কেউ বলে বঙ্গবন্ধু, জাতির পিতা।
কেউ বলে রাখাল রাজা,মানবতার ফেরিওয়ালা।
কেউ বলে সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙালি।
কেউ বলে রাজনীতির কবি।
আমি বলি তুমি বাংলাদেশ।
তোমাকে স্বীকৃতি দিয়েছে সারা বিশ্ব।
দেশে দেশে আজ তুমি অনুদিত।
যতদিন দেহে ছিল প্রাণ, করে গেছ সংগ্রাম।
ফাঁসির মঞ্চে দাঁড়িয়ে গেয়েছ তুমি জয় বাংলার গান।
অনন্য তোমার রণকৌশল।
তুমি মানবিক ও সর্বজনীন।
তুমি সাম্য, স্বাধীনতা ও মুক্তি।
তুমি লাখো কোটি জনতার স্বপ্ন।
তুমি স্বাধীনতার অমূল্য দলিল।
যাদের জন্য গড়লে স্বাধীন বাংলাদেশ
তারাই তোমারে করিল নিঃশেষ।
রাজনীতির কী নির্মম পাশাখেলা! ১৫ই আগস্ট।
ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাড়ি।ঘাতকের বুলেটের
একি নির্মমতা!সপরিবারে হত্যা..!
ছোট্ট রাসেল - পাষন্ডরা করেছে শৈশব লুণ্ঠন।
বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের সেই ডান হাতের বিখ্যাত তর্জনী
ওরা ক্ষতবিক্ষত করে দিল গুলির আঘাতে।
শেখ মুজিব জীবনের ভয়ে সৈন্য আর পুলিশের পাহারায়
জনগণের থেকে দূরে থাকবে, সেখানে কেউ আসতে সাহস পাবে না
এমন জীবন তো আমি চাই না।
ক্ষমা কর পিতা, তোমাকে রক্ষা করতে পারিনি
আমরা অকৃতজ্ঞ জাতি।
মিথ্যার রঙ্গমঞ্চে খুনিরা পুরষ্কৃত হয়েছিলো।
কেউ কেউ ফাঁসির মঞ্চে। প্রতিশোধ তাতেও কি হয়?
তোমার প্রয়াণ দিবসকে যারা জন্মোৎসবে পরিণত করেছিলো।
ধিক...তাদের ধিক।