• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: মে ৮, ২০১৯, ০৮:১৪ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : মে ৯, ২০১৯, ০২:১৫ এএম

রবীন্দ্র পুরস্কারে ভূষিত তিন গুণী

রবীন্দ্র পুরস্কারে ভূষিত তিন গুণী
রবীন্দ্র পুরস্কার-২০১৯ প্রদান অনুষ্ঠানে পুরস্কারপ্রাপ্ত তিন গুণীসহ অতিথিরা-ছবি : জাগরণ

বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৫৮-তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষ্যে বাংলা একাডেমি বুধবার (৮ মে) সকালে একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে একক বক্তৃতা,  রবীন্দ্র পুরস্কার-২০১৯ প্রদান এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন একাডেমির মহাপরিচালক, কবি হাবীবুল্লাহ সিরাজী।

‘রবীন্দ্রনাথের বাংলাদেশ : শিক্ষা ও স্বদেশ ভাবনা’ শীর্ষক বক্তৃতা প্রদান করেন অধ্যাপক আনোয়ারুল করীম।

সভাপতিত্ব করেন বাংলা একাডেমির সভাপতি জাতীয় অধ্যাপক আনিসুজ্জামান।  

একক বক্তা অধ্যাপক আনোয়ারুল করীম বলেন, রবীন্দ্রনাথের শিক্ষা ও স্বদেশভাবনা অনন্যতার দাবি রাখে। তার শিক্ষাভাবনা ছিল প্রায়োগিক এবং বৈজ্ঞানিক। তিনি পূর্ববাংলায় জমিদারির দায়িত্ব নিয়ে এসেছেন কিন্তু একই সঙ্গে পালন করেছেন মানবিক আসমানদারির দায়িত্ব। বাংলার শোষিত ও বঞ্চিত মানুষের জীবন মানোন্নয়নে তার ভাবনার অন্ত ছিল না। তিনি ঔপনিবেশিক শক্তির হাতে তার স্বদেশভূমিকে লুণ্ঠিত হতে দেখেছেন। এই লুণ্ঠনের বিরুদ্ধে আত্মশক্তি জাগরণের মাধ্যমে রবীন্দ্রনাথ স্বদেশকে নতুন করে নির্মাণের ব্রত নিয়ে আমৃত্যু সাধনা করে গেছেন।  

এর আগে স্বাগত বক্তব্যে হাবীবুল্লাহ সিরাজী বলেন, বাংলা একাডেমি গত এক দশক যাবত রবীন্দ্র-গবেষণা এবং রবীন্দ্রসঙ্গীত প্রসারে অবদানের জন্য রবীন্দ্র-পুরস্কার প্রদান করে আসছে যা এদেশের রবীন্দ্রচর্চার প্রণোদনায় বিশেষ ভূমিকা রেখে চলেছে।

তিনি বলেন, বাংলা একাডেমি পাঁচ খণ্ডে রবীন্দ্রজীবন প্রকাশের কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। এরইমধ্যে তিনটি খণ্ড প্রকাশ পেয়েছে। আমরা আশা করি আহমদ রফিক প্রণীত রবীন্দ্রজীবন-এর বাকি দু’টো খণ্ড অচিরেই প্রকাশ পাবে। 

অনুষ্ঠানে বাংলা একাডেমি প্রবর্তিত রবীন্দ্র পুরস্কার-২০১৯ প্রদান করা হয়। রবীন্দ্রসাহিত্যে গবেষণায় সামগ্রিক অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ অধ্যাপক সফিউদ্দিন আহমদ, অধ্যাপক বেগম আকতার কামাল এবং রবীন্দ্রসঙ্গীত চর্চার স্বীকৃতিস্বরূপ শিল্পী ইকবাল আহমেদ-কে রবীন্দ্র পুরস্কার-২০১৯ প্রদান করা হয়।

পুরস্কারপ্রাপ্ত লেখক ও শিল্পীর হাতে পুষ্পস্তবক, সনদ, সম্মাননা স্মারক ও পুরস্কারের অর্থমূল্য ৫০ হাজার)টাকা তুলে দেন বাংলা একাডেমির সভাপতি জাতীয় অধ্যাপক আনিসুজ্জামান ও মহাপরিচালক হাবীবুল্লাহ সিরাজী।

রবীন্দ্র পুরস্কার ২০১৯-প্রাপ্ত সুধীজন বলেন, বাংলা একাডেমির রবীন্দ্র পুরস্কারপ্রাপ্তি জীবনের বিশেষ অর্জন। রবীন্দ্রগবেষণা ও চর্চায় আরও নিবিড়ভাবে নিবিষ্ট হওয়ার দায় এ পুরস্কার তৈরি করবে। 

সভাপতির বক্তব্যে জাতীয় অধ্যাপক আনিসুজ্জামান বলেন, রবীন্দ্রনাথের শিক্ষাভাবনার মূলে ছিল আনন্দের ধারণা, যে শিক্ষা-কাঠামোয় কঠিন শাসনের পরিবর্তে ছিল উদারতার আবহ। রবীন্দ্রনাথ দেশপ্রেমে স্নাত ছিলেন তবে কোনোভাবেই সংকীর্ণ জাতীয়তাবাদে বিশ্বাসী ছিলেন না। তার মানবভাবনার মূলে ছিল অসাম্প্রদায়িক বিশ্বনাগরিকের সুদৃঢ় অবস্থান।  

সাংস্কৃতিক পর্বে অনুষ্ঠানে সঙ্গীত পরিবেশন করেন শামা রহমান। রবীন্দ্রনাথের কবিতা থেকে আবৃত্তি করেন বাচিকশিল্পী রূপা চক্রবর্তী। 

এসএমএম