গতকাল বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) বেলা ৩টায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে প্রদান করা হয় ‘শিল্পকলা পদক ২০১৮’। দেশের শিল্প-সংস্কৃতির ক্ষেত্রে জাতীয় পর্যায়ে বিশেষ অবদানের জন্য বিভিন্ন ক্ষেত্রে এ বছর সাতজনকে ‘শিল্পকলা পদক ২০১৮’ প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে গুণি শিল্পীদের হাতে পদক তুলে দেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব ড. মো. আবু হেনা মোস্তফা কামাল, এনডিসির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এমপি এবং স্বাগত বক্তৃতা করেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী।
এ বছর শিল্পকলা পদক প্রাপ্ত গুণীজনরা হলেন- কণ্ঠসঙ্গীতে গৌর গোপাল হালদার, যন্ত্রসঙ্গীতে সুনীল চন্দ্র দাস, নাট্যকলায় ম. হামিদ, লোক সংস্কৃতিতে মিনা বড়ুয়া, চারুকলায় অলকেশ ঘোষ, নৃত্যকলায় শুক্লা সরকার ও আবৃত্তিতে জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়। নীতিমালা অনুযায়ী ১৬ সদস্যের কমিটি প্রতি বছর পদকের জন্য গুণিজন নির্বাচন করে থাকেন। ‘শিল্পকলা পদকে’র জন্য নির্বাচিত গুণিজনদের প্রত্যেককে একটি স্বর্ণপদক, ১ লক্ষ টাকা সম্মানী ও একটি সনদ প্রদান করা হয়।
আলোচনা ও পদক প্রদান শেষে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির শিল্পীদের পরিবেশনায় অ্যাক্রোবেটিক প্রদর্শনী ও নৃত্য পরিবেশিত হয়। একাডেমির অ্যাক্রোবেটিক শিল্পীদের পরিবেশনায় সাউদিয়া ও ব্লাংকেট ব্যালেন্স নামে দুটি অ্যাক্রোবেটিক পরিবেশিত হয়। এছাড়া ‘দাম দিয়ে কিনেছি বাংলা’ ও ‘বুকের ভিতর আকাশ নিয়ে একটাই আছে দেশ’ গানের সাথে নৃত্য পরিবেশন করেন একাডেমির নৃত্য শিল্পীরা।
বাঙালি জাতির প্রতিটি সংগ্রাম, আন্দোলন ও অর্জনে এদেশের শিল্পী ও সংস্কৃতিকর্মীরা নাটক, সঙ্গীত, নৃত্য, আবৃত্তি, চিত্রকর্মসহ শিল্পের সকল শাখার মাধ্যমে তাদের অপরিসীম অবদান রেখেছেন। হাজার বছরের সমৃদ্ধ ঐতিহ্যের লালন, ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কাজ করে চলেছেন আমাদের শিল্পী ও সংস্কৃতিকর্মীরা। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে সমুন্নত রাখতে তারা নিঃস্বার্থভাবে অবদান রেখে চলেছেন। দেশের শিল্প-সংস্কৃতির ক্ষেত্রে জাতীয় পর্যায়ে বিশেষ অবদানের জন্য গুণীজনদের অবদানকে সম্মান ও স্বীকৃতি জানাতে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির উদ্যোগে ২০১৩ সাল থেকে ‘শিল্পকলা পদক’ প্রদান করা হয়।
এসজে