• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১৫, ২০১৯, ০৪:৪৫ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : ডিসেম্বর ১৫, ২০১৯, ০৪:৪৫ পিএম

রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী সংস্থার বিজয় দিবস উদযাপন

রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী সংস্থার বিজয়  দিবস উদযাপন

বাংলাদেশ রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী সংস্থার উদ্দ্যোগে বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে  বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির নন্দন মঞ্চে গত ১২ ও ১৩ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হয়েছে ‘স্বার্থক জনম আমার জন্মেছি এই দেশে’ শীর্ষক দুদিন ব্যাপী রবীন্দ্রসঙ্গীত ও কবিতা আবৃত্তির অনুষ্ঠান । সংস্থার শিল্পীদের সম্মেলক কণ্ঠে জাতীয়সঙ্গীত পরিবেশনের মধ্য দিয়েই আয়োজনের সূচনা করে। এরপর শিল্পীরা সম্মেলক কণ্ঠে পরিবেশন করে ‘ ও আমার দেশের মাটি তোমার পরে ঠেকাই মাথা’ ও ‘আমার মুক্তি আলোয় আলোয়’সহ দুটি গান।  শিল্পকলা একাডেমির নন্দনমঞ্চে অনুষ্ঠিত এ অনুষ্ঠান প্রতিদিন বিকেলে ৫.৩০ মিনিটে শুরু হয়েছে,চলেছে গভীর রাত অবধি। রবীন্দ্রনাথের গান ও কবিতায় হেমন্তের হালকা শীতের সাঁঝবেলা অনুষ্ঠানস্থলে আগত সঙ্গীতানুরাগীরা উজ্জীবিত হয়ে উঠে ।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী। রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী সংস্থার সভাপতি সাজেদ আকবরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংস্থার সাধারন সম্পাদক ড. মকবুল হোসেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে শিল্পীরা একক কণ্ঠে  গানে ও কবিতায় অনুষ্ঠানকে মূর্ত করে তোলেন। এ সময় সাঈদা হোসেন পরিবেশন করেন ‘এই কথাটা ধরে রাখিস, কেয়া হায়দার গেয়ে শোনান ‘আমি কান পেতে রই, সুফিয়া যাকারিয়ার কণ্ঠে গীত হয় ‘আমি মারের সাগর,সঞ্চিতা মিত্র গেয়ে শোনান ‘এই করেছো ভালো, মাহবুবা কামাল পরিবেশন করেন ‘বুক বেঁধে তুই দাঁড়া দেখি, খন্দকার আবুল কালাম গেয়ে শোনান ‘ফিরে চল মাটির টানে, সাজেদ আকবরের কণ্ঠে গীত হয় ‘আমার সোনার হরিন চাই, মকবুল হোসেন পরিবেশন করেন ‘জয় হোক জয় হোক, গোলাম হায়দার গেয়ে শোনান ‘পিনাকেতে লাগে টংকা, স্বর্ণময়ী মন্ডল পরিবেশন করেন ‘এবার তোর মরা গাঙে, মীরা মন্ডল পরিবেশন করেন ‘আজি বাংলাদেশের হৃদয় হতে, মাহফুজা হক গেয়ে শোনান ‘চাঁদের হাসি বাঁধ ভেঙ্গেছে’ ইত্যাদি। 

গতশুক্রবার কবিগুরুর গান দিয়ে সাজানো দুইদিনের এই বিজয় উৎসবের সমাপ্তি টানা হয়।

দু’দিন ব্যাপী এ অনুষ্ঠানে সঙ্গীত পরিবেশন করেন ইখতিয়ার ওমর, মহিউজ্জামান চৌধুরী, মনসুরা বেগম, সিরাজুস সালেকীন, মকবুল হোসেন, সালমা আকবর, সাজেদ আকবর, চঞ্চল খান, বুলবুল ইসলাম, মহাদেব ঘোষ, খন্দকার আবুল কালাম, গোলাম হায়দার, মিজানুর রহমান তসলিম, অনিরুদ্ধ সেন গুপ্ত, মামুন জাহিদ খাঁন, সাঈদা হোসেন পাপড়ি, ছায়া কর্মকার, সুস্মিতা আহমেদ বর্ণা, মোঃ ফারুক, অনুপম কুমার পাল, দেবলীনা সুর, রাবেয়া আক্তার, টিপু চৌধুরী, শাফিকুর রহমান, কেয়া হায়দার, আজাদুর রহমান আজাদ, সুফিয়া যাকারিয়া, সুবাহ্‌আকবর, সর্ণময়ী মন্ডল, সঞ্চিতা মিত্র, মাহবুবা কামাল, মীরা মন্ডল, মাহফুজা হক, সেমন্তী মঞ্জরী, উত্তম কুমার শর্মা, মতিউর রহমান, শুভ্রা দেবনাথ, তরুণ কর্মকার, বনানী দত্ত, অমিতা দেবনাথসহ ৬০ জন সঙ্গীত শিল্পী এবং আহকামউল্লাহ, এনামুল হক বাবু, ডালিয়া আহমেদ, নিমাই মন্ডল কবিতা আবৃত্তি করেন। আনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন হাসিনা আহমেদ সোমা ও অনুপম কুমার পাল ।