• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১১, ২০১৯, ০৯:০৭ এএম
সর্বশেষ আপডেট : ডিসেম্বর ১১, ২০১৯, ০৯:০৭ এএম

১১ ডিসেম্বর টাঙ্গাইল মুক্ত দিবস আজ

১১ ডিসেম্বর টাঙ্গাইল মুক্ত দিবস আজ

১১ ডিসেম্বর। ৪৮ বছর আগে ঠিক এই দিনই টাঙ্গাইলবাসীর জন্য নিয়ে এসেছিল বিজয়ের বার্তা। ঘটনার প্রেক্ষিতে এ দিনটির নাম দেয়া হয় ‘টাঙ্গাইল হানাদার মুক্ত দিবস’। ১৯৭১ সালের এই দিনে বাংলার মুক্তিকামী সূর্যসেনারা পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হাত থেকে টাঙ্গাইলকে মুক্ত করে। উত্তোলন করেন স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা। সেদিন বীর মুক্তিযোদ্ধাদের উল্লাসে টাঙ্গাইল ছিল উল্লসিত। গৌরব গাঁথার এই দিনটির জন্য টাঙ্গাইলবাসীকে দিতে হয়েছে চরম মূল্য। স্বীকার করতে হয়েছে অনেক ত্যাগ ও অবর্ণনীয় নির্যাতন। দীর্ঘ ৯টি মাস লড়তে হয়েছে আধুনিক অস্ত্রে সজ্জিত পাকিস্তানি হানাদার ও তাদের এ দেশিয় দোসরদের বিরুদ্ধে।

দীর্ঘ ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর ১৯৭১ সালে এই দিনে পাক বাহিনীর আত্মসমর্পণ ও পলায়নের মধ্য দিয়ে হানাদার মুক্ত হয়েছিল টাঙ্গাইল। সারা রাত মুক্তিযোদ্ধাদের সাঁড়াশি আক্রমণ ও গোলাগুলিতে বিনিদ্র রাত কাটায় শহর ও শহরতলি এবং গ্রামের  লোকজন। অবশেষে ১১ ডিসেম্বর সে কাঙ্ক্ষিত মুহূর্তটি ঘনিয়ে আসে।

বাঙালির মুক্তি সংগ্রাম মহান মুক্তিযুদ্ধে টাঙ্গাইলের ভূমিকা এক অবিস্মরণীয় স্বাতন্ত্র্যে চিহ্নিত। ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাষণ শুনেই টাঙ্গাইলের বীর বাঙালি দেশমাতৃকাকে শত্রুমুক্ত করার প্রয়াসে সব প্রস্তুতি শুরু করে। গঠন করা হয় সর্বদলীয় স্বাধীন বাংলা গণমুক্তি পরিষদ। ওই সময় যা ‘হাই কমান্ড’ হিসেবে সমধিক পরিচিত ছিল। সিদ্ধান্ত নেয়া হয় এই কমিটি টাঙ্গাইল জেলার সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী হবে এবং কেন্দ্রীয় সংগ্রাম কমিটির আদেশ-নির্দেশ মেনে চলবে।

২৬ মার্চ থেকে ৩ এপ্রিল পর্যন্ত টাঙ্গাইল ছিল স্বাধীন। এ সময় আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে প্রশাসন পরিচালিত হয়। ২৬ মার্চ সকালে আদালত পাড়ার অ্যাডভোকেট নূরুল ইসলামের বাসভবনে এক সভায় গঠিত হয় টাঙ্গাইল জেলা স্বাধীন বাংলা গণমুক্তি পরিষদ। তৎকালীন আওয়ামী লীগ নেতা আবদুল লতিফ সিদ্দিকীকে আহ্বায়ক ও সশস্ত্র গণবাহিনীর সর্বাধিনায়ক এবং বদিউজ্জামান খানকে চেয়ারম্যান ও আব্দুল কাদের সিদ্দিকীসহ আরও ৮ জনকে সদস্য করে কমিটি গঠিত হয়। প্রবাসে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরী, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের আব্দুল মান্নান, গণপরিষদ সদস্য শামসুর রহমান খান শাহজাহান, আব্দুর রাজ্জাক ভোলা ছিলেন কমিটির অন্যতম।  সংগঠিত হতে থাকে হাজার হাজার মুক্তিযোদ্ধা। গণমুক্তি পরিষদ গঠিত হবার পর চলতে থাকে মুক্তিযুদ্ধের প্রশিক্ষণ। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ৩ এপ্রিল টাঙ্গাইল শহর দখল করে।

