• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুন ৭, ২০২১, ০৯:১০ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুন ৭, ২০২১, ০৯:১০ পিএম

ছয় দফা মানেই স্বাধীনতার এক দফা

ছয় দফা মানেই স্বাধীনতার এক দফা

ঐতিহাসিক ৬ দফার ভেতরেই এক দফা নিহিত ছিল মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘‘১৯৬৬ সালে স্বায়ত্তশাসনের দাবিতে দেওয়া বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৬ দফার ভেতরেই এক দফা নিহিত ছিল। সেই এক দফা ছিল স্বাধীনতা। সেটা অন্তত আমরা পরিবারের সদস্যরা জানতাম। তিনি (বঙ্গবন্ধু) সব সময় বলতেন ৬ দফা মানেই ১ দফা। অর্থাৎ স্বাধীনতা। আজকে আমরা সেই স্বাধীন জাতি।’’

সোমবার (৭ জুন) ঐতিহাসিক ৬ দফা দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ টেলিভিশনে সম্প্রচারিত ধারণকৃত এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, ‘‘৬ দফা বাস্তবায়নের জন্য ডাকা ঐতিহাসিক ৭ জুনের হরতাল সফল করার জন্য আমার মা ফজিলাতুননেসা মুজিব বিশেষ ভূমিকা নিয়েছিলেন। মে মাসে বঙ্গবন্ধুকে গ্রেপ্তারের পর তার মুক্তির দাবিতে এবং ৬ দফা বাস্তবায়নের দাবিতে আন্দোলন চলছিল তিনি কারাবন্দি থাকা অবস্থায়। তখন ৭ জুন হরতাল ডাকা হয়। এখানে আমি আমার মায়ের কথা বলব। এই হরতাল সফল করার জন্য আমার মা বিশেষ ভূমিকা নিয়েছিলেন। তিনি ইন্টেলিজেন্স বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে আমাদের ছাত্রদের সঙ্গে, সংগঠনগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ করে হরতাল সফল করার জন্য কাজ করেছেন।’’

তিনি আরো বলেন, ‘‘এই ৭ জুন রক্তের অক্ষরে ৬ দফা দাবির কথা লিখে গিয়েছিল বলেই ৬ দফার ভিত্তিতে নির্বাচন এবং আমাদের যুদ্ধে বিজয়। আমরা স্বাধীনতা অর্জন করি। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার ছাত্রজীবন থেকে এ দেশের মানুষের জন্য সংগ্রাম করেছেন। বাঙালি জাতি একটা উন্নত জীবন পাবে, সুন্দর জীবন পাবে এটাই তার আকাঙ্ক্ষা ছিল। তিনি সেটাই চেয়েছিলেন। তার সবসময় চিন্তা ছিল কীভাবে এ জাতিকে দুঃখ দারিদ্র্য থেকে মুক্তি দেবেন, ক্ষুধা-শোষণ-বঞ্চনা থেকে মুক্তি দিয়ে একটা উন্নত জীবন দেবেন।’’

তিনি আরো বলেন, ‘‘তাসখন্দ চুক্তিকে কেন্দ্র করে ১৯৬৬ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি লাহোরে তৎকালীন পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তানের সব বিরোধী রাজনৈতিক দল জাতীয় সম্মেলনের ডাক দেয়। সে সম্মেলনে বঙ্গবন্ধুর এ দাবির প্রতি আয়োজক পক্ষ গুরুত্ব প্রদান করেনি। তারা এ দাবি প্রত্যাখ্যান করে। প্রতিবাদে বঙ্গবন্ধু সম্মেলনে যোগ না দিয়ে লাহোরে অবস্থানকালেই ৬ দফা উত্থাপন করেন।’’

আওয়ামী লীগ সভানেত্রী বলেন, ‘‘৬ দফা দাবি আদায় এবং কারাবন্দি শেখ মুজিবের মুক্তির দাবিতে ১৯৬৬ সালের ৭ জুন ঢাকাসহ সারা বাংলায় আওয়ামী লীগের ডাকে হরতাল পালিত হয়। সেদিনের হরতালে টঙ্গী, ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জে তৎকালীন পুলিশ ও ইপিআরের গুলিতে মনু মিয়া, শফিক ও শামসুল হকসহ ১১ জন শহীদ হন, গ্রেপ্তার হন অনেকে।’’