• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
প্রকাশিত: মে ৫, ২০২১, ১০:৪৭ এএম
সর্বশেষ আপডেট : মে ১০, ২০২১, ১১:২৩ এএম

যেভাবে এলো টাই

যেভাবে এলো টাই

করপোরেট দুনিয়ার চাকরিজীবীদের সব সময় স্যুট-বুটের পাশাপাশি টাই বা গলাবন্ধনী পরতে দেখা যায়। শীত, গ্রীষ্ম বা বর্ষা কর্মক্ষেত্রে এভাবেই চলাফেরা করেন তারা। কিন্তু কীভাবে এল এই টাই তা কি জানেন?

বর্তমানে টাই চাকরিজীবীদের পোশাকের একটি অংশ হলেও শুরুতে এটি ব্যবহার করতেন সৈন্যরা। গবেষকদের ধারণা, খ্রিষ্টপূর্ব ২১০ শতকের দিকে প্রথম গলাবন্ধনীর ব্যবহার শুরু হয়। তখন চীনের সৈন্যরা মাফলারের মতো দেখতে গলাবন্ধনী ব্যবহার করতেন।

মূলত ১৯৭৪ সালে চীনের জিয়ান শহরে কিছু পোড়ামাটির ভাস্কর্য খুঁজে পান প্রত্নতাত্ত্বিকরা। সেই ভাস্কর্যগুলো ছিল দেশটির প্রথম সম্রাট কিন শি হুয়াং এবং তার সৈন্যদের। সেই মূর্তিগুলোর পরনে ছিল ইউনিফর্ম ও মাফলারের মতো গলাবন্ধনী। সেই ভাস্কর্যগুলো পরীক্ষা করেই টাইয়ের আবির্ভাবের ধারণা করেন বিজ্ঞানীরা।

খ্রিষ্টপূর্ব ২১০ শতকে গলাবন্ধনীর আবির্ভাব হলেও এর উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আসে ১৬৫০ সালে। তখন ক্রোয়েশিয়ার সৈন্যরা টাইয়ের আদলে গলায় স্কার্ফ পরতেন। এই গলাবন্ধনীকে ক্রোয়েশিয়ার ভাষায় বলা হতো ‘ক্রাভাট’।

এই ‘ক্রাভাট’ ফ্রান্সের রাজা চতুর্দশ লুইয়ের আমলে এসে আদালতে ব্যবহার করা শুরু হয়। ১৮১৫ সালে প্রথম গলাবন্ধনীর নাম পরিবর্তন করে টাই করা হয়। ফরাসি সম্রাট নেপোলিয়ন বোনাপার্টের আমলে করা হয় এই নামকরণ। এরপর শিল্পবিপ্লবের সময় ইউরোপজুড়ে টাইয়ের ব্যাপক প্রচলন শুরু হয়। ১৮৮০ সালে এটি যুক্তরাজ্যের মানুষের পোশাকের সঙ্গে ‘এস্কট টাই’ হিসেবে যুক্ত হয়।

১৯২০ সালে জেসি ল্যাংসডোর্ফ নামের নিউইয়র্কের একজন দর্জি টাইয়ের পরিপূর্ণ রূপ দেন। তিনিই নিজের নামেই টাইয়ের ডিজাইন প্যাটেন্ট করিয়ে রাখেন। বর্তমানে যেসব স্টাইলিশ টাই দেখা যায়, সেগুলো মূলত ল্যাংসডোর্ফের টাইয়ের নকশার অনুকরণেই তৈরি করা।