• ঢাকা
  • বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: মে ১২, ২০২১, ১১:৪৪ এএম
সর্বশেষ আপডেট : মে ১২, ২০২১, ১১:৪৬ এএম

ঈদের আগে ত্বকের যত্ন হবে যেভাবে

ঈদের আগে ত্বকের যত্ন হবে যেভাবে

ঈদে নতুন জামা কিনেছেন, খাবার দাবার সবকিছুর পরিকল্পনা হয়ে গেছে। কিন্তু ত্বকের যত্ন নিয়ে কিছু ভেবেছেন কি? প্রতিবারের মতো এবার সৌন্দর্য্যসেবার পার্লারে যাওয়ার খুব একটা সুযোগ নেই। তাই বলে কি ত্বকের যত্ন হবে না! অবশ্যই হবে এবং সেটা হবে ঘরে বসেই। 

পুরো রমজান মাস জুড়ে ভাজা-পোড়া খাবার খেয়ে এবং রোজা রেখে ত্বকে মলিনতা চলে আসে। ঘরোয়াভাবে প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করেই ত্বকে উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনতে পারেন। ঈদে নতুন পোশাকের পাশাপাশি উজ্জ্বল ত্বক আপনাকে আকর্ষনীয় করে তুলবে।

সবার ত্বকের ধরণ এক নয়। ত্বকের ধরণ বুঝে ত্বকের যত্ন নিতে হবে। কীভাবে ধরণ অনুযায়ী ত্বকের যত্ন ঘরেই নেওয়া যাবে তা জানাব আজকের আয়োজনে।


শুষ্ক ত্বকের যত্ন

শুষ্ক ত্বকের প্রয়োজন নিয়মিত যত্ন। এ ধরনের ত্বক খুব দ্রুত রুক্ষ ও প্রাণহীন হয়ে পড়ে। ঘরোয়া উপাদানের সাহায্যে নিয়মিত যত্ন নিতে পারেন ত্বকের। জেনে নিন শুষ্ক ত্বক কোমল ও সজীব করার কিছু ফেস প্যাক :

  • ডিমের কুসুম, অলিভ অয়েল ও লেবুর রস মিশিয়ে ফেস প্যাক বানান। চাইলে ডিমের কুসুমের সঙ্গে অ্যাভোকাডো মিশিয়েও বানিয়ে ফেলতে পারেন শুষ্ক ত্বকের প্যাক। মিশ্রণটি মুখ ও গলার ত্বকে লাগিয়ে রাখুন না শুকানো পর্যন্ত। এরপর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। 
  • শুষ্ক ত্বকের জন্য শুধু দুধ ও মধুর মিশ্রণই যথেষ্ট। কাঁচা হলুদ বেটে এই মিশ্রণের মধ্যে দিলে ভালো ফল পাওয়া যাবে। তবে যদি কারও হলুদে অ্যালার্জি থাকে তাহলে এই মিশ্রণে কাঁচা হলুদ বাটা যোগ করার দরকার নেই।
  • প্রতিটা মিশ্রণ ব্যবহারের জন্য আগে ত্বক পানি দিয়ে ভালো করে ধুয়ে নিতে। পরিষ্কার ত্বকে প্যাক ব্যবহার করা উত্তম। ২০ মিনিট এই মিশ্রণ ত্বকে লাগিয়ে তারপর পানি দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে।


তৈলাক্ত ত্বকের যত্ন

এই গরমে তৈলাক্ত ত্বকের অধিকারীরা পড়েন বেশ বিড়ম্বনায়। বাড়তি তেল জমে ত্বকে বাড়ে ব্রণের প্রকোপ। এছাড়া তৈলাক্ত ত্বকে ধুলাবালি ও ময়লাও জমে বেশি। জেনে নিন এ ধরনের ত্বকের যত্নে কিছু টিপস।

  • চালের গুঁড়ার সঙ্গে টক দই ও শসার রস মিশিয়ে ব্যবহার করতে হবে তৈলাক্ত ত্বকে। কয়েক দিন ব্যবহারেই ত্বকের মরা চামড়া উঠে উজ্জ্বলতা ফিরে আসবে।
  • বেসনের সঙ্গে সামান্য হলুদ গুঁড়া ও পরিমাণ মতো টক দই মিশিয়ে বানিয়ে ফেলুন পেস্ট। মিশ্রণটি ত্বকে লাগিয়ে রাখুন। শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ফেলুন। প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার হিসেবে এটি ত্বকে নিয়ে আসবে কোমলতা। বেসন ত্বকের বাড়তি তেল দূর করবে।

 

স্বাভাবিক ত্বকের যত্ন

স্বাভাবিক ত্বক নিয়ে কষ্টটা একটু কম। শুষ্ক ও তৈলাক্ত ত্বকের মতো এতো বিড়ম্বনা হয় না। তবুও যত্ন তো করতেই হবে। স্বাভাবিক ত্বকের যত্নে যা করা যায়_ 

  • চালের গুঁড়া, দুধ, মধু, শসা ও গাজরের রস মিশিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করুন। ত্বকে লাগানোর পর কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে ধুয়ে ফেলুন।
  • টকদই এবং মধু একটি আর্দশ ফেইস প্যাক। দুই চা চামচ টকদই এবং এক চা চামচ মধু একসাথে মিশিয়ে প্যাক তৈরি করুন।  এই প্যাকটি ত্বকে চক্রাকারে ম্যাসাজ করে লাগান। প্যাকটি ২-৩ মিনিট ত্বকে ম্যাসাজ করুন। ৫ মিনিট পর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।


বিশেষ টিপস

মনে রাখতে হবে, প্রতিবার ফেসপ্যাক লাগানোর পরে অবশ্যই ত্বকে ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে নিবেন। এতে ত্বক মসৃণ থাকবে। ঈদেরতো আর মাত্র একদিন বাকী। তাই আর দেরী না করে আজ থেকেই শুরু করে দিতে পারেন ত্বকের যত্ন।