• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১৮, ২০১৯, ০৫:১৩ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : ডিসেম্বর ১৮, ২০১৯, ০৫:২২ পিএম

রাজাকারের তালিকা স্থগিত, পরবর্তী তালিকা প্রকাশ ২৬ মার্চ

রাজাকারের তালিকা স্থগিত,  পরবর্তী তালিকা প্রকাশ ২৬ মার্চ
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক-ফাইল ছবি

মুক্তিযোদ্ধাদের নাম থাকায় রাজাকারের তালিকা স্থগিত করা হয়েছে। পরবর্তী তালিকা প্রকাশ করা হবে আগামী বছর ২৬ মার্চ (বৃহস্পতিবার)

বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।

মোজাম্মেল হক বলেন, রাজাকারদের এই তালিকা নতুন কোনও তালিকা নয়। নতুনভাবে কাউকে তালিকা করতেও দায়িত্ব দেয়া হয়নি। ওই সময় ডিসি অফিসের রেকর্ড রুমে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং বিজি প্রেসের প্রকাশিত গেজেটে যাদের নাম পাওয়া গেছে, তাদের নামই এই সংখ্যার মধ্যে রয়েছে। তবে এটি এখনও পরিপূর্ণ নয়। অনেক জেলার ডিসি জানান, তারা রেকর্ড রুমে এ ধরনের কোনও তথ্য পাননি। আমরা তাদের আরও খোঁজাখুঁজি করার জন্য বলেছি।

রাজাকারের তালিকায় মুক্তিযোদ্ধাদের নাম থাকায় ক্ষোভে ফুঁসছে গোটা দেশ। বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধন হয়েছে বিভিন্ন জায়গায়। যাতে যোগ দিয়েছেন মুক্তিযোদ্ধাসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ। এ নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেছেন, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।

তালিকা নিয়ে তুমুল বিতর্কের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মন্ত্রীকে এ বিষয়ে নির্দেশনা দেন। তিনি তালিকাটি যাচাই-বাছাই করতে বলেন। পরে মন্ত্রণালয় তালিকাটি স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেয়।

মহান বিজয় দিবসের আগের দিন ১৫ ডিসেম্বর সংবাদ সম্মেলন করে রাজাকারের ১০ হাজার ৭৮৯ জনের নাম প্রকাশ করেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। এ তালিকায় মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ পরিবারের সদস্য, মুক্তিযুদ্ধে শহীদের স্ত্রী, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রধান প্রসিকিউটর, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠকসহ অনেকের নাম আসে যারা স্বাধীনতা আন্দোলনে বিভিন্ন পর্যায়ে ভূমিকা রাখেন।

বিভিন্ন স্থানে মানববন্ধন-বিক্ষোভ

মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ও মুক্তিযোদ্ধাদের নাম রাজাকারের তালিকায় আসার প্রতিবাদে বিভিন্ন স্থানে মানববন্ধন-বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন মুক্তিযোদ্ধারা।

সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া শহীদ মিনার চত্বরে জড়ো হন দুই শতাধিক মুক্তিযোদ্ধা। পরে মানববন্ধনে বক্তারা সিরাজগঞ্জের মুক্তিযোদ্ধার কমান্ডার এবং পলাশ ডাঙ্গা যুব শিবিরে প্রতিষ্ঠাতা আবদুল লতিফ মির্জার নাম রাজাকারের তালিকায় আসায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

তারা দাবি জানান, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের পদত্যাগের। পরে বিক্ষোভ করেন মুক্তিযোদ্ধরা। স্লোগান দিয়ে তালিকা সংশোধনের দাবি জানান। বলেন, দ্রুত এই দাবি পূরণ না হলে আগামীতে মহাসড়ক অবরোধের মত কঠোর কর্মসূচি পালনে বাধ্য হবেন তারা।

বগুড়ার সান্তাহারে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন মুক্তিযোদ্ধারা। সকালে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভ চত্বরে জড়ো হন তারা। মুক্তিযোদ্ধারা বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক কসিম উদ্দিন আহমেদসহ কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধার নাম রাজাকারের তালিকায় এসেছে। এই তালিকা সংশোধন না হওয়া পর্যন্ত অবস্থা কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন তারা।

এসএমএম

আরও পড়ুন