহরে স্বাধীনতাকামী বাঙালিরা বিজয়ের নিশান উড়িয়ে উল্লাস করে স্বজনহারাদের কান্না ভুলে গিয়েছিল।

জেলার বিভিন্ন স্থানে আটটি বধ্যভূমিতে শহীদদের লাশ শনাক্ত করতে বা তাদের কবর চিহ্নিত করতে ছুটে বেড়িয়েছিল স্বজনহারারা। ফেনী অঞ্চলের মুক্তিবাহিনীর অধিনায়ক হিসেবে কর্মরত তৎকালীন ক্যাপ্টেন জাফর ইমাম (পরবর্তীতে লে. কর্নেল হিসেবে অব.) ভারতের বিলোনিয়া ও তৎসংলগ্ন অঞ্চল থেকে ১০ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের অভিযানে বিলোনিয়া, পরশুরাম, মুন্সিরহাট, ফুলগাজীতে যুদ্ধ করতে করতে এগোতে থাকে। পর্যুদস্ত হয়ে ফেনীর পাক হানাদার বাহিনীর একটি অংশ নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী হয়ে কুমিল্লা সেনানিবাসের রাস্তায় অপর অংশ শুভপুর ব্রিজের ওপর দিয়ে চট্টগ্রামের দিকে পালিয়ে যায়।

অন্যদিকে বিএলএফ তথা মুজিব বাহিনীর ফেনী মহকুমা কমান্ডার অধ্যাপক জয়নাল আবদীনের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধারা দাগনভূঞা, রাজাপুর, সিন্দুরপুর হয়ে শহরের দিকে এগোতে থাকেন। মুক্তিযোদ্ধাদের তুমুল আক্রমণে দিশেহারা হয়ে পাক হানাদাররা ৬ ডিসেম্বর রাতে কুমিল্লার দিকে পালিয়ে যায়। সে সময় ফেনী অবাঙালি মহকুমার প্রশাসক বেলাল এ খান পাক বাহিনীর সঙ্গে চলে যায়। ফেনী হানাদারমুক্ত হওয়ার কারণে ঢাকা-চট্টগ্রামের সাথে সড়ক ও রেলপথে হানাদার বাহিনীর যোগাযোগব্যবস্থা সম্পূর্ণরূপে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এতে করে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সূর্য উদিত হওয়ার বিষয়টি সময়ের ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায়।

মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসররা ফেনী সরকারি কলেজ, তৎকালীন সিও অফিসসহ কয়েকটি স্থানে স্বাধীনতাকামী নিরীহ মানুষকে নির্মমভাবে নির্যাতন চালিয়ে হত্যা করে। সেই অমর শহীদদের স্মৃতির ভাস্কর হিসেবে ফেনী কলেজ মাঠে মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিস্তম্ভ ও জেল রোডের পাশে বীর শহীদদের নামের তালিকাসহ মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভ ও বিলোনিয়ায় মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করা হয়।

এদিকে দিবসটি যথাযথ মর্যাদায় উদ্‌যাপনে জেলা প্রশাসন ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে।

এনআই

আরও পড়ুন