সোনালি নৈঃশব্দ্যের গাঢ় ছায়ায়
বিকেলের আধো আলোয় তোমার ছায়া ভেসে ওঠে
মিঠে রোদের পরশে তোমার শরীরের ছড়ানো গন্ধ
ভেসে বেড়ায় সোনালি নৈঃশব্দ্যের গাঢ় ছায়ায়
বেতের বন পেরিয়ে গোধূলি মাড়িয়ে অপেক্ষা করি।
বেতফলের মত ঘোলাটে দৃষ্টিতে দেখি
সোনালি নৈঃশব্দ্য আমাকে শান্তির সুবাতাস দেয়
বিকেলের ফিকে রোদে পানকৌড়ি গতর শুকোয়
বাছুর ধেনুর পিছু নেয় গোপন পথ মাড়িয়ে।
শৈশব কেটেছে উত্তাল নদী সাঁতরে
কৈশোর কেটেছে ঘুঘুর বিমোহ বিরহী ডাকে
যৌবন ছুঁয়ে গেছে প্রেয়সীর উড়ানো আঁচলে
সোনালি নৈঃশব্দ্যের গাঢ় ছায়ায়।
এভাবেও কেউ কেউ চলে যায়
কবিদের কেউ কেউ ¯ে^চ্ছায় চলে যায়
আমি বলি এ কি কর চারদিকে হায়! হায়!
বেদনাকে বুকে নিয়ে চলে গেলে
কিছু কথা কিছু স্মৃতি রেখে গেলে।
২.
বন্ধুরা হাতড়ায়
বেদনায় কাতরায়
তবু ফিরে পায় না
চলে গেলে আসে না।
৩.
আত্মাকে রেখে যায়
বাতাসে ভেসে যায়
মন মাঝে বুঝি তাই
এই আছো এই নাই।
অনাঘ্রাত জীবন
অপেক্ষা অনেক সময় সময়কে ভেদ করে যায়
মনে হয় ধৈর্য হারা পথ হারা ডানা ভাঙা পাখি।
ইচ্ছে করলেই অনাঘ্রাত জীবনের বখে যাওয়া
সময়কে বশ করতে পারে না; তবুও কিছু আকাক্সক্ষা
জেগে ওঠে ভালোবাসার সুনীল অবয়বে।
এলোমেলো ভাবনাগুলো বাসা বাঁধে দোয়েল পাখির নীড়ে।
চৈতালি হাওয়া
সাঁঝের মায়ায় সব পাখি নীড় খুঁজে নেয়
চৈতে শাখায় শাখায় নতুন পাতা গজায়
বসন্ত কেবলই হারিয়ে যায় গোধূলি বেলায়
নতুনের আগমন হাতছানিতে উঁকি দেয়।
চৈতালি হাওয়ায় দিনযাপনের এক বাওকুড়ানি
শুকিয়ে যায় শিরা উপশিরা একফোঁটা জলের
কাঙালেপনায় চারদিক ধূসর সময়।
কষ্টগুলো যত্নে আছে
একদিন তুমিও জেনে যাবে
আমার কষ্টগুলো কীভাবে
যত্নে পুষে রেখেছি।
শীতে লেপ-কাঁথায় মুড়ে
গ্রীষ্মে তালপাতার পাখায়
বর্ষায় রোদে শুকিয়ে
শরতে শাপলা শালুকে
হেমন্তে নবান্ন উৎসবে
আর
বসন্তে ভালোবাসার ফুলেল আবিরে
যত্নে লুকিয়ে রেখেছি।
আমার কষ্টগুলো আমারই মতো
তুমি তার দেখা পাও না;
ঋতুর পর ঋতু পেরিয়ে গেলেও
কোনো ভালোবাসার সুবাতাস
এখন তার শরীর স্পর্শ করে না।