• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: অক্টোবর ২৩, ২০১৯, ০৮:১২ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : অক্টোবর ২৩, ২০১৯, ০৮:১২ পিএম

‘এদেশের মানুষের কণ্ঠস্বর হয়ে উঠেছিলেন শামসুর রাহমান’

‘এদেশের মানুষের কণ্ঠস্বর হয়ে উঠেছিলেন শামসুর রাহমান’
বক্তব্য রাখেন বাংলা একাডেমির সভাপতি ও জাতীয় অধ্যাপক আনিসুজ্জামান-ছবি : জাগরণ

কবি শামসুর রাহমান বাংলাদেশের মানুষের কণ্ঠস্বর হয়ে উঠেছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন বাংলা একাডেমির সভাপতি ও জাতীয় অধ্যাপক আনিসুজ্জামান। 

তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষের কথা বলার দায়িত্ব কবি শামসুর রাহমান গ্রহণ করেছিলেন। তিনি হয়ে উঠেছিলেন এদেশের মানুষের কণ্ঠস্বর। 

বুধবার (২৩ অক্টোবর) বিকেলে বাংলা একাডেমির কবি শামসুর রাহমান সেমিনার কক্ষে কবির ৯১তম জন্মদিন উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে একথা বলেন।

বাংলা একাডেমি, জাতীয় কবিতা পরিষদ এবং শামসুর রাহমান স্মৃতি পরিষদের যৌথ উদ্যোগে এই আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

কবিতা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক কবি তারিক সুজাতের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- বঙ্গবন্ধু অধ্যাপক ও বাংলা একাডেমির সাবেক মহাপরিচালক ইতিহাসবিদ সৈয়দ আনোয়ার হোসেন, বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি হাবিবুল্লাহ সিরাজী, জাতীয় কবিতা কবিতা পরিষদের সভাপতি কবি মুহাম্মদ সামাদ, কবি মুহাম্মদ নুরুল হুদা প্রমুখ। এ সময় কবি শামসুর রাহমানের পরিবারের সদস্যসহ সাংস্কৃতিক অঙ্গনের বিভিন্ন ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

কবি শামসুর রাহমানের জীবন ও কর্মের ওপর সংক্ষিপ্ত প্রবন্ধ পাঠ করেন সম্পাদক ও প্রাবন্ধিক আবুল হাসনাত।  

জাতীয় অধ্যাপক বলেন, শামসুর রাহমান লিখেছিলেন স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে, সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে। এদেশে যেন ন্যায়পরায়ন সমাজ প্রতিষ্ঠিত হয়, এর পক্ষে তিনি লিখেছিলেন। তার এসকল চিন্তা আশ্চর্য শিল্প নৈপুন্যের সঙ্গে প্রকাশিত হয়েছিলো। 

তিনি বলেন, তিনি এক মুহূর্তের জন্য তার কবিসত্তা থেকে নিজেকে বিচ্ছিন্ন করেননি। এটি পরবর্তী প্রজন্মের কবিদের জন্য একটি শিক্ষণীয় বিষয়। বাংলাদেশের মানুষ শামসুর রাহমানের কবিতা ভালবেসে পড়ে এবং আমার ধারণা যতদিন বাংলা ভাষা থাকবে, বাংলা সাহিত্য থাকবে ততদিন শামসুর রাহমান সমাদরের সঙ্গে, শ্রদ্ধার সঙ্গে পঠিত হবেন। তার কবিতা পাঠ করে জনগণ আনন্দিত হবেন।

সৈয়দ আনোয়ার হোসেন বলেন, কবি শামসুর রাহমান অসাম্প্রদায়িক চেতনার লোক ছিলেন। এছাড়া তিনি ছিলেন অসম্ভব সৎ ব্যক্তি। দেশ ঠিকভাবে চলুক এটিই ছিলো তার কামনা

হাবিবুল্লাহ সিরাজী বলেন, যতদিন বাংলা ভাষা ও সাহিত্য থাকবে ততদিন শামসুর রাহমানের নাম উচ্চারিত হবে। আমরা তাকে স্মরণ করি আনন্দে, তাকে স্মরণ করি বেদনা ও ভালোবাসায়।

কবি মুহাম্মদ সামাদ বলেন, কবি শামসুর রাহমানের মতো শুদ্ধ ও ভালো মানুষ খুবই কম দেখেছি। তিনি একজন বড় কবিও। তার কবিতায় গত ৫০ বছরের বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক ঘটনা ওঠে এসেছে। জাতীয় জীবনের এমন কোনও গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা নেই, যা তার রচনায় স্থান পায়নি। এ সকল রচনাই তাকে অনন্য করে তুলেছে।

এর আগে শামুসর রাহমান সেমিনার কক্ষের সামনে কবির প্রতিকৃতির উদ্বোধন করেন জাতীয় অধ্যাপক আনিসুজ্জামান। বক্তব্য শেষে কবির রচিত কবিতা ও গান নিয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে আয়োজন করা হয়।

এমআইআর/এসএমএম
 

আরও পড়ুন