• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: মে ১৯, ২০১৯, ০৭:৪২ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : মে ১৯, ২০১৯, ০৭:৪৮ পিএম

রমজানে সুস্থ থাকতে যে কাজ গুলো করা ঠিক নয়

রমজানে সুস্থ থাকতে যে কাজ গুলো করা ঠিক নয়

অতিরিক্ত পানি পান করা
 
ইফতারিতে অনেকেই আছেন একবারে অনেক বেশি পানি এবং পানীয় খেয়ে ফেলেন যা কিডনির স্বাস্থ্যের জন্য মোটেও ভালো না।মনে রাখতে হবে,আমাদের কিডনি প্রতি ঘন্টায় সাছন্দে ০.৮ -১লিটার পানি ফিল্ট্রেট করতে পারে।এর বেশি পানি পান করলে কিডনির উপর অনাকাঙ্ক্ষিত চাপ পড়ে।তাই,  রোজা ভাঙ্গার পর অল্প অল্প করে কিছুক্ষণ পর পর পানি খাবেন এতে বডি হাইড্রেট ও থাকবে আবার কিডনি ও সুস্থ থাকবে।মনে রাখবেন,ইফতার থেকে সাহরি পর্যন্ত অন্তত ৮-১০ গ্লাস পানি পান করা উচিত।

রোজা ভেঙ্গেই ভাঁজা-পোড়া খাবার গ্রহন
 
রোজা ভাঙ্গার পর পরই ভাজা-পোড়া খাওয়া ঠিক না।অনেকেই আছেন একটু পানি এবং খেজুর খেয়েই সাথে সাথে পেয়াজু, বেগুনি এই আইটেম গুলো খেয়ে থাকেন যার ফলে আমাদের স্টোমাকের উপর চাপ পড়ে এবং গ্যাস্ট্রিক বা বদ হজম হওয়া খুব স্বাভাবিক ব্যাপার।সুতরাং, রোজা ভাঙ্গার পর এমন সব খাবার বেছে নিন যা সহজপাচ্য অথচ পুষ্টিকর।

চিনির তৈরি খাবার খাওয়া
 
ইফতারিতে চিনির তৈরি খাবার এবং পানীয়র প্রতি অতিরিক্ত নির্ভরশীলতা ঠিক নয়। আমাদের দেশে ইফতারির আইটেমে চিনির তৈরি বিভিন্ন রকম শরবত এবং বিভিন্ন রকম ডেজারটের দৃশ্য খুবই পরিচিত যা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ক্ষতিকর।
অনেকেই ভাবছেন,যে চিনির তৈরি খাবার কেবল ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খারাপ ব্যাপারটি এমন নয়।সাদা চিনি যে কারো স্বাস্থ্যের জন্য খারাপ।তাই এড়িয়ে চলুন চিনির তৈরি যেকোনো আইটেম।শরবত খেতে চাইলে চিনি ছাড়া ফলের শরবত বা ডাবের পানি খেতে পারেন যা একাধারে স্বাস্থ্যসম্মত এবং পুষ্টিকর।আর মিষ্টি কিছু খেতে চাইলে কৃত্রিম চিনি ব্যবহার করতে পারেন।

রাতের খাবার বাদ দেয়া
 
অনেকেই আছেন ইফতারিতে ভরপেট খেয়ে,তারাবির নামাজের আদায়ের পর আর কিছুই খান না।বরং,নিয়ম হল ইফতারিতে পরিমিত খাবার খেয়ে তারাবির নামাজ আদায়ের পর অল্প পরিমানে হলেও কিছু খেয়ে নেয়া।এসময়,ওটস বা রুটি-সবজি,এক টুকরো মাছ বা মাংস  খাওয়া যেতে পারে।

সাহরি না খাওয়া
 
অনেকেই আলসেমি করে সাহরিতে উঠতে চান না।ফলে দীর্ঘ সময় না খেয়ে রোজা রাখতে থাকতে হয়।ফলে,সারাদিনের ক্যালরি চাহিদার অনেক খানি অপূর্ণ থাকে।শুধু যে ক্যালরি চাহিদা পূরণ হয়না,তা নয় দরকারি পুষ্টি উপাদান এবং পানির চাহিদা উভয়ের ঘাটটি দেখা দেয়।ফলে,রোজা রেখে সারাদিন দুর্বলতা,ক্লান্তি এবংপানিশূন্যতারকারণে মাথা ব্যথার সমস্যায় ভোগা স্বাভাবিক ব্যাপার।তাই,অলসতা না করে অবশ্যয় সাহরি খেয়ে রোজা রাখুন এবং সুস্থ ভাবে সব গুলো রোজা পালন করুন।

রোজা রেখে অতিরিক্ত ব্যায়াম করা
 
রমজানে ফিট থাকার উদ্দেশে অতিরিক্ত ব্যায়াম করা ঠিক নয়।যারা ফিটনেস ঠিক রাখার জন্য রমজান মাসকে টার্গেট করেছেন তাদের বলবো রোজা রেখে তারাবির নামাজ আদায় করলে আর অতিরিক্ত ব্যায়ামের দরকার নেই।তারপর ও যদি ব্যায়াম করতে চান তবে সন্ধ্যা বা রাতে খাবার পর হাল্কা হাটা-হাটি করতে পারেন।মনে রাখবেন,আপনি ডায়াবেটিস রোগী হন আর ফিটনেস সচেতন হোন তারাবির নামাজ আদায় করুন তাহলে আর অতিরিক্ত ব্যায়ামের দরকার হবে না।

লেখক:  পুষ্টিবিদ, বেক্সিমকো ফার্মা লিমিটেড


/ডিজি