• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুলাই ২, ২০২১, ০৩:১২ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুলাই ২, ২০২১, ১০:৩৭ পিএম

ঢাবি‍‍`র শতবর্ষে পদার্পণে ভারতীয় হাইকমিশনারের শুভেচ্ছাবার্তা

মুক্তিযুদ্ধে ‍‍`গণহত্যা‍‍‍‍`র ওপরে ঢাবিতে গবেষণাগার

মুক্তিযুদ্ধে ‍‍`গণহত্যা‍‍‍‍`র ওপরে  ঢাবিতে গবেষণাগার
ছবিঃ- শ্রী বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী

ভারতের পক্ষ থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষে পদার্পণ উপলক্ষ্যে  এক শুভেচ্ছাবার্তা পাঠিয়েছেন এবং সেখানে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে গণহত্যার বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি গবেষণাগার প্রতিষ্ঠা ও কিছু অবকাঠামোগত সংস্কারের (যেমন-বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহাসিক কিছু হল) বিষয়ে তাদের আগ্রহ ও সহযোগিতা প্রদানের নিশ্চয়তার কথা পরিষ্কারভাবে উল্লেখ করেছেন। 

বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় দূতাবাসের হাই কমিশনার শ্রী বিক্রম কুমার দোরাইস্বামীর বরাতে এই চিঠিটি পাঠিয়েছেন। 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বাঙ্গীণ মঙ্গল কামনা করে শ্রী বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী দু'দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে সামনের দিকে এগিয়ে নেয়া ও নতুন প্রজন্মের ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষাক্ষেত্রে  সুযোগ সৃষ্টিতে এবং উভয় দেশের সম্পর্ককে আরও মসৃণ হবার সুযোগ তৈরিতে এই উদ্যোগটি নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

সেখানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও তার এলামনাই সদস্যদের আন্তরিক প্রচেষ্টাকে স্মরণ করে দু'দেশের পথচলাকে সহজতর ও আরও আন্তরিক  প্রচেষ্টা রাখতেই এই উদ্যোগ -বিষয়টি উল্লেখ করে তাঁর শুভেচ্ছা বার্তায় লিখেছেন, 'আপনার বিশ্ববিদ্যালয়ের ভালো-মন্দ-সাফল্য-অর্জনগুলোর উদযাপনে আমি ও আমার সকল সহকর্মী, ভারত ও তার নাগরিকের দীর্ঘ সংশ্লিষ্টতার  কথা স্মরণ করছি , বিশেষ করে সেই ১৯৭১ সাল থেকে। আমি আত্মবিশ্বাসী যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও তার এলামনাই সদস্যরা একুশ শতকে বাংলাদেশকে সঠিক নেতৃত্ব প্রদানের মধ্য দিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে এবং আমরা এই বিশাল সুযোগটিকে উপলব্ধি করবো ও তা কাজে লাগিয়ে দু'দেশের ছাত্র-ছাত্রী ও শিক্ষা ক্ষেত্রে ভূমিকার মধ্যদিয়ে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককের উন্নতিকে বৃদ্ধি করতে সমর্থ হবো যা সামনের সময়গুলোতে আমাদের বন্ধুত্বকে আরও মসৃণ করবে।' 

চিঠিটিতে তিনি আরও বলেন,  'আমার যখন আপনার বিশ্ববিদ্যালয়টি দেখার সুযোগ হলো এবং তখন আমরা যে প্রস্তাবগুলি নিয়ে আলোচনা করেছিলাম, সেগুলো বাস্তবায়নের প্রতি আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ-বিশেষ করে, একাডেমিক চেয়ার প্রতিষ্ঠা, ১৯৭১ সালের গণহত্যা সম্পর্কিত প্রস্তাবিত নতুন গবেষণা কেন্দ্রের জন্য সহযোগিতা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকটি ঐতিহাসিক হলকে উন্নতিকরণ (পুন:সংস্কারের জন্য)। 

উল্লেক্ষ্য, গত কাল বৃহস্পতিবার শততম বর্ষ পূর্ণ হলো ‘প্রাচ্যের অক্সফোর্ড’ খ্যাত বাংলাদেশের প্রথম ও সবচেয়ে প্রাচীন বিশ্ববিদ্যালয়-ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের। ১৯২১ সালের ১ জুলাই এই ভূখণ্ডের প্রথম বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় যাত্রা শুরু করে। সেই অর্থে গতকালই পা রাখলো ১০০তম বর্ষে। শতবর্ষ উদযাপনে বেশ কিছু পরিকল্পনা থাকলেও মহামারি করোনার কারণে আপাতত সীমিত পরিসরে ভার্চুয়ালি উদযাপন করা হয় দিবসটি। গতকাল বৃহস্পতিবার অনলাইনে ভার্চুয়াল আলোচনা সভা করা হয়। 

শতবর্ষপূর্তি উপলক্ষে আপাতত বিশেষ কোনো অনুষ্ঠান নেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের। করোনা পরিস্থিতির কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের পক্ষ থেকে গতকাল শুধু অনলাইনে একটি আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছিল। এতে ভাষাসৈনিক আবদুল গাফ্‌ফার চৌধুরী ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষ: ফিরে দেখা’ শীর্ষক মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন। অবশ্য শতবর্ষের মূল অনুষ্ঠান বর্ণাঢ্য ও জাঁকজমকপূর্ণভাবে আয়োজন করা হবে আগামী ১ নভেম্বর। বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে এ অনুষ্ঠান হবে, যেখানে রাষ্ট্রপতি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য মো. আবদুল হামিদ প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বলে আশা করছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। 

জাগরণ/ এসকেএইচ