• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
প্রকাশিত: এপ্রিল ১৩, ২০২০, ১১:৩৯ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : এপ্রিল ১৪, ২০২০, ০৬:৫৮ এএম

স্বাগত নববর্ষ ১৪২৭

স্বাগত নববর্ষ ১৪২৭
চারুকলা অনুষদের এবারকার পোস্টার থেকে নেয়া ছবি

সুভাষ মুখোপাধ্যায় তার একটি কবিতায় লিখেছেন— ফুল ফুটুক আর নাই ফুটক আজ বসন্ত। পঙক্তিগুলো যেমন ফাল্গুনে উৎসবপ্রিয় বাঙালির কাছে প্রবাদপ্রতীম। ঠিক তেমনই রবি ঠাকুরের লেখা ‘এসো হে বৈশাখ’ গানের মধ্য দিয়ে নতুন বাংলা নববর্ষ বরণ করে নেয়াও বাঙালির জাতি একটি চিরন্তন রীতি।

পুব দিগন্তে সূর্য উঠার মধ্য দিয়ে শুরু হয় বাংলা নববর্ষের আনুষ্ঠানিকতা। কিন্তু বৈশ্বিক কোভিড-১৯ এর মহামারি কারণে এবার নেই সূর্য উঠার মুহূর্তে কোনও আনুষ্ঠানিকতা।

কোডিভ-১৯ এর প্রাদুর্ভাব রোধে সামাজিক দূরত্ব বজার রাখা স্বার্থের দেশে কোথাও আয়োজন নেই বর্ষবরণ অনুষ্ঠান নেই। রমনার অশত্থমূলে (বটমূল নয়) ছায়ানটের বর্ষবরণের প্রভাতী অনুষ্ঠান ও চারুকলার মঙ্গলশোভাযাত্রা বর্ষবরণে প্রধান আয়োজন। কিন্তু এবার তাও হচ্ছে বাতিল করা হয়েছে ছায়ানটের প্রভাতী আয়োজন ও চারুকলা অনুষদের মঙ্গলশোভাযাত্রা।

বাংলাদেশসহ বিশ্বের বাঙালি কোভিড-১৯ এর মহামারি থেকে সহসা মুক্তির প্রত্যাশা নিয়েই মঙ্গলবার (১৪ এপ্রিল) ভোরে সূর্য উঠার মধ্য দিয়ে সূচনা হলো নতুন বছরের। শুভ বাংলা নববর্ষ ১৪২৭।

পহেলা বৈশাখে বর্ণিল উৎসবে মেতে ওঠার কথা ছিল এবারও। সকালে ভোরের প্রথম আলো রাঙিয়ে দেয় নতুন স্বপ্ন, প্রত্যাশা আর সম্ভাবনাকে। রাজধানীজুড়ে থাকার কথা মঙ্গলশোভাযাত্রা নিয়ে বর্ষবরণের নানা আয়োজন। কিন্তু বাংলাদেশসহ সারাবিশ্বে এখন চলছে করোনাকাল। মানুষের পৃথিবীতে এখন চলছে অনিশ্চিত সময়।

এর আগে কোভিড-১৯ ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে পহেলা বৈশাখের সমাগমের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সরকার। সারাদেশে গত ২৬ মার্চ থেকে সাধারণ ছুটি চলছে। এটা ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়েছে। এবার তাই কোনও রকম আনুষ্ঠানিকতা ছাড়াই নতুন বাংলা বর্ষকে বরণ করে নেয়া হবে।

ছায়ানটের প্রভাতী অনুষ্ঠান ● ফাইল ছবি

ঐতিহ্যবাহী রমনার অশত্থমূলে (বটমূল নয়) হচ্ছে না ছায়ানটের প্রভাতী অনুষ্ঠান। তবে সরকারি এবং বেসরকারি টেলিভিশন ও বেতারে নববর্ষের বিশেষ অনুষ্ঠান প্রচার করা হবে। সকাল ৭টায় বাংলাদেশ টেলিভিশনে প্রচারিত ছায়ানটের বিশেষ অনুষ্ঠান।

বাংলা নববর্ষের দিন সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মন্দির বা উপাসনালয়ে না গিয়ে নিজ-নিজ গৃহে অবস্থান করে আনুষ্ঠানিকতা পালনের আহবান জানান হয়েছে। করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট মহামারি পরিস্থিতি বিবেচনা করে সরকারের নির্দেশ অনুযায়ী সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রতি এ অনুরোধ জানানো হয়।

বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণীতে দেশবাসীসহ বাঙালিদের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন।

সোমবার (১৩ এপ্রিল) সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির উদ্দেশে ভাষণে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।

