• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: নভেম্বর ১৬, ২০১৯, ১১:৩৩ এএম
সর্বশেষ আপডেট : নভেম্বর ১৬, ২০১৯, ১১:৩৫ এএম

শেষ রজনী মাতাবেন যারা

শেষ রজনী মাতাবেন যারা
জুনুন (পাকিস্তান)

ঢাকা আন্তর্জাতিক লোকসঙ্গীত উৎসব

..............

দুই দিন আগে শুরু হয়েছিল ঢাকা আন্তর্জাতিক লোকসঙ্গীত উৎসবের পঞ্চম আসর। গানে গানে আজ সমাপ্তি টানা হবে সেই উৎসবের। তিন দিনের এ উৎসবের সমাপনী রজনীতে লোকসঙ্গীত পরিবেশন করবেন দেশের নন্দিত কণ্ঠশিল্পী চন্দনা মজুমদার ও মালেক কাওয়াল। থাকছে রাশিয়ার কারেলিয়া অঞ্চলের আলোচিত ব্যান্ড সাত্তুমা ও পাকিস্তানি সুফি এবং রক-ফিউশন গানের জনপ্রিয় ব্যান্ড জুনুনের পরিবেশনা। শিল্পীদের সংক্ষিপ্ত পরিচিতি তুলে ধরেছেন এসএম মুন্না

মালেক কাওয়াল (বাংলাদেশ)

ঢাকা আন্তর্জাতিক লোকসঙ্গীত উৎসব ২০১৯-এর তৃতীয় ও সমাপনী দিনের আয়োজনে প্রথমে মঞ্চে উঠবেন কাওয়ালি গানের সাড়া জাগানো কণ্ঠশিল্পী মালেক কাওয়াল। যিনি বিশ্বাস করেন, কাওয়ালি গানের মূর্ছনা ছড়িয়ে পড়বে বিশ্বব্যাপী। সেই বিশ্বাস নিয়েই ওস্তাদ টুনু কাওয়ালের শিষ্য হয়েছিলেন মালেক। মালেকের সঙ্গীতে হাতেখড়ি হয় মহীন কাওয়ালের কাছে। কাওয়ালি ছাড়াও মাইজভান্ডারি গানের মধ্য দিয়ে শ্রোতার মনোযোগ কেড়েছেন তিনি। চার দশকের সঙ্গীত সাধনা ও অনবদ্য পরিবেশনা দিয়ে মালেক কাওয়াল হয়ে উঠেছেন বাংলা লোকসঙ্গীতের এক অনন্য নাম। তারই কিছু ঝলক দেখা মিলবে সমাপনীর দিনের সূচনা লগ্নে।

চন্দনা মজুমদার (বাংলাদেশ)

চন্দনা মজুমদার মূলত লালন সঙ্গীত শিল্পী। কুষ্টিয়ার গড়াই নদীর পাড়ে জন্ম এই গুণী শিল্পীর। বাবা নির্মলচন্দ্র মজুমদার লালনগীতির শিল্পী হলেও তিনি চেয়েছিলেন নজরুলগীতি করুক চন্দনা। কিন্তু কুষ্টিয়া এলাকা এবং পারিবারিক পরিবেশ তাকে নিয়ে আসে লালনের সুরে। লালনের বাইরে রাধারমণ, হাসন রাজা, শাহ্ আবদুল করিমসহ আরও বিভিন্ন গীতিকবির গান করেন তিনি। ২০০৯ সালে তিনি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান। প্রখ্যাত বাউল গানের শিল্পী কিরণ চন্দ্র রায় তার সহধর্মী।

সাত্তুমা (রাশিয়া)

রাশিয়ার কারেলিয়া অঞ্চলের আলোচিত ব্যান্ড সাত্তুমা। ফোক ঘরানার এই ব্যান্ডটি এরই মধ্যে রাশিয়া ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্র, ফিনল্যান্ড, জার্মান, এস্তোনিয়াসহ বিভিন্ন দেশে সঙ্গীত পরিবেশন করে দর্শক প্রশংসা কুড়িয়েছে। মঞ্চে নানা ধরনের বাদ্যযন্ত্র বাজিয়ে এক অদ্ভুত মূর্ছনায় দর্শককে আবিষ্ট করে রাখেন সাত্তুমার সদস্যরা। ঢাকা আন্তর্জাতিক লোকসঙ্গীত উৎসবের মঞ্চে প্রথমবারের মতো সঙ্গীত পরিবেশনার জন্য ব্যান্ড সদস্যরা নির্বাচন করেছেন নিজ দেশের জনপ্রিয় লোকগানগুলো।

জুনুন (পাকিস্তান)

জুনুন ব্যান্ডের জন্য এটা প্রথম ঢাকা সফর নয়। এর সদস্যরা তাই ভালো করেই জানেন এ দেশের দর্শক, শ্রোতার পছন্দ কী। সে কারণেই ঢাকা আন্তর্জাতিক লোকসঙ্গীত উৎসেবর আজকের পরিবেশনার জন্য তারা নির্বাচন করেছেন সুফি রক ও ফিউশনধর্মী কিছু গান। পাকিস্তানি ব্যান্ড জুনুন উপমহাদেশের সঙ্গীতপ্রেমীদের প্রিয় একটি নাম। সুফি ঘরানার গান দিয়ে দুই যুগেরও বেশি সময় ধরে শ্রোতাদের মোহাবিষ্ট করে রেখেছে ব্যান্ডটি। ১৯৯৭ সালে প্রকাশিত এই জুনুনের চতুর্থ অ্যালবাম 'আজাদি' উপমহাদেশজুড়ে ঝড় তুলেছিল। অ্যালবামের প্রথম গান ‘সাইওনি’ পাকিস্তান, ভারত ও বাংলাদেশ- তিন দেশের শ্রোতার কাছেই তুমুল জনপ্রিয়তা পায়। আজ এই দলটি তাদের জনপ্রিয় গানগুলো পরিবেশন করবে।

এসএমএম

আরও পড়ুন