• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: আগস্ট ৭, ২০২১, ০১:৪০ এএম
সর্বশেষ আপডেট : আগস্ট ৭, ২০২১, ০১:৪০ এএম

কোভিড-১৯

মসজিদ ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের জন্য বিশেষ নির্দেশনা

মসজিদ ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের জন্য বিশেষ নির্দেশনা
প্রতীকী ছবি

করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণ পরিস্থিতি বিবেচনায় ১০ আগস্ট পর্যন্ত বর্ধিত বিধিনিষেধে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে প্রতিপালনের জন্য বিশেষ নির্দেশনা জারি করেছে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়।

শুক্রবার (৬ আগস্ট) ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা মো. আনোয়ার হোসেন স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, চলমান বিধিনিষেধের মেয়াদ বৃদ্ধির কারণে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে ২৩ জুলাই জারি করা বিজ্ঞপ্তির অনুবৃত্তিক্রমে দেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে সব ধর্মের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে আরোপিত বিধিনিষেধ অনুসরণ করার জন্য এবং মসজিদসমূহে জামাতে নামাজ আদায়ের জন্য আবশ্যিকভাবে নিম্নবর্ণিত শর্তসমূহ পালনের জন্য অনুরোধ করা হলো।

● মসজিদের প্রবেশদ্বারে হ্যান্ড স্যানিটাইজার/হাত ধোয়ার ব্যবস্থাসহ সাবান-পানি রাখতে হবে এবং আগত মুসল্লিদেরকে অবশ্যই মাস্ক পরে মসজিদে আসতে হবে।

● মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) সাধারণ অবস্থায়ও সুন্নত ও নফল নামাজ বাসায় আদায় করে ফরজ নামাজ জামাতের সঙ্গে মসজিদে আদায় করতেন। বর্তমান করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতিতে প্রত্যেক মুসল্লিকে নিজ নিজ বাসা থেকে ওজু করে, সুন্নত ও নফল নামাজ ঘরে আদায় করে কেবল ফরজ নামাজ মসজিদে আদায় করতে হবে এবং ওজু করার সময় কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে।

● মসজিদে কার্পেট বিছানো যাবে না। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের আগে সম্পূর্ণ মসজিদ জীবানুনাশক দ্বারা পরিষ্কার করতে হবে ও মুসল্লিদের প্রত্যেককে নিজ নিজ দায়িত্বে জায়নামাজ নিয়ে আসতে হবে।

● কাতারে নামাজে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে হবে।

● শিশু, বয়োবৃদ্ধ, অসুস্থ ব্যক্তি ও অসুস্থদের সেবায় নিয়োজিত ব্যক্তি জামাতে অংশগ্রহণ করা থেকে বিরত থাকবেন।

● সংক্রমণরোধ নিশ্চিতকল্পে মসজিদের ওজুখানায় সাবান/হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখতে হবে। মসজিদে সংরক্ষিত জায়নামাজ ও টুপি ব্যবহার করা যাবে না।

● সর্বসাধারণের সুরক্ষা নিশ্চিতকল্পে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ, স্থানীয় প্রশাসন এবং আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণকারী বাহিনীর নির্দেশনা অবশ্যই অনুসরণ করতে হবে।

● করোনা মহামারির এ বৈশ্বিক মহাবিপদ থেকে রক্ষা পেতে বেশি বেশি তওবা, আস্তাগফিরুল্লাহ ও কোরআন তিলাওয়াত করতে হবে এবং আমাদের কৃত অন্যায়-অপরাধের জন্য নামাজ শেষে মহান রাব্বুল আলামিনের দরবারে ক্ষমা প্রার্থনা করতে হবে।

● সম্মানিত খতিব, ইমাম এবং মসজিদ পরিচালনা কমিটি বিষয়গুলোর বাস্তবায়ন নিশ্চিত করবেন।

● অন্যান্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান/উপাসনালয়ে প্রবেশের ক্ষেত্রে মাস্ক পরিধান, হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার এবং সাবান দিয়ে হাত ধোয়াসহ যথাযথভাবে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করতে হবে।

●●● উল্লিখিত নির্দেশনা লঙ্ঘিত হলে স্থানীয় প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণকারী বাহিনী সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীলদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

জাগরণ/এসএসকে/এমএ