খাবারের সঙ্গে বাড়তি কাঁচা লবণ খাবেন না।
খুব তাড়াহুড়ো করে খাবার গ্রহণ করবেন না।
রান্না করার সময় খাবারে অল্প লবণ ব্যবহার করুন।
ফাস্টফুড, রেস্টুরেন্ট ও ক্যান্টিনের খাবারে প্রচুর লবণ এবং ক্ষতিকর চর্বি থাকে, তাই এসব খাবার পরিহার করুন।
কাঁচা ফলমূল বা শাক-সবজি খাওয়ার সময় লবণ দিয়ে খাবেন না।
টিনজাত স্যুপ, সবজি, মাংস এবং মাছ, প্রক্রিয়াজাত পনির এবং মাংস, হিমায়িত খাবার এড়িয়ে চলুন।
মিষ্টি ফল খুব বেশি পরিমাণে খাবেন না। এর পরিবর্তে টক মিষ্টি ফল মিলিয়ে খান।
সুস্থ থাকার জন্য মিষ্টি, মিষ্টি জাতীয় খাবার, মিষ্টি পানীয়, যেমন কোক, পেপসি- এসব খাবারকে ‘না’ বলুন।
খাদ্যকে সুস্বাদু করার জন্য ব্যবহৃত বিভিন্ন জিনিস যেমন সয়াসস, সালাদ বানানোর উপকরণ) ব্যবহার করবেন না।
রান্নায় অতিরিক্ত মসলা, তেল, ঘি, মাখন ব্যবহার করবেন না।
রান্নার সময় মাছ অতিরিক্ত ভাজবেন না। হালকা ভেজে নেয়া যেতে পারে, তবে না ভাজাই উত্তম।
যাদের উচ্চ রক্তচাপ আছে তারা শুটকি মাছ, আচার জাতীয় খাবার খাবেন না।
রান্নার তেল সংক্রান্ত
সুস্বাস্থ্যের জন্য রান্নায় সঠিক তেল নির্বাচন এবং তেলের পরিমাণ নির্ধারণ করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। একাধারে দীর্ঘদিন সয়াবিন তেলের ব্যবহার হার্টের নানা জটিল সমস্যা এবং শরীরের বিভিন্ন রকম প্রদাহ সৃষ্টি করে। এছাড়া যারা থাইরয়েড-এর সমস্যায় ভুগছেন তাদের জন্যও সয়াবিন তেল স্বাস্থ্যসম্মত নয়।
সেক্ষেত্রে সম্ভব হলে অলিভ অয়েল/ নারকেল তেল/ তিলের তেল/ ক্যানলা তেল বা সূর্যমুখীর তেল ব্যবহার করা ভালো।
সারাদিনের রান্নার জন্য মাথাপিছু ৪-৫ চা চামচ তেলই যথেষ্ট।
বেশি তেল দিয়ে রান্না করলে রান্নার স্বাদ বাড়বে- এই ধারণা থেকে বের হয়ে আসতে হবে।
যতটা পারা যায় কম তেলে রান্নার অভ্যাস করুন, এতে পরিবারের সবার স্বাস্থ্য ভালো থাকবে।
সচেতন হোন এবং সুস্থ থাকুন।
লেখক : পুষ্টিবিদ, বেক্সিমকো ফার্মা লিমিটেড।
এফসি