
খেজুর খুবই জনপ্রিয় খাবার। পুষ্টিকরও বটে। রমজানে প্রতিদিন খাবার টেবিলে খেজুর থাকেই। অনেকে আবার রুটিন করেও নিয়মিত খাচ্ছেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, মাত্র ৩/৪টি খেজুরে যে পরিমান পুষ্টি পাওয়া যায়, তা অন্য কোনও ফলে পাওয়া যায় না। কারন খেজুর রক্তের শর্করার পরিমান বৃদ্ধির পাশাপাশি পূরণ করে শরীরের নানা ঘাটতিও।
খেজুর খালি খেতেই পছন্দ অনেকের। অনেকে আবার শিশুদের বিভিন্ন পদ রান্না করেও খাওয়ান। এবার অতিথি আপ্যায়নে তৈরি করে নিতে পারেন খেজুর দিয়ে মজাদার একটি খাবার খেজুরের বরফি।
যা যা লাগবে_
১.দানা ছাড়ানো খেজুর ২/৩ কাপ
২.ঘন তরল দুধ ৩ কাপ
৩. চিনি আধা কাপ
৪. ঘি ১/৪ কাপ
৫. এলাচ গুঁড়া আধা চা-চামচ
৬. গুঁড়া দুধ আধা কাপ।
৭. পেস্তাকুচি সাজানোর জন্য
যেভাবে বানাবেন_
তরল দুধ গরম করে তাতে সবগুলো খেজুর দিয়ে দিন। ঢাকনা দিয়ে ঢেকে রাখুন। খেজুর নরম হলে ব্লেন্ড করে নিন।
এরপর একটি নন স্টিক প্যান বা কড়াইতে ঘি গরম করুন। এতে খেজুরের মিশ্রণটি ও চিনি একসঙ্গে মিশিয়ে নাড়তে থাকুন। চুলার আঁচ মাঝারি করে নাড়তে থাকুন। কাজটি সাবধানে করবেন। কারন এই সময় হালুয়ার মিশ্রণের ছোট ছোট ফোঁটা গায়ে ছিটে আসার সম্ভাবনা থাকে।
মিশ্রণটি শুকিয়ে এলে এলাচ গুঁড়া মিশিয়ে দিন। হালুয়া জমে যখন প্যানের গা ছেড়ে আসবে, তখন হাঁড়িটি চুলা থেকে নামিয়ে গুঁড়া দুধ মিশিয়ে নিন।
এবার গরম অবস্থাতেই একটি প্লেট কিংবা ট্রেতে ঘি মাখিয়ে হালুয়ার মিশ্রণটি সমান ভাবে বিছিয়ে নিন। ঠাণ্ডা হয়ে গেলে, সাধারণ তাপমাত্রার ফ্রিজে রাখুন। এরপর পেস্তাকুচি অথবা পছন্দমতো জিনিস দিয়ে সাজিয়ে নিন। তৈরি হয়ে গেল মজাদার খেজুরের বরফি।
খেজুরের পুষ্টিগুণ:
১.দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি করে
২.কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে
৩.শক্তি বৃদ্ধি করে
৪.সংক্রমণ রোধ করে
৫.আয়রনের চমৎকার উৎস
৬.উচ্চ রক্তচাপ কমায়
৭.হাড়ের স্বাস্থ্যের উন্নতি করে
৮.শীতে উষ্ণতা প্রদান করে