আজ পবিত্র শবে বরাত (লায়লাতুল বরাত)। মুসলমানদের জন্য মর্যাদাপূর্ণ এক রাত্রী। মহান আল্লাহ তাআলার রহমত লাভের উদ্দেশ্যে ধর্মপ্রাণ মুসলিমরা এই রাতে নামাজ, দোয়াসহ ইবাদতে মশগুল থাকবেন। এ রাতে মহান আল্লাহ তাআলা বান্দাদের জন্য তার অশেষ রহমতের দরজা খুলে দেবেন।
আল্লাহর রাসুল (সাঃ) বলেছেন, মানুষকে বিচার করা হবে তার তাকওয়া দ্বারা। আর নামাজের মধ্য দিয়ে তাকওয়া লাভ করা যায়।
পবিত্র ও বরকতময় এই রাতের ইবাদতের নিয়ম সঠিকভাবে জেনে নিন। সেই সঙ্গে বেশকিছু সতর্কতাও মেনে চলুন।
শবে বরাতের নামাজের নিয়ত_
পাক পবিত্র হয়ে নামাজ পড়ার উদ্দেশ্যে দাঁড়াবেন। এরপর আরবি, বাংলা যেকোনও ভাষাতেই নিয়ত করতে পারেন।
বাংলায় নিয়ত করবেন, "দুই রাকাত নফল নামাজ/ সালাত কিবলামুখী হয়ে পড়ছি, আল্লাহু আকবর"।
শবে বরাতের ইবাদত_
শবে বরাতের জন্য আলাদা নিয়মের কোনও নামাজ নেই। সাধারণ তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়মেই নফল নামাজ আদায় করতে পারেন মুসলিমরা।এই রাতটি ইবাদত বন্দেগির করে কাটাতে হবে। নামাজ, কোরআন তেলওয়াত, দোয়ার মাধ্যমে কাটাবেন পবিত্র এই রাত্রী। বিশ্ব মুসলিম বিশেষ কিছু ইবাদত করেন।
সন্ধ্যায় মাগরিব নামাজের পর হায়াতের বরকত, ঈমানের হেফাযত এবং অন্যের মুখাপেক্ষী না হওয়ার জন্য দুই রাকাত করে মোট ৬ রাকাত নফল নামাজ পড়া উত্তম। ৬ রাকাত নফল নামাজের প্রতি রাকাতে সূরা ফাতিহা ও এরপর যেকোনো একটি সূরা পড়তে হবে। দুই রাকাত নামাজ শেষ করে সূরা ইয়াছিন বা সূরা ইখলাছ ২১ বার করে পড়বেন।
শবে বরাতের রোজা_
শবে বরাতের পরদিন রোজা রাখা সম্পর্কে একটি হাদিস রয়েছে- হযরত আলী ইবনে আবু তালেব (রাঃ) থেকে বর্ণিত নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, "পনের শাবানের রাত যখন আসে, তখন তোমরা এ রাতটি ইবাদত বন্দেগিতে কাটাবে এবং দিনের বেলা রোজা রাখ। কেননা এ রাতে সূর্যাস্তের পর আল্লাহ তাআলা প্রথম আসমানে আসেন এবং বলেন, কোনও ক্ষমা প্রার্থনাকারী আছে কি? আমি তাকে ক্ষমা করব। আছে কি? কোন রিজিক প্রার্থী? আমি তাকে রিজিক দেব। এভাবে সুবহে সাদিক পর্যন্ত আল্লাহ তাআলা মানুষের প্রয়োজনের কথা বলে তাদের ডাকতে থাকেন।(ইবনে মাজা, হাদিস নম্বর-১৩৮৪)
যা মেনে চলবেন_