গণমুক্তি পরিষদের উদ্যোগেই একাত্তুরের ২৬ মার্চ টাঙ্গাইল থানায় স্বাধীন বাংলার পতাকা উত্তোলন এবং ২৭ মার্চ বিন্দুবাসিনী সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত জনসভায় টাঙ্গাইলে স্বাধীনতার ঘোষণা করা হয়। সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয়ে যায় অস্ত্র সংগ্রহ অভিযান।

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে যে নামটি অতি উজ্জ্বল হয়ে আছে, যার নেতৃত্বে হাজার হাজার সাহসী দামাল ছেলে সংগঠিত হয়েছিল দেশ মাতৃকাকে শত্রুমুক্ত করতে সেই কাদের সিদ্দিকীর নেতৃত্বে ৪০-৫০ জন যুবক এবং কয়েকজন পুলিশ-আনসার ১৭ মার্চ রাতে টাঙ্গাইল সার্কিট হাউজে প্রথম অপারেশনে অংশগ্রহণ করেন। এই অপারেশনে দু’জন সেনা অফিসারসহ ১৫০ জন বেঙ্গল রেজিমেন্টের সৈনিক আত্মসমর্পণ করে। মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে দুই পাক সেনা অফিসার নিহত হয়।

২ এপ্রিল গণমুক্তি পরিষদ নেতৃবৃন্দ জানতে পারে ৩ এপ্রিল পাক বাহিনী টাঙ্গাইলে প্রবেশ করবে। পাক বাহিনীকে প্রতিরোধ করার সংকল্প গ্রহণ করে হাইকমান্ড। প্রতিরোধের মূল কারণ তখন সড়ক পথে ঢাকা থেকে ময়মনসিংহ জেলার বিভিন্ন স্থানে যাওয়ার একমাত্র সড়ক ছিল ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক। পাকবাহিনীকে টাঙ্গাইলের প্রবেশ পথে প্রতিরোধ করতে পারলে টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ জেলার বিভিন্নস্থান হানাদারমুক্ত রাখা যাবে। প্রতিরোধের স্থান হিসেবে বেছে নেয়া হয় মির্জাপুর থানার গোড়ান-সাঁটিয়াচড়া এলাকা।

এখানে ৫টি পরিখা খনন করা হয়। গড়ে তোলা হয় দুটি প্রতিরোধ দূর্গ। ঢাকার বাইরে প্রথম এই প্রতিরোধ যুদ্ধে ২৩ জন ইপিআর সদস্যসহ ১০৭ জন বাঙালি পাক বাহিনীর হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়। পাকবাহিনী টাঙ্গাইলে প্রবেশ করলে গণমুক্তি পরিষদ ও হাইকমান্ড নেতৃবৃন্দ নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যান। ৩ এপ্রিলের প্রতিরোধ যুদ্ধের ঘটনায় অনুপ্রাণিত হয়ে টাঙ্গাইলের ছাত্রজনতা সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে।

২০ এপ্রিল থেকে ২ মে কাদের সিদ্দিকী গোপনে বিভিন্ন অঞ্চল সফর করেন। ৪ মের মধ্যে মুক্তিবাহিনী গঠিত হয়। টাঙ্গাইলের পাহাড়ি এলাকায় ক্যাম্প স্থাপন এবং সেখানেই প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা নেয়া হয়। প্রথম দিন কালিহাতী থানার মরিচায় শিবির স্থাপন করা হয়। সেখানে ১০ জন মুক্তিযোদ্ধা সমবেত হয়েছিলেন। পরে মুক্তিযোদ্ধারা টাঙ্গাইলের প্রত্যন্ত পাহাড়িয়া এলাকা সখীপুরের বহেড়াতলীতে চলে যান। 

সেখানে শুরু হয় এ বাহিনীর পুনর্গঠন প্রক্রিয়া এবং রিক্রুট ও প্রশিক্ষণ। পরবর্তীকালে এ বাহিনীরই নাম হয় ‘কাদেরিয়া বাহিনী’। এ বাহিনীর সদস্য ১৭ হাজারে উন্নীত হয়। এছাড়া ১৮ হাজার স্বেচ্ছাসেবক বাহিনীও কাদেরিয়া বাহিনীর সহযোগী হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। এ সময় পাক হানাদারদের কাছে আব্দুল কাদের সিদ্দিকী ‘বাঘা সিদ্দিকী’ নামে এক মহাতঙ্ক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হন।

কাদেরিয়া বাহিনীর গঠন প্রক্রিয়া যখন চলছিল তখন টাঙ্গাইল জেলার অন্যান্য অঞ্চলে বিচ্ছিন্নভাবে মুক্তিবাহিনীর দু’একটি দল গড়ে ওঠে। এদের মধ্যে খন্দকার আব্দুল বাতেনের নেতৃত্বে গঠিত ‘বাতেন বাহিনী’ অনেক জায়গায় হানাদারদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে। চারদিক থেকে আক্রমণে দিশেহারা হয়ে পড়ে পাকবাহিনী।