তিনি বলেছেন, যে আঁধার আমাদের চারপাশকে ঘিরে ধরেছে, তা একদিন কেটে যাবেই। বৈশাখের রুদ্র রূপ আমাদের সাহসী হতে উদ্বুদ্ধ করে। মাতিয়ে তোলে ধ্বংসের মধ্য থেকে নতুন সৃষ্টির নেশায়।

প্রধানমন্ত্রী নজরুলের ‘প্রলয়োল্লাস’ কবিতার কয়েকটি পঙক্তি উচ্চারণ করেন— ‘ঐ নতুনের কেতন ওরে কাল-বোশেখীর ঝড়/ তোরা সব জয়ধ্বনি কর/তোরা সব জয়ধ্বনি কর/ধ্বংস দেখে ভয় কেন তোর? / প্রলয় নূতন সৃজন-বেদন/ আসছে নবীন- জীবন-হারা অ-সুন্দরে করতে ছেদন’।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনাভাইরাসের যে গভীর আঁধার আমাদের বিশ্বকে গ্রাস করেছে, সে আঁধার ভেদ করে বেরিয়ে আসতে হবে নতুন দিনের সূর্যালোকে। কবি সত্যেন্দ্রনাথ দত্তের ভাষায় তাই বলতে চাই— ‘মেঘ দেখ কেউ করিসনে ভয়/আড়ালে তার সূর্য হাসে,/হারা শশীর হারা হাসি/ অন্ধকারেই ফিরে আসে।’

কৃষিকাজ ও খাজনা আদায়ের সুবিধার জন্য বাংলা সন গণনার শুরু মোঘল সম্রাট আকবরের সময়ে। হিজরি চান্দ্রসন ও বাংলা সৌর সনের ওপর ভিত্তি করে প্রবর্তিত হয় নতুন এই বাংলা সন।

১৫৫৬ সালে কার্যকর হওয়া বাংলা সন প্রথমদিকে পরিচিত ছিল ফসলি সন নামে, পরে তা পরিচিত হয় বঙ্গাব্দ নামে।

কৃষিভিত্তিক গ্রামীণ সমাজের সঙ্গে বাংলাবর্ষের ইতিহাস জড়িয়ে থাকলেও এর সঙ্গে রাজনৈতিক ইতিহাসেরও সংযোগ ঘটেছে।

পাকিস্তান শাসনামলে বাঙালি জাতীয়তাবাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরি হয় বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের। আর ষাটের দশকের শেষে তা বিশেষ মাত্রা পায় রমনার অশত্থমূলে ছায়ানটের প্রভাতী আয়োজনের মাধ্যমে।

দেশ স্বাধীনের পর বাঙালির অসাম্প্রদায়িক চেতনার প্রতীকে পরিণত হয় বাংলা বর্ষবরণ অনুষ্ঠান।

উৎসবের পাশাপাশি স্বৈরাচার-অপশক্তির বিরুদ্ধে প্রতিবাদও এসেছে পহেলা বৈশাখের আয়োজনে।

এক বিবৃতিতে ছায়ানটের সভাপতি সন্‌জীদা খাতুন বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে বর্তমান মহামারিতে বিশ্বজুড়ে অগণ্য মানুষের জীবনাবসান ও জীবনশঙ্কার ক্রান্তিলগ্নে ছায়ানট এবারের এ উৎসবের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করেছে- ‘উৎসব নয়, সময় এখন দুর্যোগ প্রতিরোধের’।

সন্‌জীদা খাতুন বলেন, ‘পাকিস্তানি আমলের বৈরী পরিবেশে বাঙালির আপন সত্তার স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষা আর মানবকল্যাণের ব্রত নিয়ে ১৯৬১ সালে ছায়ানটের জন্ম। এই সংগঠন আজন্মই সমাজের প্রতি দায়বদ্ধ। লক্ষ্য অর্জনে ১৯৬৭ সাল থেকে প্রতিবছর রমনার অশত্থমূলে পহেলা বৈশাখের ভোরে বাংলা নববর্ষকে স্বাগত জানিয়ে আসছে এই সংগঠন। ১৯৭১ সালে দেশকে শত্রুমুক্ত করার সশস্ত্র সংগ্রামের সময় ছাড়া আর কখনও বন্ধ হয়নি রমনার অশত্থমূলে পহেলা বৈশাখ উদযাপন।

