• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১৫, ২০১৯, ১২:৩২ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : ডিসেম্বর ১৫, ২০১৯, ০২:৫৮ পিএম

১০ হাজার৭৮৯ রাজাকারের তালিকা প্রকাশ

১০ হাজার৭৮৯ রাজাকারের তালিকা প্রকাশ
সংবাদ সম্মেলনে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক - ছবি : জাগরণ

একাত্তরে মহান মুক্তিযুদ্ধে যারা পাক হানাদার বাহিনী ‘অক্সিলিয়ারি ফোর্স’ হিসেবে সশস্ত্র সহযোগিতা করেছে তাদের নামের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। প্রথম দফায় এ তালিকায় ১০ হাজার ৭৮৯ রাজাকার, আলবদর ও আলশামসের নাম এসেছে। প্রাথমিক পর্যায়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নথি পর্যালোচনা করে এ তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। রাজাকারের এ তালিকা বিশেষ করে নাম-ঠিকানা মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে।

রোববার (১৫ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে রাজাকার, আলবদর ও আলশামস বাহিনীর সদস্যদের নামের তালিকা প্রকাশ করেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। এসময় মন্ত্রী বলেন, রাজাকারদের নাম-পরিচয় নতুন প্রজন্মকে জানানোর জন্যই তালিকা প্রকাশ করা হচ্ছে। অন্যদের নামের তালিকাও শিগগিরই প্রকাশ করা হবে। 

এসময় বীর মুক্তিযোদ্ধাদেরও একটি তালিকা প্রকাশ করে মন্ত্রী বলেন, একাত্তরে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা ২ লাখ ১০ হাজারের বেশি নয়। আগামী ২৬ মার্চ চূড়ান্তভাবে তা প্রকাশ করা হবে। 

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে রেকর্ড সংগ্রহ করে রাজাকারদের তালিকা করা হয়েছে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানান মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী। তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় থাকার সময় অনেক রাজাকার-আলবদরের রেকর্ড সরিয়ে ফেলা হয়েছে।

মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী বলেন, ১৯৭১ সালে একটা নির্বাচন হয়েছিল- অনেকেই হয়ত এটা জানেন না। আওয়ামী লীগের সকল এমএনএ-এমপিদের ডিসকোয়ালিফাই ডিক্লেয়ার (অযোগ্য ঘোষণা) করে ইয়াহিয়া খান এক সামরিক অধ্যাদেশে তাদের সব আসন শূন্য ঘোষণা করে একটি উপ-নির্বাচন ঘোষণা করেছিল। সেই উপ-নির্বাচনে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়নি। সবাই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় পাস করেছে বলে দেশবাসীও তেমনভাবে সেটা জানে না। সেই তালিকাও আমরা নির্বাচন কমিশনের কাছে চেয়েছি। তারা এখনো তালিকা সরবরাহ করতে পারেননি। 

তিনি বলেন, ১৯৭১ সালের তথাকথিত উপ-নির্বাচনে যাদেরকে এমএনএ-এমপি হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছিল তাদের তালিকাও পরবর্তীতে প্রকাশ করব। সেগুলো আমরা পাওয়ার অপেক্ষায় আছি। 

তিনি আরো বলেন, ’৭১ সালে যত গেজেট হয়েছিল আমরা সেগুলো বিজি প্রেস থেকে উদ্ধার করার জন্য চেষ্টা করছি। 

এমএএম/ এফসি

আরও পড়ুন