জামাকাপড় থেকে শুরু করে গ্যাজেট, হাতের নাগালে পাওয়া যায় সবকিছুই। তাই আলো ঝলকানো, চকচকে শপিং মলে কেনাকাটা করার মজাই আলাদা। স্মার্ট শপার হতে চাইলে শপিংমলে কেনাকাটায় একটু আদবকেতা তো মানতেই হবে। চলুন দেখে নেওয়া যাক স্মার্ট ক্রেতা হতে নজর দিতে হবে যে বিষয়গুলোতে।
পোশাক-আশাক
- জামাকাপড় কিনতে গেলে ক্যাজুয়াল পোশাক পরুন। পোশাক বারবার ট্রায়াল করে কিনতে হতে পারে, তাই টাইট জামাকাপড় পরবেন না।
- বেশি সাজগোজ করার প্রয়োজন নেই। অনেক মেকআপ করবেন না। জুয়েলারি নির্বাচন করুন হালকা ধরনের। ছোট কানের দুল পরে নিতে পারেন। আর হাতে থাকতে পারে ভালো ব্যান্ডের ঘড়ি।
- হাই হিল না পরাই ভালো। শপিং করার সময় অনেক হাঁটাহাঁটি হয়। এ ছাড়া অনেক জিনিস বহন করতে হয়। তাই ফ্লাট জুতা পরুন। লেসবিহীন জুতা পরুন তা না হলে কোনো দোকানে ঢোকার সময় জুতা খুলতে অসুবিধা হতে পারে।
আচার-ব্যবহার
- শপিং করার সময় তাড়াহুড়ো করে এ কাউন্টার থেকে ও কাউন্টারে যাওয়া আসা না করাই ভালো।
- লাইন ভাঙার চেষ্টা করবেন না। সারিবদ্ধ হয়ে দাঁড়াবেন। অন্যকেও সুযোগ দিন। লাইনে কোনো শিশু কিংবা বয়স্ক কেউ থাকলে তাকে বিনয়ের সঙ্গে আগে আসার সুযোগ দিন।
- বিলিং কাউন্টারে বেশি সময় নেবেন না। আপনার যদি কোনো প্রশ্ন থাকে, তাহলে কাস্টমার কেয়ার ডেস্ক থেকে জেনে নিন। ক্যাশ কাউন্টারে এসব প্রশ্ন করবেন না। যথাসম্ভব দ্রুত কাজ শেষ করুন।
- অনেকে মিলে শপিং করতে গিয়ে অযথা হট্টগোল করেন। যা অন্যের বিরক্তির কারণ হতে পারে। আবার অনেক সময় শিশুরাও শপিংমলে গিয়ে বিরক্ত করে। এতে অন্যরা বিব্রত হচ্ছেন। এ বিষয়টি খেয়াল রাখবেন। শিশু নিয়ে শপিং করতে গেলে অবশ্যই প্রয়োজনীয় কাজ সেরে দ্রুত বাড়ি ফিরে যাবেন।
- জিনিসপত্র সাবধানে নাড়াচাড়া করুন, পড়ে ভেঙে যেতে পারে। প্রয়োজনে দোকানের কোন কর্মীকে বলুন। যে জিনিসটি দেখতে চাচ্ছেন তা আপনাকে নামিয়ে দেখাবেন।
কেনার সময়
- ফিক্সড প্রাইসের দোকানে গিয়ে দামাদামি করবেন না। এতে বিক্রেতা বিরক্ত হবেন।
- ট্রায়াল রুমে বেশি সময় নেবেন না। অন্যরা অপেক্ষা করছে সে বিষয়ে খেয়াল রাখুন।
- অন্য ক্রেতা যেটা দেখছেন বা কিনছেন তা নিয়ে টানাটানি করবেন না। বরং দোকান থেকে এমন জিনিস আরেকটি চেয়ে নিন।
- কেনার সময় জিনিসের গ্যারান্টি ও শর্তাবলি জেনে নিন।