ঢাকা, টাঙ্গাইল, জামালপুর, শেরপুর, কিশোরগঞ্জ, সিলেট, সিরাজগঞ্জ ও পাবনায় বিশাল কাদেরিয়া বাহিনী যুদ্ধে লিপ্ত হয়ে পরাজিত করে খান সেনাদের। এসব অঞ্চল জুড়ে ছিল কাদেরিয়া বাহিনীর আধিপত্য। 

১২মে কালিহাতীর বল্লায় পাক বাহিনী নারকীয় হত্যাযজ্ঞ চালায়। ১২ জুন কাদেরিয়া বাহিনী বল্লা আক্রমণ করে পাক বাহিনীকে ধ্বংস করে দেয়। জুনের মধ্যেই কাদেরিয়া বাহিনী টাঙ্গাইলের বিভিন্ন থানা আক্রমণ করে অস্ত্র সংগ্রহ করে। ১১ আগস্ট যমুনা তীরবর্তী ভূঞাপুরের মাটি কাটার যুদ্ধে ‘জাহাজমারা’ কমান্ডার হাবিবুর রহমানের (বর্তমানে মরহুম) নেতৃত্বে কাদেরিয়া বাহিনী ৭টি স্টিমার ও লঞ্চে পরিবহণকৃত ২১ কোটি টাকা মূল্যের অস্ত্র অধিকার করে। কাদেরিয়া বাহিনী গোপনে খবর পেয়ে কমান্ডার হাবিবুর রহমানকে দায়িত্ব দেয় জাহাজ ধ্বংস করার জন্য। জীবন বাজি রেখে মাটিকাটা নামক স্থানে ঘটানো হয় জাহাজ বিস্ফোরণ। দুটি জাহাজে দু’রাত দুদিন ধরে চলতে থাকে অনবরত বিস্ফোরণ। বাকি জাহাজগুলো থেকে বিপুল আধুনিক অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় জেলার বিভিন্ন স্থানে। মুক্তিবাহিনীর এ সকল আক্রমণ ও গোলাবারুদ ধ্বংস এবং অস্ত্র উদ্ধারে খান সেনারা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। এই আক্রমণে পাক সেনারা স্টিমার ছেড়ে স্পিডবোট যোগে পশ্চিমে সিরাজগঞ্জের দিকে পালিয়ে যায়।

মুক্তিযোদ্ধাদের টাঙ্গাইল অঞ্চলের প্রধান বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী যোদ্ধাদের নিয়ে সখিপুরের সহানন্দা ও কীর্ত্তনখোলায় গড়ে তুলে দুর্ভেদ্য দূর্গ। একের পর এক আক্রমণের মুখে পাক সেনারা গুটিয়ে জেলার অন্যান্য স্থান থেকে এসে যখন টাঙ্গাইল শহরে অবস্থান নেয় তখন উত্তর ও দক্ষিণ টাঙ্গাইল ছিল সম্পূর্ণ মুক্তিবাহিনীর নিয়ন্ত্রণে। ৮ ডিসেম্বর পরিকল্পনা করা হয় টাঙ্গাইল আক্রমণের। মিত্র বাহিনীর সঙ্গে সংর্ঘষ হয় পাক সেনাদের পুংলি নামক স্থানে। অবস্থা বেগতিক দেখে প্রাণভয়ে পাক সেনারা সারারাত ধরে টাঙ্গাইল ছেড়ে ঢাকার দিকে পালায়।

১৬ আগস্ট ঘাটাইলের মাকড়াইয়ে পাক বাহিনীর সঙ্গে কাদেরিয়া বাহিনীর যুদ্ধ হয়। এ যুদ্ধে  মুক্তিযোদ্ধা হাতেম নিহত এবং কাদের সিদ্দিকী আহত হন। ১৯৭১ সালের ৮ ডিসেম্বর প্রায় ৫ হাজার পাক সেনা এবং সাত হাজার রাজাকার আলবদর টাঙ্গাইলে অবস্থান করে। এপ্রিল থেকে ডিসেম্বর ৮ তারিখ পর্যন্ত টাঙ্গাইল, জামালপুর, শেরপুর, কিশোরগঞ্জ, সিলেট, সিরাজগঞ্জ ও পাবনায় বিশাল কাদেরিয়া বাহিনী যুদ্ধে লিপ্ত হয়ে পরাজিত করে খান সেনাদের। এসব যুদ্ধে ৩ শতাধিক দেশপ্রেমিক অকুতোভয় বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন। ৮ ডিসেম্বর পরিকল্পনা করা হয় টাঙ্গাইল আক্রমণের।

