ভোর
পাখি ডাকা ভোরের সূর্য ওঠলে ঘুম ভাঙে,
আড়মোরা দিয়েই পূবের জানালাটা খুলে যায়,
আলো আসে তেতুল গাছের চিড়ল পাতার ফাঁক দিয়ে,
ফিঙে আর দোয়েলের গল্প শুরু হয় !
কা কা উড়ে আসা কয়েকটি পাতি কাক পাতি নেতার মতো জটলা পাকায়,
শিশুদের রঙিন জামায় উৎলে ওঠে আনন্দ কাকলি,
বৌএর ভেজা চুলের ঘ্রাণের শব্দ কড়া লিকারের চায়ের তৃষ্ণায়
এমনি বয়স বাড়ছে, মোরগের লাল
ঝুটি নাড়িয়ে দৌড়ছে উঠানের এদিক ওদিক।
চু'য়ের গ্লাসের মুগ্ধতা
চু'য়ের গ্লাসের মুগ্ধতা আমাকে
নিয়েছিলো ডেকে পাহাড় চূড়ায়
সে এক পাহাড়ি চুনিয়া
অপার নির্জন ঝরাপাতার গজারি বনে
কোকিলের গান
দোয়েলের শিস
নীলাকাশ উবু হয়ে ছিলো আমাদের আদিবাসে
ঝুমচাষ রোপন কৌশল আমাকে সযত্ন শিখিয়েছিলো
তার নাম অনিন্দ্য জসীম
মানুষেরা মরে গেল - কেউ কেউ গ্রহ
কেউ কেউ নক্ষত্র প্রদীপ
জ্বলে থাকে অনন্ত আকাশে
কতো নক্ষত্রের আলো আজও দেখেনি পৃথিবী
কতো শিশু আজও জন্মেনি মায়ের উদরে
আমার মৃত্যুর পর আকাশে যে নক্ষত্রের
জন্ম হবে, তার নাম অনিন্দ্য জসীম
চিত্রল বাঘের ছালে
পাহাড়ের সবুজে আটকে আছে চোখের পরিধি
আমি তাকে পারি না সরাতে
কেনো এই মায়া দিগন্ত রেখায়!
কেনো উজ্জ্বল হয়ে আছে পাথরের বাঁক
আমি পালিয়ে এসেছি সেই বাঁকের গোহার নির্জনতা
কোন বনের হরিণী তুমি আমাকে আড়াল করে
সবুজ মায়াবি চোখ এমন সতর্ক ভীরু!
আমিতো শিকারি নই, মাংসাশি নই
ছদ্মবেশ ধরিনি কখনো চিত্রল বাঘের ছালে!