• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০২০, ০৮:৪৪ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০২০, ০৮:৪৪ পিএম

ফাগুন-ভালোবাসায় বইমেলায় উপচেপড়া ভিড়  

ফাগুন-ভালোবাসায় বইমেলায় উপচেপড়া ভিড়  
বই মেলায় স্টলে দর্শনার্থীরা

জনবহুল বইমেলায় ইভটিজিং ঠেকাতে এবং বখাটে লম্পটদের যৌন হয়রানি রোধে ডিএমপির রোমিও টিমকে মেলায় নামানো হয়েছে। একদিকে বসন্তের প্রথম দিন, অপরদিকে ভালবাসা দিবস, তার মাঝে আজ শুক্রবার সরকারি ছুটির দিনে উপচে পড়া ভিড় রয়েছে দর্শনার্থীদের। কানায় কানায় ভর্তি নারী শিশু ও প্রবীণদের। পা ফেলার ঠাই নেই বই মেলায়। 

এ সময়ে বখাটে ও লম্পটরা নারীদেও প্রতি যৌহয়রানি এবং ইভটিজিং হওয়ার আশঙ্কা করছে পুলিশ প্রশাসন। এরজন্য আজ সকাল থেকেই মেলায় মোতায়েন রয়েছে ডিএমপির রোমিও টিম। এ টিমের নারী ও পুরুষ সদস্যরা নজরদারি করছে মেলায়।
 
পুলিশ প্রশাসন জানায়, অমর একুশে বই মেলাকে ঘিরে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। মেলার ১৩ দিনে কোথাও কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। পুরো এলাকা জুড়ে চার স্তরের নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলা হয়েছে। র‌্যাব-পুলিশের পাশাপাশি একাধিক গোয়েন্দা বাহিনী কাজ করছেন। বখাটেদের নজরদারীতে রাখতে সাদা পোশাকে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা কাজ করছে। প্রত্যেককে আর্চওয়ে দিয়ে মেলায় প্রবেশ করতে হচ্ছে। একই সঙ্গে তল্লাশিও করা হচ্ছে। নারীদের জন্য আলাদা আর্চওয়ে, সেখানে নারী পুলিশ দায়িত্ব পালন করছে। পর্যাপ্ত নিরাপত্তা থাকায় খুশি দর্শনার্থীরাও।

এ বিষয়ে শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসান বলেন, মেলায় আসা থেকে যাওয়া পর্যন্ত পুরোটা পথ দর্শনার্থীদের পর্যবেক্ষণ করছে পুলিশ। বইমেলা ও তার আশপাশ এলাকার প্রতিটি জায়গায় রয়েছে অসংখ্য সিসি ক্যামেরা। ফলে প্রত্যেকের গতিবিধি রয়েছে পুলিশের নখদর্পণে। ওয়াচ টাওয়ারের মাধ্যমে দর্শনার্থীদের গতিবিধিও লক্ষ্য করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, প্রচন্ত ভিড়ে কেউ বা কোন শিশু হারিয়ে গেলে বা  যে হারিয়েছে তার কাছে কোন মোবাইল ফোন নেই! ভয়ের কারণ নেই। মেলায় স্থাপিত পুলিশ কন্ট্রোল রুমে রয়েছে লস্ট এন্ড ফাউন্ড সেন্টার। পুলিশের সহযোগিতা নিয়ে হারিয়ে যাওয়া ব্যক্তিকে খুঁজে নিতে পারেন। শিশুদের কথা মাথায় রেখে পুলিশ কন্ট্রোল রুমের পাশেই আছে শিশু পরিচর্যা কেন্দ্র বা ব্রেস্ট ফিডিং সেন্টার।

এছাড়া দর্শনার্থীদের তৃষ্ণা মেটাতে বিনামূল্যে বিশুদ্ধ খাবার পানির ব্যবস্থা করেছে ডিএমপি। কেউ হঠাৎ অসুস্থ হলে চিকিৎসায় রয়েছে প্রাথমিক চিকিৎসা কেন্দ্র।

এইচ এম/বিএস