• ঢাকা
  • বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২১, ০২:০১ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২১, ০২:৩৪ পিএম

কীভাবে এলো ‍‍‘টেডি বেয়ার‍‍’!

কীভাবে এলো ‍‍‘টেডি বেয়ার‍‍’!

বুধবার ১০ ফেব্রুয়ারি ‘টেডি ডে’ হিসেবে পালন হয়। ভালোবাসার উপহার হিসেবে প্রেমিক-প্রেমিকা একে অপরকে এই দিনে টেডি বেয়ার উপহার দেন। কিন্তু এত পুতুল থাকতে টেডি বেয়ার কেন? এমন প্রশ্নের জবাবে বলা যায়- টেডি বেয়ারের কিউটনেস ভালোবাসার কিউটনেসকে প্রকাশ করে। তাছাড়া মেয়েদের কাছেও টেডি বেয়ার ভীষণ পছন্দের।

জানেন কি টেডি বেয়ারের জন্ম কীভাবে? এর নেপথ্য কাহিনি। ১৯০২ সালের নভেম্বরে কনকনে ঠান্ডায় মিসিসিপিতে শিকারে বের হন মার্কিন প্রেসিডেন্ট থিওডর রুজভেল্ট। মিসিসিপি ও লুসিয়ানিয়ার সীমান্ত সমস্যা নিয়ে ওই সময় মানসিকভাবে জর্জরিত ছিলেন তিনি। ভরা  রাইফেল নিয়েই শিকারে বের হন। কিন্তু খালি হাতে মন খারাপ নিয়ে ফিরতে হয় তাকে। প্রেসিডেন্টের মন খুশি করতে এক লুসিয়ানিয়া কালো ভল্লুক ছানা নিয়ে আসেন তার সঙ্গীরা। কিন্তু সেই ভল্লুক ছানাকে মারতে পেরে ছেড়ে দেন রুজভেল্ট।

এরপর ‘ড্রইং দ্য লাইন ইন মিসিসিপি’ কার্টুনে তুলে ধরা হয় এই গল্পটি। ওয়াশিংটন স্টার কার্টুনিস্ট ক্লিফর্ড বেরিম্যানের আঁকা কার্টুনে দেখা যায়, টেডি ও রাইফেল হাতে দাঁড়িয়ে রয়েছেন রুজভেল্ট। তার পিছনে পুঁচকে এক ভল্লুক ছানা।

ছবিটি দেখে খেলনার দোকানের মালিক মরিস মিচম বানিয়ে ফেলেন একটি টেডি বেয়ার। এরপর সেটি দোকানের পাশে টাঙিয়ে রাখেন। পাশে রাখেন বেরিম্যানের আঁকা কার্টুনের কপি। বিক্রির উদ্দেশ্যে নয়, দোকানের সৌন্দর্য বাড়াতেই টেডি বেয়ারটি টানিয়ে রেখেছিলেন। কিন্তু এটি দেখে দোকানে শুরু হয় ভিড়। খদ্দেররা দোকানে ঢুকেই কিনতে চান টেডি। জনপ্রিয়তা পায় টেডি বেয়ার।

মরিস মিচম ছুটে যান রুজভেল্টের কাছে। বিক্রির অনুমতি চান। অনুমতি দিলে আইডিয়াল টয় কোম্পানি টেডি বেয়ার বানানো শুরু করে ১৯০৩ সালে। জন্ম হয় ভালোবাসার পুতুল ‘টেডি বেয়ার’।