তিনি আরও বলেন, করোনাভাইরাসের আক্রমণে বিশ্বমানব আজ বিপর্যস্ত। বিনা যুদ্ধে আত্মসমর্পণ করে না মানবজাতি। লড়াই চলছে, পাশাপাশি চলছে বিপন্ন মানবসমাজকে জাগিয়ে রাখার, বাঁচিয়ে রাখার অনন্ত প্রয়াস। এই জীবনযুদ্ধে মনোবল অটুট রাখা অনিবার্য। তাই নতুন বঙ্গাব্দকে স্বাগত জানানো এখন আর উৎসব নয় বরং জীবনযুদ্ধ জয়ের শপথ। তাই পিছু না হটে নববর্ষ বরণে ছায়ানট আয়োজন করেছে উজ্জীবনী সুরবাণীর।

১৯৮৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউটের উদ্যোগে বের হয় প্রথম মঙ্গলশোভাযাত্রা। যা ২০১৬ সালের ৩০ নভেম্বর ইউনেস্কো এ শোভাযাত্রাকে বিশ্ব সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের মর্যাদা দেয়।

বর্তমান পরিপ্রেক্ষিতে নববর্ষ উদযাপন পরিণত হয়েছে বাংলাদেশের সার্বজনীন উৎসবে। পহেলা বৈশাখের ভোরে সূর্যোদয়ের সঙ্গে-সঙ্গে নতুন বছরকে স্বাগত জানানোর আয়োজনে মেতে ওঠে সারাদেশ।

পহেলা বৈশাখ বাঙালি সংস্কৃতির প্রধান উৎসব উল্লেখ করে ফোকলোরবিদ অধ্যাপক শামসুজ্জামান খান বলেন, বাংলা নববর্ষে মহামিলনের আনন্দ উৎসব থেকেই বাঙালি ধর্মান্ধ অপশক্তির কূট ষড়যন্ত্রের জাল ভেদ করবার আর কুসংস্কার ও কূপমণ্ডুকতার বিরুদ্ধে লড়াই করবার অনুপ্রেরণা পায় এবং জাতি হয় ঐক্যবদ্ধ।

তিনি বলেন, নতুন বছর মানেই এক নতুন সম্ভাবনা, নতুন আশায় পথ চলা। বুকভরা তেমনি প্রত্যাশা নিয়ে নতুন উদ্যমে ও চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে জাতি আরও সোচ্চার হবে সাম্প্রদায়িক অপশক্তি মৌলবাদ ও জঙ্গি নিধনের দাবিতে।

সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ বলেন, বাংলাদেশসহ বিশ্বের বাঙালি কোভিড মহামারি থেকে সহসা মুক্তির প্রত্যাশা নিয়েই নতুন বছরকে বরণ করে নেবে কোনও আনুষ্ঠানিকতা ছাড়া।

শুধু বাংলাদেশ নয়, সারাবিশ্ব আজ স্তব্ধ অবরুদ্ধ কোভিড-১৯ ঠেকাতে। দেশে দেশে চলছে লকডাউন। দেশে চলছে সাধারণ ছুটি। অঘোষিত লকডাউনে থমকে গেছে জীবনের সব ব্যস্ততা। শঙ্কা আর মন খারাপ করা এ সময়ে তাই পহেলা বৈশাখে বাঙালির প্রাণের উৎসব এবার হচ্ছে না। উৎসবপ্রিয় মানুষকে ঘরের বাইরে এনে বিপদের মুখে না ফেলার জন্য এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আয়োজকরা।

মঙ্গলশোভাযাত্রা ● ফাইল ছবি

পহেলা বৈশাখ উদযাপনের সবচেয়ে বর্ণিল আয়োজনটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’। আগেই জানা ছিল সেটি এবার হচ্ছে না। তবে ‘ডিজিটালি’ মঙ্গলশোভাযাত্রার একটি পোস্টার তৈরি করে তার মাধ্যমে দেশবাসীকে নববর্ষের শুভেচ্ছা জানানো হচ্ছে। যাতে সব ভয়ের বিপরীতে মানুষের জয়গানের কথা উল্লেখ করছে চারুকলা অনুষদ।

কালো রঙের পোস্টারটির একেবারে ওপরে লেখা বৈশাখ ১৪২৭। এর নিচে লেখা ‘মানুষ ধ্বংস হতে পারে, কিন্তু মানুষ পরাজিত হয় না’। আর্নেস্ট হেমিংওয়ের বিশ্বখ্যাত বই ‘দ্য ওল্ড ম্যান অ্যান্ড দ্য সি’ থেকে উদ্ধৃতিটি নেয়া হয়েছে। যার ব্যাখায় উল্লেখ করা হয়েছে— ‘এই বৈশিষ্ট্যের কারণেই মানুষ সেরা। বর্তমানের এই সঙ্কট থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য সর্বশক্তি নিয়ে লড়াই চালিয়ে যেতে হবে এবং শেষ পর্যন্ত মানুষ জয়ী হবেই।’

