• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: এপ্রিল ৩০, ২০২০, ০৪:০৬ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : এপ্রিল ৩০, ২০২০, ০৪:০৬ পিএম

যে ফলের গুনের শেষ নেই

যে ফলের গুনের শেষ নেই
পেপিনোমেলন ● সংগৃহীত

এবার উত্তরের কৃষি অর্থনীতিতে নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করতে চলেছে পেপিনোমেলন নামের ওষুধি ফল।

গতানুগতিক নিয়ম ভেঙে ছাদ বাগানের এই ফল মাঠে লাগানো হয়েছে। সফলভাবে উৎপাদন করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন রংপুরের মিঠাপুকুরের চুহড় গ্রামের চাষি সেলিম মিয়া। করছেন বিভিন্ন দেশের আরও কয়েকটি ফল-ফলাদির চাষ। এসব ফল-ফলাদির বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু করতে চায় কৃষি বিভাগ।

শতবছর আগে যে গ্রাম থেকে নারীর অগ্রযাত্রা শুরু হয়েছিল, বেগম রোকেয়ার সেই পায়রাবন্দ থেকেই আরেকটি বিপ্লবের সূচনা।

ফলটা দেখতে অনেকটাই বেগুনের মতো। দক্ষিণ আমেরিকার ফল পেপিনোমেলন ঘর বেঁধেছে বাংলার পানি, হাওয়ায়। শখের বসে বিদেশ থেকে একটি চারা এনে এখন বাণিজ্যিকভাবে এই ফলের চাষ করছেন রংপুরে উদ্যোক্তা এসএম সেলিম।

চাষি সেলিম মিয়া জানান, আবহাওয়া উপযোগী, সাথে কাঙ্ক্ষিত দাম। নতুন জাতের এই ফলের চাষ অনেকেরই কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দিয়েছে।

জেলার উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা বলেন, এটি অ্যান্টি অক্সিডেন্টসহ নানা গুন সমৃদ্ধ এই ফল।

পেপিনোমেলন দেশের পুষ্টির চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি অর্থনীতিতে বড় ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছে খামারবাড়ি।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর রংপুরের অতিরিক্ত পরিচালক মোহাম্মদ আলী জানান, পেপিনোমেলন ছাড়াও বিদেশি ডুমুর, খেজুর, এপ্রিকট, পিচফলসহ নানা প্রজাতির ফল চাষের উদ্যোগ নিয়েছেন সেলিম। ফল চাষে তাই নতুন স্বপ্ন দেখছে রংপুর কৃষি বিভাগ।

সেলিম মিয়ার মত কৃষি উদ্যোক্তাদের হাত ধরে খাদ্য নিরাপত্তায় আরেক ধাপ এগিয়ে যাবে উত্তরের কৃষি, গতিশীল হবে অর্থনীতির চাকা। যমুনাটিভি।

এসএমএম

আরও পড়ুন