• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৭, ২০১৯, ১০:২৫ এএম
সর্বশেষ আপডেট : সেপ্টেম্বর ২৭, ২০১৯, ১১:২১ এএম

সরকারের অভিযানকে সংস্কৃতিজনদের সাধুবাদ

সরকারের অভিযানকে সংস্কৃতিজনদের সাধুবাদ

প্র তি ক্রি য়া

দেশে এখন চলছে শুদ্ধি অভিযান। ক্ষমতাসীন সরকার এই অভিযান শুরু করেন নিজের দলগুলোর মধ্যে দিয়ে। প্রতিদিন দেখা যায়, কোনও না কোনও দুর্নীতিবাজকে আটক করতে, তার অবৈধ উপায়ে অর্জিত অর্থ, সোনা ও সম্পদ জব্দ করতে। ইঙ্গিত পাওয়া যায়, নিজ দল থেকে ক্রমশ এই কার্যক্রম চালানো হবে প্রশাসনসহ অন্যদলগুলোতেও। শুদ্ধি অভিযান নিয়ে দেশের সংস্কৃতিজনরা কে কী ভাবছেন। দৈনিক জাগরণ এর পাঠকদের জন্য প্রতিবেদনটি তৈরি করেছেন সুহৃদ জাহাঙ্গীর

 

সরকারের ভেতরে-বাইরে অভিযান হলে জনগণ উপকৃত হবে : রামেন্দু মজুমদার

প্রখ্যাত সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও ইন্টারন্যাশনাল থিয়েটার ইনস্টিটিউটের (আইটিআই) সাম্মানিক সভাপতি রামেন্দু মজুমদার বলেন, সরকারের এমন অভিযানে সাধুবাদ জানাই। এটি একটি সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত। তবে এই শুদ্ধি অভিযান তৃণমূল থেকে উচ্চ পর্যায় পর্যন্ত হওয়া আবশ্যক। সরকারের ভেতরে-বাহিরে এই অভিযান হলে জনগণ উপকৃত হবে। সেই সাথে সবাই তখন দলমত নির্বিশেষে সরকারকে সাধুবাদ জানাবে। তবে ধারাবাহিকতা রক্ষা না করলে আবার হিতে বিপরীত হয়ে যাবে। দুদিন পরে যেন এই অভিযান বন্ধ না হয়ে যায়।

গডফাদারদেরও ধরা উচিত : নাসির উদ্দীন ইউসুফ

সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব নাসিরউদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু বলেন, খুব দরকার ছিল এমন শুদ্ধি অভিযানের এবং এটা একটা ভালো সময়েই শুরু হয়েছে। দুর্নীতি দমনে সরকারের এই পদক্ষেপে সবাই খুশি। তবে এর ধারাবাহিকতা যেন বজায় থাকে। দুর্নীতিবাজদের ধরতে হবে একেবারে তৃণমূল থেকে। সেই সাথে তাদের গডফাদারদেরও ধরা উচিত এবং সবার সামনে তাদের মুখোশ উম্মোচন করা দরকার। আমি ব্যক্তিগতভাবেও এই অভিযানকে সাধুবাদ জানাই।

এমন আবর্জনা মুক্ত করার খুবই জরুরি : গোলাম কুদ্দুছ 

সরকারের শুদ্ধি অভিযান নিয়ে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব গোলাম কুদ্দুছ বলেন, বাঙালির হাজার বছরের সংস্কৃতিকে পাপকে মুক্ত করতেই সরকার এমন পদক্ষেপ নিয়েছেন। এজন্য তিনি নিজের দল ও দলের বাইরেও বাহবা পাচ্ছেন। আসলে বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশকে তার স্বপ্নপূরণের লক্ষে এমন আবর্জনা মুক্ত করবেন এটাইতো স্বাভাবিক। আমরা তার কাছেই শুধু এমনটা আশা করতে পারি। তিনি ছাড়াতো আর কারো কাছে এমনটা আশা করা বোকামি এবং তিনি যথাযথ কাজটিই করে যাচ্ছেন। বিচারহীনতায় কেউ যে রক্ষা পাবে না সেটা এতক্ষণে সবাই জেনে গেছে। যে যার কৃতকর্মের জবাব দেয়ার জন্য প্রস্তুত হতে হবে। মাদক, সন্ত্রাসী, অর্থ আত্মসাৎকারীদের বুঝি এবার বিদায় ঘন্টা বেজে উঠেছে। তারা বুঝি আর ছাড় পাচ্ছেন না। সেটা যে কেউ হতে পারেন, কিন্তু তার আর রক্ষা নেই।

পাপ কখনও বাপকেও ছাড়ে না : পীযুষ বন্দ্যোপাধ্যায়

অভিনেতা পীযুষ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, এই শুদ্ধি অভিযানের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জনগণের কাছে যে বার্তাটি পৌঁছে দিয়েছেন তা তারা খুব ভালোভাবেই নিয়েছেন। এতে করে জনগণ এখন বুঝে গেছেন দেশের কোনও সন্ত্রাসী, অবৈধ অর্থ উপার্জনকারী অর্থ আত্মসাৎকারী পার পাবে না। পাপের শাস্তি তাদের পেতেই হবে। অন্যদিকে এমন অভিযানের ফলে বাংলাদেশ একটি সুন্দর ভবিষ্যৎ, কার্যকর ও অর্থবহ রাষ্ট্রের দিকে এগিয়ে যেতে শুরু করেছে। আর একমাত্র শেখ হাসিনার পক্ষেই করা সম্ভব। তিনি বুঝিয়ে দিয়েছেন পাপ কখনও বাপকেও ছাড়ে না।

এসজে/এসএমএম