• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০১৯, ০৩:২৭ পিএম

বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনে দুই কমিটি গঠন

বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনে দুই কমিটি গঠন

 

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ উদযাপনে ১০২ সদস্যের একটি জাতীয় কমিটি এবং ৬১ সদস্যের একটি বাস্তবায়ন কমিটি গঠন করেছে সরকার। বৃহস্পতিবার রাতে এ বিষয়ে আলাদা প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গঠিত জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় কমিটিতে সদস্য হিসেবে আছেন বঙ্গবন্ধুর ছোট মেয়ে শেখ রেহানা ছাড়াও স্পিকার, প্রধান বিচারপতি, সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা। 

আওয়ামী লীগের গত সরকারের ১০ জন মন্ত্রী, বর্তমান সরকারের মন্ত্রী, উপদেষ্টা, প্রতিমন্ত্রী, ঢাকার দুই মেয়র, তিন বাহিনীর প্রধান, পুলিশ মহাপরিদর্শক, কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, দুজন সাবেক গভর্নর, বিভিন্ন ধর্মের প্রতিনিধি এবং বেশ কয়েকজন শিল্পী ও সাংস্কৃতিক কর্মীকে এই কমিটিতে রাখা হয়েছে। 

সাবেক মুখ্য সচিব কামাল আবদুল নাসের চৌধুরীকে এ কমিটির সদস্য সচিবের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তিনিই জাতীয় অধ্যাপক রফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে গঠিত বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান সমন্বয়কের ভূমিকায় থাকবেন।

কয়েকজন মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, সচিব এবং সরকারের বিভিন্ন দফতরের প্রধানরা ছাড়াও শিক্ষক, স্থপতি, কবি, লেখক, প্রকাশক, সাংবাদিক, গায়ক, অভিনেতা, ক্রীড়াবিদ ও সাংস্কৃতিক কর্মীকে বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য হিসেবে রাখা হয়েছে।

১৯২০ সালের ১৭ মার্চ গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন শেখ মুজিবুর রহমান। কালক্রমে তার হাত ধরেই ১৯৭১ সালে বিশ্ব মানচিত্রে নতুন দেশ হিসেবে স্থান করে নেয় বাংলাদেশ।

আসছে ২০২০ সালে বঙ্গবন্ধুর জন্মের শত বছর পূর্ণ হবে। আর ঠিক পরের বছর ২৬ মার্চ বাংলাদেশ উদযাপন করবে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী।

বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ উদযাপনে ২০২০ ও ২০২১ সালকে ‘মুজিব বর্ষ’ হিসেবে ঘোষণা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত বছর এক অনুষ্ঠানে বলেন, এ আয়োজনে সকল বয়স ও শ্রেণি-পেশার মানুষকে সম্পৃক্ত করা হবে। শিশু, তরুণ, যুবক- সব স্তরের জন্য আলাদা কর্মসূচি থাকবে। আয়োজনের বিস্তারিত থাকবে দেশের সকল ওয়ার্ড পর্যন্ত।


বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ উদযাপনে জাতীয় কমিটি : 