এর নিচে নীলাভ রঙের বৃত্তের চারপাশে প্রস্ফূটিত ফুল অঙ্কিত রয়েছে। যার মাধ্যমে চারুকলা বার্তা দিচ্ছে আবারও পৃথিবী জেগে উঠবে ফুলের মতো করে। এর নিচেই এবারের মঙ্গল শোভাযাত্রার মূল প্রতিপাদ্য ‘মুক্ত করো ভয়, আপনা মাঝে শক্তি ধরো, নিজেরে করো জয়’। কবিগুরুর এ পঙক্তিটিই এবারের মঙ্গল শোভাযাত্রার বার্তা।

চারুকলা অনুষদের ডিন নিসার হোসেন বলেন, প্রতিবছরই আমরা পোস্টার করি। এবারও করেছি। তবে সেটা প্রতিপাদ্যের ব্যাখ্যাসহ। প্রতিবার প্রতিপাদ্যটি আমরা নানা মোটিভের মাধ্যমে তুলে ধরি। এবার সেটি হবে না বলে এ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

কোভিড-১৯ এর কারণে স্থগিত হয়েছে চ্যানেল আই ও সুরের ধারার যৌথ আয়োজনে অনুষ্ঠান ‘হাজার কণ্ঠে বর্ষবরণ’সহ প্রতি বছরের কিছু নিয়মিত অনুষ্ঠান। তবে করোনাকালের এই দুঃসময়ে ঘরবন্দি মানুষকে সুস্থ বিনোদন দিতে নিয়মিত দারুণ সব অনুষ্ঠান প্রচার করছে চ্যানেল আই। পহেলা বৈশাখ উপলক্ষেও হচ্ছে না ব্যতিক্রম। সেই সঙ্গে যোগ হচ্ছে বিশেষ আয়োজন।

হাজার কণ্ঠে বর্ষবরণ ● ফাইল ছবি

চ্যানেল আইয়ের বৈশাখের বিশেষ আয়োজনে থাকছে সংস্কৃতিক বিষয়ক মন্ত্রণালয় আয়োজিত বিশেষ অনুষ্ঠান ‘এসো হে বৈশাখ’। বৈশাখ উপলক্ষে অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এবং সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী শুভেচ্ছা বাণী দিয়েছেন।

ইমপ্রেস টেলিফিল্মের কারিগরি সহায়তায় অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেছেন ইজাজ খান স্বপন।

এ অনুষ্ঠানের একটি বিশেষ পর্বে অংশ নিয়েছেন ড. নুজহাত চৌধুরী। অনুষ্ঠানে সঙ্গীত পরিবেশন করেছেন রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা, ইয়াসমিন মুশতারী, সাদী মহম্মদ, সামিনা চৌধুরী ও শফি মণ্ডল। আবৃত্তি করেছেন আসাদুজ্জামান নূর। অনুষ্ঠানটি চ্যানেল আইতে দেখানো হবে সকাল ৮ টা ৩০ মিনিটে।

বৈশাখের অনুষ্ঠানমালায় চ্যানেল আইতে এদিন আরও প্রচার হবে সকাল ৬ টায় ধারণকৃত অনুষ্ঠান অনুষ্ঠান ‘বর্ষবরণ ১৪২৭’। বেলা ১১ টা ৫ মিনিটে রয়েছে নাসির উদ্দীন ইউসুফের উপস্থাপনায় অনুষ্ঠান ‘এই বৈশাখে’। পরিচালনা করেছেন জামাল রেজা।

এদিন দর্শকরা উপভোগ করতে পারবেন বাংলা চলচ্চিত্রের ইতিহাসে সাড়া জাগানো দুই ছবি মনপুরা ও হঠাৎ বৃষ্টি।

গিয়াসউদ্দিন সেলিম পরিচালিত ছবি মনপুরায় অভিনয় করেছেন চঞ্চল চৌধুরী ও ফারহানা মিলি। দুপুর ৩টা ৫ মিনিটে দেখানো হবে ছবিট। সন্ধ্যা ৭টা ৫০ মিনিটে দেখানো হবে বাসু চ্যার্টাজীর সিনেমা ‘হঠাৎ বৃষ্টি’। ছবিতে প্রথমবার জুটি বেঁধে অভিনয় করেন চিত্রনায়ক ফেরদৌস ও প্রিয়াঙ্কা। 

বাংলাদেশ টেলিভিশন, বাংলাদেশ বেতার সহ বেসরকারি টিভি চ্যানেল ও এফএম রেডিও স্টেশন রেকর্ড করা অনুষ্ঠা প্রচার হবে। সীমিত আকালে ক্রোড়পত্র বের করবে জাতীয় দৈনিকগুলো।

এসএমএম

আরও পড়ুন