• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
প্রকাশিত: মে ৬, ২০২০, ০৩:৩০ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : মে ৬, ২০২০, ০৩:৩০ পিএম

হজ কোটার অর্ধেকও নিবন্ধন হয়নি

হজ কোটার অর্ধেকও নিবন্ধন হয়নি
ফাইল ছবি

পবিত্র হজের জন্য নিবন্ধনের সময় শেষ হলেও কোটার অর্ধেকও পূরণ হয়নি। এবার হজ পালনে নিবন্ধিত কতোজন যেতে পারবেন সে সিদ্ধান্ত সৌদি সরকার নেবে বলে জানিয়েছেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ আবদুল্লাহ। 

নিবন্ধনকারীদের সংখ্যা পূরণ না হওয়ায় সরকারের কাছে প্রণোদনা দাবি করেছে হজ এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ- হাব।

করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণের কারণে চার দফা বাড়ানো হয় এবার হজ পালনে আগ্রহীদের নাম নিবন্ধনের সময়। চতুর্থ দফার সময় শেষ হয়েছে গত ৩০ এপ্রিল। কিন্তু মোট কোটার অর্ধেকও পূরণ হয়নি।

সৌদি আরবের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী, চলতি বছর বাংলাদেশ থেকে এক লাখ ৩৭ হাজার ১৯৮ জন হজে যেতে পারবেন। এর মধ্যে সরকারিভাবে ১৭ হাজার ১৯৮ জন আর বেসরকারিভাবে এক লাখ ২০ হাজার জন। কিন্তু নিবন্ধন করেছেন মোট ৬৪ হাজার ৫৯৯ জন। এর মধ্যে সরকারিভাবে যেতে নিবন্ধন করেছেন তিন হাজার ৪৫৭ জন এবং বেসরকারিভাবে নিবন্ধন করেছেন ৬১ হাজার ১৪২ জন।

বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণের পরিপ্রেক্ষিতে দেশে নিবন্ধনের অর্ধেক কোটাও পূরণ সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ আবদুল্লাহ।

তিনি জানান, এ বছর যারা নিবন্ধন করেছেন, সংখ্যা কম হলেও তাদের সবাইকে হজে পাঠানো যাবে কি না, করোনা পরিস্থিতি দেখে সে সিদ্ধান্ত দেবে সৌদি সরকার।

ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ আবদুল্লাহ বলেন, হজ হবে ইনশাল্লাহ। এখন আমাদের দেশ থেকে কতলোক পাঠাতে পারবো এবং বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে কতজন লোক আসবে এটাই হচ্ছে বিষয়। করোনাভাইরাসের কারণে ওমরাহ হজ বন্ধ হয়ে যায়। আমাদের দেশের লোকজন আতঙ্কে ছিলে আদৌ আমরা হজে যেতো পারবো কিনা ? তবে যারা টাকা-পয়সা দেয়ার কথা তারা দিচ্ছে এবং বাকি ব্যবস্থা হয়ে যাবে।

করোনাভাইরাসের কারণে হজযাত্রীদের কোটা পূরণ না হওয়ায় এবং ওমরাহ বন্ধ থাকায় আর্থিক ক্ষতির জন্য সরকারের কাছে প্রণোদনা দাবি করে এরই মধ্যে চিঠি দিয়েছে হজ এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ।

হজ এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ- হাব সভাপতি এম শাহাদত হোসাইন তসলিম বলেন, আমাদের এজেন্সিগুলো আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। হজে যদি বাংলাদেশিরা যেতে না পারে তাহলে আরও ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে।কোনও কারণে যদি এজেন্সিগুলো বন্ধ হয়ে যায় এবং এজেন্সিগুলো যদি অফিস পরিচালনা না করতে পারে তাহলে বড় ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে।

নিবন্ধিত কেউ যদি এবার হজে যেতে না পারেন তবে সামনের বছর যেতে পারবেন বা টাকা ফেরত নিতে পারবেন বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

এসএমএম

আরও পড়ুন