• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জানুয়ারি ৫, ২০২১, ০৯:৪২ এএম
সর্বশেষ আপডেট : জানুয়ারি ৫, ২০২১, ০৯:৪২ এএম

অন্তর্মুখীরা তুলনামূলক বেশি বুদ্ধিমান

অন্তর্মুখীরা তুলনামূলক বেশি বুদ্ধিমান

আমাদের চারপাশে আড্ডাপ্রিয় মানুষের সংখ্যাই বেশি। বন্ধুদের সঙ্গে, কখনো-বা পরিবারের সঙ্গে আড্ডাতেই মেতে থাকছেন অনেকে। কিন্তু এই মানুষগুলোর তুলনায় অন্তর্মুখী বা একা থাকা মানুষগুলো বেশি বুদ্ধিমান হয়, এমনটাই প্রমাণ মিলেছে এক গবেষণায়।

সম্প্রতি এমন তথ্য দিয়েছেন একদল মনোবিজ্ঞানী। তাদের গবেষণায় উঠে আসে, অন্তর্মুখী বা একা থাকা মানুষগুলো তুলনামূলক বেশি বুদ্ধিমান।

আপনি যদি নিজের ঘরে নেটফ্লিক্সে সিনেমা দেখে কিংবা বিছানায় শুয়েই দিন পার করতে পছন্দ করেন, তবে আপনি একজন অন্তর্মুখী মানুষ। যে নিজের মধ্যে থাকতেই বেশি পছন্দ করেন।

মনোবিজ্ঞানীরা বলছেন, এ ধরনের মানুষ জিনিয়াস হন। কথা কম বলবেন কিন্তু চিন্তাশীল হবেন এরা। যেকোনো বিষয়ে তাদের জ্ঞানের পরিধিটাও নাকি বেশি থাকে।

সিঙ্গাপুর ম্যানেজমেন্ট ইউনিভার্সিটি এবং লন্ডন স্কুল অব ইকোনমিকসের গবেষকদের এক নতুন সমীক্ষায় দেখা গেছে, বুদ্ধিমান লোকেরা একা থাকতে পছন্দ করেন। দলটি ১৫ হাজারের বেশি মানুষের ওপর গবেষণা চালিয়েছেন। যেখানে ১৮ থেকে ২৮ বছর বয়সীরা অংশ নেন।

দুটি পর্যায়ে এই গবেষণাটি করা হয়। প্রথম পর্যায়ে সাধারণ মানুষের বুদ্ধিমত্তা ও তাদের এলাকার জনসংখ্যার ঘনত্ব দেখা হয়। দ্বিতীয় পর্যায়ে দেখা হয়, তাদের বুদ্ধিমত্তা, আত্মতৃপ্তি ও সামাজিক সম্পর্কগুলোর প্রভাব কেমন হয়।

গবেষণায় দেখা যায়, সাধারণ মানুষ সামাজিক সম্পর্কগুলোর অনুপস্থিতিতে অসুখী বা বিষণ্ণ হয়ে পড়ে। যেখানে বুদ্ধিমান মানুষগুলো যেকোনো পরিবেশে নিজেকে মানিয়ে নিতে সক্ষম হন। তারা একা থাকলেও সুখী থাকেন।

মনোবিজ্ঞানীরা বিশ্বাস করেন, পুরো গবেষণাকে ‘সুখের তাত্ত্বিক তত্ত্ব’ দ্বারা ব্যাখ্যা করা যেতে পারে। যেখানে উঠে আসে, পূর্বপুরুষেরা যখন শিকারি ছিলেন তখন বাঁচার প্রয়োজনে সংঘবদ্ধ হয়ে থাকতেন, যা সাধারণভাবে আমাদের আচরণেও চলে এসেছে। বন্ধু বা পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়লে আমাদের অধিকাংশই অসন্তুষ্ট বোধ করি। তবে উচ্চ বুদ্ধিমত্তার ব্যক্তিরা এই নিয়মটি অনুসরণ করেন না। তারা যেকোনো অস্বাভাবিক পরিবেশেও মানিয়ে নিতে পারে।

তাই বলা যেতে পারে, একা বা অন্তর্মুখী মানুষেরা তুলনামূলক বেশি বুদ্ধিমান হয়।