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ উদযাপনে ১০২ সদস্যের জাতীয় কমিটির সদস্যরা হচ্ছেন- প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বঙ্গবন্ধুর ছোট কন্যা শেখ রেহানা, স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী, বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, বিরোধীদলীয় নেতা হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ, বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হক, সাবেক মন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, মতিয়া চৌধুরী, মোহাম্মাদ নাসিম, খন্দকার মোশারফ হোসেন, সাবেক চিফ হুইপ আবুল হাসনাত আব্দুল্লাহ, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, রাশেদ খান মেনন, হাসানুল হক ইনু, আসাদুজ্জামান নূর, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, কৃষিমন্ত্রী আবদুর রাজ্জাক, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল, তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন, পার্বত্য বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং, ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার, প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম, প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমান, প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-এলাহী চৌধুরী, প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী, প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক, প্রধানমন্ত্রী তথ্য উপদেষ্টা সজীব আহমেদ ওয়াজেদ, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন, বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ হাসান, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, সেনাবাহিনী প্রধান, নৌবাহিনী প্রধান, বিমানবাহিনী প্রধান, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক, সাবেক প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম, চলচ্চিত্র শিল্পী ও সাবেক সংসদ সদস্য সারাহ বেগম কবরী, অধ্যাপক এমিরিটাস আনিসুজ্জামান, জাতীয় অধ্যাপক মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, সাংবাদিক ও লেখক আবদুল গাফ্‌ফার চৌধুরী, সংসদ সদস্য শেখ হেলাল উদ্দীন, সংসদ সদস্য সাবের হোসেন চৌধুরী, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি ও সংসদ সদস্য নাজমুল হাসান, সংসদ সদস্য শ্রী দীপংকর তালুকদার, জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ও সংসদ সদস্য মুহম্মদ শফিকুর রহমান, অভিনেতা ও সংসদ সদস্য আকবর হোসেন পাঠান ফারুক, সংসদ সদস্য মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা, বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক, পিকেএসএফের চেয়ারম্যান ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ও অর্থনীতিবিদ ড. আতিউর রহমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, বাংলাদেশ প্রকৌশল ও কারিগরি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (ময়মনসিংহ) উপাচার্য, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, ইতিহাসবিদ অধ্যাপক সৈয়দ আনোয়ার হোসেন, অধ্যাপক মুনতাসির মামুন, এফবিসিসিআই সভাপতি, লে. কর্নেল (অব.) কাজী সাজ্জাদ আলী জহির বীরপ্রতীক, জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের খতিব, শোলাকিয়া ঈদ জামাতের ইমাম মাওলানা ফরিদউদ্দিন মাসউদ, ঢাকা রামকৃষ্ণ মিশনের অধ্যক্ষ শ্রীমৎ স্বামী পূর্ণাত্মনন্দজী মহারাজ, ঢাকা আর্চবিশপের কার্ডিনাল প্যাট্রিক ডি রোজারিও, রামু সীমাবিহার বৌদ্ধ মন্দিরের শ্রী সত্যপ্রিয় মহাথের, লেখক ও শিক্ষাবিদ অধ্যাপক হাসান আজিজুল হক, ডায়াবেটিক এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক ডা. এ কে আজাদ খান, শিল্পী মুস্তাফা মনোয়ার, বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের বোর্ড অব ট্রাস্টিজ চেয়ারম্যান শিল্পী হাশেম খান, শিল্পী শাহাবুদ্দিন আহমেদ, লোকসাহিত্যিক শামসুজ্জামান খান, লেখক কামাল লোহানী, শিক্ষাবিদ ড. অনুপম সেন, সিনিয়র সাংবাদিক তোয়াব খান, চলচ্চিত্র ও নাট্যশিল্পী সৈয়দ হাসান ইমাম, কবি নির্মলেন্দু গুণ, নাট্যব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি মফিদুল হক, শিক্ষাবিদ ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল, ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি ড. ফখরুল আলম, শিক্ষাবিদ সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি ড. মুহাম্মদ সামাদ, চলচ্চিত্র পরিচালক নাসির উদ্দীন ইউসূফ, বাংলাদেশ শিশু একাডেমির চেয়ারম্যান সেলিনা হোসেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মৃতি জাদুঘরের কিউরেটর নজরুল ইসলাম খান, কণ্ঠশিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা, সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশনের ট্রাস্টি রেদওয়ান মুজিব সিদ্দিক, ক্রীড়াবিদ কাজী মোহাম্মদ সালাউদ্দিন, চলচ্চিত্র শিল্পী এম এ আলমগীর, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মৃতি জাদুঘরের সদস্য সচিব শেখ হাফিজুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক মুখ্য সচিব ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী।

বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ উদযাপনে বাস্তবায়ন কমিটি : 

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষিকীর অনুষ্ঠান বাস্তবায়নে গঠিত ৬১ সদস্যের কমিটির সদস্যরা হচ্ছেন- জাতীয় অধ্যাপক মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল, জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, সাবেক মন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ, সংসদ সদস্য অসীম কুমার উকিল, সংসদ সদস্য র আ ম ওবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের (মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ) সচিব, তথ্য সচিব, জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব, ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সচিব, জণপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব, অর্থ বিভাগের সচিব, সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সচিব, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, প্রিন্সিপাল ষ্টাফ অফিসার (সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ), মহাপুলিশ পরিদর্শক, সাবেক প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম, সারাহ বেগম কবরী, নজরুল ইসলাম খান, বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক হাবীবুল্লাহ সিরাজী, শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক, বাংলাদেশ টেলিভিশনের মহাপরিচালক, বাংলাদেশ বেতারের মহাপরিচালক, জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ডেপুটি সেক্রেটারি, অবসরপ্রাপ্ত লেফট্যানেন্ট কর্নেল কাজী সাজ্জাদ আলী জহির (বীরপ্রতীক), সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশনের ট্রাস্টি রেদওয়ান মুজিব সিদ্দিক, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মৃতি জাদুঘরের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুরা হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি, সাংবাদিক আবেদ খান, নাট্যশিল্পী সারা যাকের, চলচ্চিত্র শিল্পী এম এ আলমগীর, ফজলে শামস পরশ, কবি ও স্থপতি রবিউল হুসাইন, কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা, মাছরাঙা টেলিভিশনের চেয়ারম্যান অঞ্জন চৌধুরী, লেখক ও সাংবাদিক ইমদাদুল হক মিলন, চ্যানেল আইয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফরিদুর রেজা সাগর, সাংবাদিক সৈয়দ বদরুল আহসান, সাংবাদিক মনজুরুল আহসান বুলবুল, সাংবাদিক স্বদেশ রায়, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুস, কথাশিল্পী আনিসুল হক, কবি তারিক সুজাত, কথাশিল্পী কাজী আনিস আহমেদ, ক্রীড়াবিদ সাকিব আল হাসান, সঙ্গীত শিল্পী সাজেদ আকবর, সাংবাদিক মোজাম্মেল বাবু, সাংবাদিক সুভাস সিংহ রায়, বাংলাদেশ জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতির সভাপতি, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক মুখ্য সচিব ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী।

এমএম/ এফসি