একের পর এক নাটিয়াপাড়া, নাগরপুর, চারান, করটিয়া, বাসাইল, ভূঞাপুর, ঘাটাইল, গোপালপুর প্রভৃতি স্থানে পাকবাহিনী পরাজিত হতে থাকে। তারা পালাতে শুরু করে রাজধানী ঢাকার দিকে।

এ সময় কাদের সিদ্দিকী যোগাযোগ করেন মিত্রবাহিনীর সঙ্গে। মিত্র বাহিনীর  ছত্রীসেনা  অবতরণ  করে  টাঙ্গাইল শহর থেকে সাত কিলোমিটার দূরে পৌলি ব্রিজের কাছে। এখানে পাক বাহিনীর সঙ্গে মিত্র বাহিনীর প্রচণ্ড যুদ্ধ হয়। শত শত পাক সেনা নিহত হয়। কেউ কেউ পালাতে সক্ষম হয়। গ্রেফতার হয় অনেকে। এর মধ্যে জামালপুর হয়ে মিত্র বাহিনীর ব্রিগেডিয়ার ক্লে এসে যোগ দেন। ১০ ডিসেম্বর টাঙ্গাইলের চারদিকে কাদেরিয়া বাহিনী অবস্থান নেয়। এদিন রাতেই শহরের পশ্চিমে পোড়াবাড়ি দিয়ে কমান্ডার আবদুর রাজ্জাক ভোলা সহযোদ্ধাদের নিয়ে টাঙ্গাইলে প্রবেশ করে সদর থানায় স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করেন।

১১ ডিসেম্বর ভোরে পূর্বদিক দিয়ে প্রবেশ করেন কমান্ডার খন্দকার বায়েজিদ আলম ও খন্দকার আনোয়ার হোসেন, দক্ষিণ দিক দিয়ে আসেন ব্রিগেডিয়ার ফজলুর রহমান। আর উত্তর দিক থেকে ময়মনসিংহ সড়ক দিয়ে সাঁজোয়া বহর নিয়ে আসেন স্বয়ং কাদের সিদ্দিকী। শহরের কাছাকাছি এলে পাক সেনারা জেলা সদর পানির ট্যাঙ্কের উপর থেকে কাদের সিদ্দিকীর সাঁজোয়া বহরের ওপর গুলিবর্ষণ করে। পাল্টাগুলি  ছোঁড়েন কাদের সিদ্দিকী। একে একে নিহত হয় সেখানকার সব পাকসেনা। বিজয়ীর বেশে টাঙ্গাইল শহরে প্রবেশ করেন কাদের সিদ্দিকী। তার কাছে আত্মসমর্পণ করে সার্কিট হাউজে অবস্থানরত পাক সেনারা। সম্পূর্ণভাবে পাক হানাদারমুক্ত হয় টাঙ্গাইল। মুক্তির স্বাদ গ্রহণ করে জেলাবাসী।

১১ ডিসেম্বর সকালে কমান্ডার বায়োজিদ ও খন্দকার আনোয়ার টাঙ্গাইল পৌঁছেন। আসেন বিগ্রেডিয়ার ফজলুর রহমান। সার্কিট হাউজে অবস্থানরত খান সেনাদের কাদের সিদ্দিকীর কাছে আত্মসমর্পণের মধ্যে দিয়ে সম্পূর্ণভাবে মুক্ত হয় টাঙ্গাইল।

মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে কাদেরিয়া বাহিনীর ১৫৫ জন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন এবং ৫০০ জন আহত হন। এই বাহিনী থেকে ১৭ জন মুক্তিযোদ্ধা রাষ্ট্রীয় খেতাবে ভূষিত হন। 

স্বজন হারানোর ব্যথা ভুলে হাজার হাজার উৎফুল্ল জনতা রাস্তায় নেমে আসে। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু স্লোগান তুলে মুক্তির সেই আনন্দে শামিল হয় জনতা। যুদ্ধকালীন সময়ে টাঙ্গাইলের অকুতোভয় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সাহসিকতার কাহিনী দেশের সীমানা পেরিয়ে বিদেশেও ছড়িয়ে পড়ে। বীর মুক্তিযোদ্ধা বঙ্গবীর আব্দুল কাদের সিদ্দিকীর নেতৃত্বে গঠিত ও পরিচালিত ‘কাদেরিয়া বাহিনীর’ বীরত্বের কথা দেশের  স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাসে চিরস্মরণীয়।


টিএস/টিএফ
 

আরও পড়ুন