• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২৭, ২০১৯, ০৩:৫৩ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : ডিসেম্বর ২৭, ২০১৯, ০৩:৫৩ পিএম

কথাশিল্পী রাবেয়া খাতুনের জন্মদিন আজ

কথাশিল্পী রাবেয়া খাতুনের জন্মদিন আজ
রাবেয়া খাতুন

কথাশিল্পী রাবেয়া খাতুনের ৮৪তম জন্মদিন আজ। ১৯৩৫ সালের আজকের এই দিনে(২৭ ডিসেম্বর) ঢাকার বিক্রমপুরে মামার বাড়িতে জন্ম। বাবার বাড়ি মুন্সিগঞ্জ জেলার শ্রীনগর উপজেলার ষোলঘর গ্রামে। তার রচিত প্রথম উপন্যাসের নাম ‘নিরাশ্রয়া’ এখনও অপ্রকাশিত। ‘বিদায়’ ও ‘অশোক রেবা’  উপন্যাস দুটিও অপ্রকাশিত গ্রন্থ। 

তার উল্লেখযোগ্য প্রকাশিত গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে- মধুমতী, সাহেব বাজার, অনন্ত অন্বেষা, রাজারবাগ শালিমারবাগ, মন এক শ্বেত কপোতী, ফেরারী সূর্য, অনেকজনের একজন, জীবনের আর এক নাম, দিবস রজনী, সেই এক বসন্তে, মোহর আলী, নীল নিশীথ, বায়ান্ন গলির একগলি, পাখি সব করে রব, নয়না লেকে রূপবান দুপুর, মিড সামারে, ই ভরা বাদর মাহ ভাদর, সে এবং যাবতীয়, হানিফের ঘোড়া, হিরণ দাহ, মুক্তিযুদ্ধের উপন্যাস সমগ্র, এই বিরল কাল, হোটেল গ্রীন বাটন, চাঁদের ফোটা, নির্বাচিত প্রেমের উপন্যাস, বাগানের নাম মালনিছড়া, প্রিয় গুলসানা, বসন্ত ভিলা, ছায়া রমণী, সৌন্দর্য সংবাদ, হৃদয়ের কাছের বিষয়, ঘাতক রাত্রি, শ্রেষ্ঠ উপন্যাস, মালিনীর দুপুর, রঙিন কাচের জানালা, মেঘের পর মেঘ, যা কিছু অপ্রত্যাশিত, দূরে বৃষ্টি, সাকিন ও মায়াতরু, রমনা পার্কের পাঁচবন্ধু, শুধু তোমার জন্য, ঠিকানা বি এইচ টাওয়ার, কখনো মেঘ কখনো বৃষ্টি, প্রথম বধ্যভূমি, কমলিকা, শঙ্খ সকাল প্রকৃতি, যা হয়না, আকাশে এখনো অনেক রাত, জাগতিক, স্বপ্নে সংক্রামিত, ও কে ছিল, মহা প্রলয়ের পর, শহরের শেষ বাড়ি, নষ্ট জ্যোস্নার আলো, মাইগো, সমুদ্রবণ ও প্রণয় পুরুষ, এই দাহ এবং রাইমা ইত্যাদি।

রাবেয়া খাতুন রচিত মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক উপন্যাস ‘মেঘের পর মেঘ’ অবলম্বনে বিখ্যাত চলচ্চিত্রকার চাষী নজরুল ইসলাম ২০০৪ সালে নির্মাণ করেন চলচ্চিত্র ‘মেঘের পরে মেঘ’ এবং ২০১১ সালে তার আরেকটি জনপ্রিয় উপন্যাস ‘মধুমতি’ অবলম্বনে পরিচালক শাহজাহান চৌধুরী একই শিরোনামে নির্মাণ করেন চলচ্চিত্র ‘মধুমতি’। অভিনেত্রী মৌসুমী ২০০৩ সালে তার লেখা ‘কখনো মেঘ কখনো বৃষ্টি’ অবলম্বনে একই শিরোনামে নির্মাণ করেন একটি চলচ্চিত্র।

লেখালেখির পাশাপাশি রাবেয়া খাতুন শিক্ষকতা করেছেন। সাংবাদিকতাও করেছেন। এ ছাড়া তিনি বাংলা একাডেমির কাউন্সিল মেম্বার। জাতীয় গ্রন্থ কেন্দ্রের গঠনতন্ত্র পরিচালনা পরিষদের সদস্য, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের জুরিবোর্ডের বিচারক, শিশু একাডেমির কাউন্সিল মেম্বার ও বাংলাদেশ টেলিভিশনের ‘নতুন কুড়ি’র বিচারক।

লেখালেখির জন্যে পেয়েছেন অসংখ্য পুরষ্কার ও সম্মাননা। তার মধ্যে আছেন বাংলা একাডেমী পুরষ্কার-১৯৭৩, হুমায়ূন কাদির স্মৃতি পুরস্কার -১৯৮৯, একুশে পদক-১৯৯৩, বাংলাদেশ লেখিকা সংঘ পুরস্কার, বাংলাদেশ লেখিকা সংঘ -১৯৯৪, নাসিরউদ্দিন স্বর্ণপদক-১৯৯৫, জসিম উদদীন পুরস্কার-১৯৯৬, শেরে বাংলা স্বর্ণপদক-১৯৯৬ ,শাপলা দোয়েল পুরস্কার-১৯৯৬, টেনাশিনাস পুরস্কার -১৯৯৭, ঋষিজ সাহিত্য পদক-১৯৯৮, অতীশ দীপঙ্কর পুরস্কার-১৯৯৮, লায়লা সামাদ পুরস্কার -১৯৯৯, অনন্যা সাহিত্য পুরস্কার-১৯৯৯, মিলেনিয়াম অ্যাওয়ার্ড- ২০০০, টেলিভিশন রিপোটার্স অ্যাওয়ার্ড- ২০০১, বাংলাদেশ কালচারাল রিপোটার্স অ্যাওয়ার্ড- ২০০২, শেলটেক পদক- ২০০২ এবং মাইকেল মধুসূদন পুরস্কার- ২০০৫ ইত্যাদি।

‘বাংলাদেশ টেলিভিশনের’ জাতীয় বিতর্কের জুরিবোর্ডের বিচারক ও সভানেত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন রাবেয়া খাতুন। যুক্ত আছেন বাংলা একাডেমি, বাংলাদেশ লেখিকা সংঘ, ঢাকা লেডিজ ক্লাব, বিজনেস ও প্রফেশনাল উইমেন্স ক্লাব, বাংলাদেশ লেখক শিবির, বাংলাদেশ কথাশিল্পী সংসদ ও মহিলা সমিতির সঙ্গে।

১৯৫২ সালের ২৩ জুলাই সম্পাদক ও চিত্রপরিচালক, বাংলাদেশের প্রথম শিশুতোষ চলচ্চিত্র ‘প্রেসিডেন্ট’-এর পরিচালক এটিএম ফজলুল হকের সঙ্গে রাবেয়া খাতুনের বিয়ে হয়।

এ কথাসাহিত্যিকের চার সন্তান—ইমপ্রেস টেলিফিল্ম চ্যানেল আইয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফরিদুর রেজা সাগর, রন্ধন শিল্পী কেকা ফেরদৌসী, স্থপতি ফরহাদুর রেজা প্রবাল ও ফারহানা কাকলী।

এসএমএম

আরও পড়ুন