• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৫, ২০২০, ০৬:১৪ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জানুয়ারি ২৫, ২০২০, ০৬:১৪ পিএম

 শাম্মী সকালের কবিতা

 শাম্মী সকালের কবিতা

শেষ বেলার গল্পে
 তোমার শেষ বেলার গল্পে আমি ফিরবো 
কোন দখিনা বাতাস হয়ে - 
জানালার দাপটে ঝিরিঝিরি বৃষ্টির ফোটা হয়ে 
অবেলার রেডিওতে ভলিউম দিয়ে,
তুমি শুনবে বিরহের গান 
আজকের সব অবসাদ সেদিন খুঁজে পাবে প্রাণ।

তোমার শেষ বেলার গল্পে আমি ফিরবো 
অনুশোচনার বান হয়ে - 
স্মৃতি বিজড়িত কোন গান হয়ে 
মেঘ হবো তোমার পুড়ো আকাশে গাঢ় অন্ধকারে 
পাবে  না খুঁজে সেদিন আর এই আমারে। 

তোমার শেষ বেলার গল্পে আমি ফিরবো - 
ভালোবাসার ছায়া পথে রেখে যাবো ভালোবাসার বীজ
বেড়ে উঠবে লতা গুল্মের মত ধীরে ধীরে 
আমি ফিরবো তোমার শূন্যতা ঘিরে 
এতোটা আবদার নিয়ে-
যে তুমি নিজেই যাবে হারিয়ে।

এইতো সে পথ

এইতো সে ধুলোমাটিতে গড়া চিরচেনা রাস্তাটা
এখনও রূপে গুণে একই আছে,
এখনও সেই তোমার আমার পথ চলার ছাপগুলি রয়ে গেছে,
শুধু তুমি নেই,আমায় ছেড়ে গেছো বহুদূরে। 

পায়ের ছাপগুলিও আমার হৃদয়ের ক্ষতের মতো 
তীব্র,প্রখর উজ্জ্বল হয়ে আছে!
আমার হৃদক্ষত যেমন সীমাহীন, এই পথের কষ্টও আজ তাই!!

এইতো সেদিন এইপথেই আমরা হারিয়ে যেতাম দু'জন দু'টি হৃদয়ে,
কত গান কত কথা, কত হাসি,আনন্দ 
সবই আজ আমার চোখে প্রখর উজ্জ্বল নক্ষত্র।

এইতো সেপথ,যে পথে তুমি এসেছিলে
এইতো সেইপথ যে পথে তুমি চলে গিয়েছো,
এইতো সেই পথ যে পথের পাণে আজও চেয়ে আছি_
শুধু তোমার ফেরার অপেক্ষায়। 

তুমিহীন আমি

আজ কান্নারা আমার মেঘ হয়ে জমে যাক
অবেলায় বৃষ্টি হয়ে ঝড়ুক আপন মনে,
ঝিরিঝিরি বৃষ্টিতে পথ চলি হাসিমুখে
কিন্তু হাসির পরের কান্না কেউ দেখে না।

এই যে নিদারুণ কান্না কতোটা যন্ত্রণা দেয় আমাকে,
আমাকে কতোটা পোড়ায় তা কেবল আমিই জানি।

আমার চারিপাশে মানুষের ভীড়,
অথচ হৃদয় জানে শুধু তুমিহীনতায়
এই হৃদয়ে কতো গাঢ় বিষাদের চিহ্ন;
আমি হতবাক হয়ে উত্তর খুঁজে ফিরি।

একটা পূর্ণ শহর শুধু তুমিহীনতায় কেনো শুন্য হয়ে যায়!
কেনো হুলস্থূল শহরটাও আমার কাছে,
গভীর রাতের মতো নিস্তব্ধ হয়ে যায়?
কেনো বিষাদের ঘন অন্ধকার আকড়ে ধরে আমায়,
শুধু তোমার অভাবে!

গভীর রাতের নিস্তব্ধতারও ভাষা রয়েছে,
শুধু উত্তর নেই আমার এই প্রশ্নগুলির।

জানোতো আমার একটি নতুন সঙ্গী_বৃষ্টি
বৃষ্টির মাঝে আমি আমারই মতো বিষন্নতা খুঁজে পাই,
আমার জীবনে বৃষ্টির মতোই তুমি ছিলে,
ঘোর বর্ষায় নিশীথ রাতের প্রিয় বাদলধারা।

সবাই বলে এখন নাকি শীতকাল
আমি বলি_
কুয়াশায় তোমাকে খুঁজে ফেরার মৌসুম।

তাইতো সবাই যখন জীবনের তাড়নায় কর্মে ব্যস্ত হয়,
তখন আমি যাই কুয়াশার রং দেখতে।
ঠিক তখন মনে পড়ে কুয়াশার মতো ঝাপসা হয়ে,
তুমি পাড়ি দিয়েছো দূর বহু দূর আমার অজানা পথে!

যে পথ আমার অজানা-অচেনা তাই দূরত্বই রয়ে গেলো!
দীর্ঘ দিবস,দীর্ঘ রজনী তোমার সুদীর্ঘতম অপেক্ষায়। 
ভোরের কুয়াশায় মোরগের ডাক থেকে_
রাতের শিয়ালের ডাক অবদি শুধু তোমার অপেক্ষা।

শত আলোকবর্ষ দূরের চাঁদ,তারারাও থাকে আমার দৃষ্টির সীমানায়,
তুমি আমি একই শহরের বাসিন্দা তবুও
তুমি থাকো দৃষ্টির অগোচরে।

তুমি জানোনা তুমিহীন প্রতিটি ন্যানোসেকেন্ড
আমার নিকট একটা দীর্ঘ মেসোজয়িক যুগ,
বেদনার রক্তে রঞ্জিত একটি ক্ষত বিক্ষত হৃদয়,
নীল নীল বেদনার ধ্বংসস্তুপ।


চাইনা হতে

আমি চাইনা হতে সুনীল আকাশ
চাইনা হতে মেঘ,
চাইনা হতে তোমার গ্রীষ্মের
কাঠ ফাঁটা আবেগ।

আমি চাইনা হতে রাঙা গোলাপ
ব্যাকুল করা সৌরভ,
চাইনা হতে ফুলের রাণী
বিশ্ব জোড়া যার গৌরব।

আমি চাইনা হতে নীল সাগর
চাইনা হতে জল,
চাইনা হতে প্রেমের জলের
ঢেউয়ের টলমল।