• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৭, ২০১৯, ০৭:৪২ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : সেপ্টেম্বর ৭, ২০১৯, ০৭:৫৪ পিএম

শরতে রচিত পঙক্তিমালা

রাশিদা তিথির কবিতা

রাশিদা তিথির কবিতা

অমল আরতি

জানি না এই মধ্য সময়ের
নেতিয়ে পড়া জবার আরতি,
ভেজা বাতাসে ধূপের গন্ধে
দুটি ভেজা চোখের মিনতি,
দেখে নেবে কি মুখ তুলে ?

নাকি ঘোরলাগা সন্ধ্যায় ভুলছবি এঁকে
গাছপালায় জমে থাকা অন্ধকারে
মিলিয়ে যাবে আলিঙ্গন থেকে দূরে!

চেতনাচেতনে সর্বানুভবে রেখেছি তোমাকে,
একদিন ভুলেরাও যদি ফিরে আসে ঋতুচক্রে
কার্তিকের শিশির ভেজা কুয়াশা ঢাকা পথে
নাই বা থাকলো বসন্ত সেখানে!
আমি ভেবে নেবো তোমার ফেরার কথাই ছিলো।

যুদ্ধ

পূ্বদিকের আলো ভেঙে যাচ্ছে পায়ে পায়ে
বছর যায়, স্বপ্ন যায়, তারুণ্য যায়;
যুদ্ধে যুদ্ধে আত্মহনন, রাখে না কেউ তার সন্দেশ !

উপেক্ষা করতে পারিনি বিষাক্ত আলপিন
রক্তে ভিজে থাকে আমার আত্মার ডানা
দীর্ঘশ্বাস শিস দিয়ে মিলিযে যায় বাতাসে।

বিষণ্ণ পুরাতন পৃথিবী নিয়ে চলে সেই শোক
উত্তরের বাতাসে পাহাড়ের ঘাস ভেজে
একই সুরে আমার আনন্দ-দুঃখ বাজে!

শৈশবকাল থেকে আকাঙ্খা ছিলো
সাদা মেঘের সাথে আমার থাকবে
দীর্ঘ শান্ত ঘুম আর একটি মধুর স্বপ্ন।

ধূসর গাঢ় কুয়াশায় নদীর বুকে
ভোরেরও ক্ষণিকের বিরতি ঘটে;
যুদ্ধটা বিরতিহীন জীবনের পিত্ত পান করে!

অস্তিত্ব

অধিকার কি আছে শুকনো শাখার
আঁকড়ে বাঁচার, এক ঢোক জল চুষে খাওয়ার,
যদিও একদিন বৃক্ষের শরীরে সে মিশে ছিলো !

ঝরা বৃষ্টির সাথে কি আর সখ্যতা থাকে মেঘের
যদিও মেঘ জল ঠোঁটে সারা আকাশময় ঘুরে ছিলো!

জন্মাবধি সময় সে ত আমার সাথে আছে,
কখন কবে কতগুলো রৌদ্র দুপুর নিলো কেড়ে!