• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৪, ২০১৯, ১০:৩২ এএম
সর্বশেষ আপডেট : সেপ্টেম্বর ২৪, ২০১৯, ১০:৩২ এএম

শেষ মুহূর্তে প্রতিমায় চলছে রঙ তুলির ছোঁয়া

শেষ মুহূর্তে প্রতিমায় চলছে রঙ তুলির ছোঁয়া

সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ শারদীয় দুর্গোৎসবের রঙ ছড়িয়ে দিতে ব্যস্ত সময় পার করছে মৃৎশিল্পের দক্ষ কারিগররা। তাদের হাতের নিপুণ ছোঁয়া আর শেষ মুহূর্তে রঙ তুলির আঁচড়ে প্রাণবন্ত হয়ে উঠতে শুরু করেছে একেকটি প্রতিমা। শৈল্পিক কারুকার্যের অলঙ্কারে ফুটে উঠছে দেবী দুর্গার সৌন্দর্য।

আগামী ৪ অক্টোবর (শুক্রবার) মহা ষষ্ঠীর মধ্য দিয়ে শুরু হবে বৃহৎ এই দুর্গোৎসবের আনুষ্ঠানিকতা। এ জন্য প্রতিমা সাজানোতে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। যেন দেবী দুর্গার আগমনে দম ফেলবার ফুসরত নেই মৃৎশিল্পীদের।

এদিকে, প্রকৃতির চারপাশজুড়ে মৃদু হাওয়ায় গা ভাসিয়ে দোল খাচ্ছে কাশফুল। কাশবনের উচ্ছলতাই জানিয়ে দিয়েছে দুর্গার আগমনী বার্তা। এ বছর দেবী দুর্গা ঘোটকে আগমন করে ঘোটকেই স্বামীগৃহে গমন করবে।

অপরদিকে, এ বছর চুয়াডাঙ্গা জেলায় গত বছরের চেয়ে পূজা মণ্ডপের সংখ্যা বেড়েছে। জেলার চারটি উপজেলায় ১১৭টি পূজা মণ্ডপে দুর্গোৎসবের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। এখন মণ্ডপজুড়ে চলছে প্রতিমা স্থাপনসহ সাজসজ্জার কাজ।

জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা জেলায় এ বছর ১১৭টি মণ্ডপের দুর্গোৎসবের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।। এর মধ্যে সদর উপজেলায় ৩৩টি, দামুড়হুদা উপজেলায় ২২টি, আলমডাঙ্গা উপজেলায় ৩৬টি ও জীবননগর উপজেলায় ২৬টি। 

সরেজমিনে দেখা গেছে, চুয়াডাঙ্গার বড় বাজার সার্বজনীন দুর্গা মন্দির, দৌলৎদিয়ার বারোয়ারী দুর্গা মন্দির, দাস পাড়া দুর্গা মন্দির, মালো পাড়া দুর্গা মন্দির, বেলগাছী দুর্গা মন্দির, আলুকদিয়া দুর্গা মন্দিরসহ বিভিন্ন এলাকার মন্দির ঘুরে দেখা গেছে, ছোট বড় সব মন্দিরেই এখন চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। রঙ তুলির ছোঁয়ায় প্রতিমার আকর্ষণ বাড়ানোর পাশাপাশি দৃষ্টিনন্দন মণ্ডপ তৈরিতে অঘোষিত প্রতিযোগিতায় নেমেছে অনেকে। এছাড়াও গত বারের মতো এ বছর বিশেষ আর্কষণ চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার দাস পাড়া মহিলা সংঘের দুর্গোৎসব।

প্রতিমা তৈরির কাজ করছেন কয়েকজন মৃৎশিল্পী জানান, গত বছরের তুলনায় এ বছর প্রতিমা তৈরির কাজ একটু বেশি। প্রতিমা দৃষ্টিনন্দন করতে দিনরাত কাজ হচ্ছে। এখন রঙ তুলির আঁচড়ে সাজানো হচ্ছে।

চুয়াডাঙ্গার বড় বাজার সার্বজনীন দুর্গা মন্দির কমিটির সাধারণ সম্পাদক কিংকর কুমার দে জানান, প্রতিমা নির্মাণ শিল্পীরা রাতভর পরিশ্রম করছেন। চলছে রঙ তুলির আঁচড়ের কাজ।

তিনি আরও জানান, পূজায় সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রতিটি মণ্ডপে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের পাশাপাশি আনসার ও স্বেচ্ছাসেবক নিয়োজিত থাকবে। এছাড়া সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে থাকবে পুলিশসহ সাদা পোশাকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।

চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম জানান, প্রতিটি পূজা মণ্ডপ এলাকায় অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে তিনস্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হবে।

১১৭টি মণ্ডপের মধ্যে কয়েকটিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সদস্যদের বাড়তি নজরদারীতে থাকবে।

আগামী (৪ অক্টোবর) শুক্রবার ষষ্ঠাদি কল্পারম্ভ ও মহাষষ্ঠী বিহিত পূজো ও সায়ংকালে দেবীর আমন্ত্রণ ও অধিবাস, শনিবার (৫ অক্টোবর) মহাসপ্তমী বিহিত পুজো, দেবীর নব পত্রিকা প্রবেশ, স্থাপন, সপ্তমাদি কল্পারম্ভ ও মহাসপ্তমী বিহিত পূজো। রোববার (৬ অক্টোবর) মহাষ্টমী, কুমারী ও সন্ধিপুজো, সোমবার (৭ অক্টোবর) মহানবমী, মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) ও বিজয়া দশমী বিহিত পূজোর মধ্যে দিয়ে সমাপ্তি ঘটবে।

কেএসটি

আরও পড়ুন