• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: আগস্ট ১৭, ২০১৯, ১১:৪০ এএম
সর্বশেষ আপডেট : আগস্ট ১৭, ২০১৯, ১১:৪২ এএম

আজ কবি শামসুর রাহমানের মৃত্যুবার্ষিকী

আজ কবি শামসুর রাহমানের মৃত্যুবার্ষিকী

শামসুর রাহমান বাংলাদেশ ও আধুনিক বাংলা সাহিত্যের অন্যতম প্রধান কবি। আজ শনিবার তার ১৩তম মৃত্যুবার্ষিকী।মহান স্বাধীনতা সংগ্রাম ও জন্মভূমি বাংলাদেশ নিয়ে তিনি লিখেছিলেন ‘তোমাকে পাওয়ার জন্য হে স্বাধীনতা’। তার কলমেই লেখা হয়েছিল দেশমাতৃকার প্রতি নিবেদিত শানিত পঙিক্তমালা ‘আসাদের শার্ট’, ‘এ লাশ রাখবো কোথায়’, ‘অভিশাপ দিচ্ছি’, ‘উদ্ভট উটের পিঠে চলেছে স্বদেশ’, ‘বুক তার বাংলাদেশের হৃদয়’-এর মতো বহু চিরস্মরণীয় কবিতা। 

তাই বাংলা কবিতার বরপুত্র বলা হয় তাকে। মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয় কবিতা পরিষদ, শামসুর রাহমান স্মৃতি পরিষদ, কবি শামসুর রাহমান ফাউন্ডেশন ও কবির পরিবারের পক্ষ থেকে আজ সকাল সাড়ে ১০টায় বনানীতে কবির কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। এ ছাড়া রাজধানীসহ দেশের নানা জায়গায় তাকে স্মরণ করে অনুষ্ঠান করা হবে।

বিংশ শতাব্দীর দ্বিতীয়ভাগে দুই বাংলায় কবি হিসেবে শামসুর রাহমানের শ্রেষ্ঠত্ব ও জনপ্রিয়তা প্রতিষ্ঠিত হয়। তিনি একজন নাগরিক কবি ছিলেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ওপর লিখিত তার দুটি কবিতা খুবই জনপ্রিয়। তিনি মজলুম আদিব (বিপন্ন লেখক) ছদ্মনামে লিখতেন।

শামসুর রাহমান পেশায় সাংবাদিক ছিলেন। ১৯৫৭ সালে দৈনিক মর্নিং নিউজে সহসম্পাদক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। ১৯৫৭ থেকে ১৯৫৯ সাল পর্যন্ত রেডিও পাকিস্তানের অনুষ্ঠান প্রযোজক ছিলেন। এরপর তিনি আবার ফিরে আসেন দৈনিক মর্নিং নিউজে। সেখানে তিনি ১৯৬০ সাল থেকে ১৯৬৪ সাল পর্যন্ত সহযোগী সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এরপর ১৯৬৪ সালের নভেম্বর মাসে দৈনিক পাকিস্তান (স্বাধীনতা উত্তর দৈনিক বাংলা) পত্রিকার সহকারী সম্পাদক পদে যোগ দেন এবং ১৯৭৭ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭৭ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে তিনি একইসাথে দৈনিক বাংলা ও সাপ্তাহিক বিচিত্রার সম্পাদক নিযুক্ত হন। ১৯৮৭ সালে সামরিক সরকারের শাসনামলে তাকে পদত্যাগে বাধ্য করা হয়। এরপর তিনি অধুনা নামের একটি মাসিক সাহিত্য পত্রিকার সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

বিংশ শতকের তিরিশের দশকের পাঁচ মহান কবির পর তিনিই আধুনিক বাংলা কবিতার প্রধান পুরুষ হিসেবে প্রসিদ্ধ। শামসুর রাহমান বিভিন্ন পত্রিকায় সম্পাদকীয় ও উপসম্পাদকীয় লিখতে গিয়ে নানা ছন্দনাম নিয়েছেন। সে গুলো হচ্ছে: সিন্দবাদ, চক্ষুষ্মান, লিপিকার, নেপথ্যে, জনান্তিকে, মৈনাক। পাকিস্তান সরকারের আমলে কলকাতার একটি সাহিত্য পত্রিকায় মজলুম আদিব (বিপন্ন লেখক) নামে কবিতা ছাপা হয় যা দিয়েছিলেন বাংলা সাহিত্যের বিশিষ্ট সমালোচক আবু সায়ীদ আইয়ুব।

শামসুর রাহমান ২০০৬ সালের ১৭ আগস্ট বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা ৩৫ মিনিটে ঢাকায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তার ইচ্ছানুযায়ী ঢাকাস্থ বনানী কবরস্থানে, নিজ মায়ের কবরের পাশে তাকে সমাধিস্থ করা হয়।

এসজে