স্বাধীনতার ৫০ বছর পার করছি। সুবর্ণজয়ন্তীর আনন্দে আয়োজনটাও একটু ভিন্ন। বাঙালির স্বাধীনতার এই মাসে মুক্তি-সংগ্রামের চেতনায় শুধু আবেগ নয়, অস্তিত্বও জুড়ে আছে। স্বাধীনতার আনন্দ উপভোগে ঘরের বাইরে যাবেন। সঙ্গে থাকবে পরিবার, কিংবা বন্ধুরা। কোথাও সংঘবদ্ধভাবে ঘুরে বেড়াবেন। কেউ আবার বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশ নিতে প্রস্তুত হচ্ছেন। করোনা মহামারিতেও এই আনন্দ কীভাবে উপভোগ করবেন তা নিয়েই থাকছে কিছু কথা।
- বের হওয়ার আগে মাস্ক পরে নিন। পরিবারের সবাই সঠিকভাবে মাস্ক পড়েছে কি না, তা নিশ্চিত করুন। ব্যাগে অতিরিক্ত মাস্ক রাখুন। হঠাৎ প্রয়োজন হতে পারে।
- করোনার সময় স্যানিটাইজেশন প্রয়োজন। হ্যান্ড স্যানিটাইজার সঙ্গে রাখুন।
- বোতলে পানি ভরে ব্যাগে নিয়ে নিন। প্রচণ্ড গরমে কিছুক্ষণ পরপর পানি খাওয়ার প্রয়োজন হয়।
- আরামদায়ক পোশাক নির্বাচন করুন। কোনো অনুষ্ঠানে যোগ দিতে শাড়ি, পাঞ্জাবি পরতে পারেন। অন্যথায় টি-শার্ট আর মেয়েরা সালোয়ার-কামিজ বা ফতুয়া পরতে পারেন।
- বাচ্চাদের নিয়ে বের হচ্ছেন? অতিরিক্ত পোশাক সঙ্গে নিন। এছাড়া কিছু শুকনো খাবার নিয়ে নিন।
- যথাসম্ভব জনসমাগম এড়িয়ে চলাই ভালো। তবু উৎসব উদযাপনে সবাই বের হবেন। তাই জনসমাগম তো হবেই। সে ক্ষেত্রে অন্যের সঙ্গে কিছুটা দূরত্ব রেখে চলুন।
- পরিবারের বিশেষ আয়োজন থাকলে আত্মীয়স্বজন ও বন্ধুবান্ধবদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়গুলো নজরে রাখুন।
- এখন উৎসবগুলো বেশির ভাগই রেস্টুরেন্টকেন্দ্রিক হয়। যেমন বাইরে ঘুরতে যাওয়া মানে রেস্টুরেন্টে বসে খাবার খাওয়া। যদিও রেস্টুরেন্টে বিশেষ আয়োজন থাকে উৎসবকে ঘিরে। তাই রেস্টুরেন্টে যাওয়ার আগে অবশ্যই এর পরিবেশ আর সুরক্ষার বিষয়গুলো নজরে রাখুন।
- পরিবারকে নিয়ে শহরের মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, শহীদ বুদ্ধিজীবী জাদুঘর, জাতীয় স্মৃতিসৌধ ঘুরে আসতে পারেন। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সন্তানকে জানান। স্বাধীনতার এই অর্জনকে তুলে ধরুন। দেশপ্রেম আর দায়িত্ববোধ তৈরি হবে আপনার সন্তানের মাঝে।