• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুলাই ১৯, ২০২০, ১২:৩৫ এএম
সর্বশেষ আপডেট : জুলাই ১৯, ২০২০, ০১:১৩ এএম

হুমায়ূন আহমদের অষ্টম মৃত্যুবার্ষিকী

রয়েছ নয়নে নয়নে

রয়েছ নয়নে নয়নে
হুমায়ূন আহমেদ ( ১৩ নভেম্বর ১৯৪৮ ।। ১৯ জুলাই ২০১২ )

জননন্দিত কথাশিল্পী হুমায়ূন আহমেদের অষ্টম মৃত্যুবার্ষিকী আজ।  ২০১২ সালের এই দিনে (১৯ জুলাই) হুমায়ূন আহমেদ ঢাকা থেকে বহু দূরে নিউ ইয়র্কের বেলভিউ হাসপাতালে শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। চার দিন পর হুমায়ূনকে ভালোবাসার অর্ঘ্য দেন লাখো মানুষ। পরদিন ২৪ জুন নুহাশপল্লীর লিচুতলায় সমাহিত করা হয় এ দেশের ইতিহাসের সবচেয়ে জনপ্রিয় এ লেখককে।

করোনার মহামারীর মধ্যে সীমিত পরিসরে মৃত্যুর অষ্টম বার্ষিকীতে হুমায়ূনতীর্থ নুহাশপল্লীতে নামবে ভক্ত-অনুরাগী ও সাধারণ দর্শনার্থীর ঢল।

হুমায়ূন আহমেদ ১৯৪৮ সালের ১৩ নভেম্বর নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া উপজেলার কুতুবপুরে জন্মগ্রহণ করেন। তার ডাক নাম কাজল। বাবা একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে শহীদ পুলিশ কর্মকর্তা ফয়জুর রহমান আহমেদ ও মা আয়েশা ফয়েজের প্রথম সন্তান তিনি। তিন ভাই দুই বোনের মধ্যে তিনি সবার বড়। খ্যাতিমান লেখক, অধ্যাপক মুহম্মদ জাফর ইকবাল তার ছোট ভাই। সবার ছোট ভাই আহসান হাবীব নামকরা কার্টুনিস্ট ও রম্য লেখক।

১৯৭২ সালে প্রথম উপন্যাস ‘নন্দিত নরকে’ প্রকাশের পরপরই হুমায়ূন আহমেদের খ্যাতি ছড়িয়ে পড়ে। তার লেখা উল্লেখযোগ্য উপন্যাসের মধ্যে রয়েছে— শঙ্খনীল কারাগার, শ্রাবণ মেঘের দিন, জোছনা ও জননীর গল্প, কবি, লীলাবতী, গৌরীপুর জংশন, এইসব দিনরাত্রি। তার পরিচালিত চলচ্চিত্রের মধ্যে রয়েছে— আগুনের পরশমণি, শ্যামল ছায়া, শ্রাবণ মেঘের দিন, ঘেটুপুত্র কমলা ইত্যাদি। টিভি নাট্যকার হিসেবেও তিনি ছিলেন জনপ্রিয়। আশির দশকের মাঝামাঝি তার প্রথম টিভি নাটক ‘এইসব দিনরাত্রি’ তাকে এনে দেয় ব্যাপক জনপ্রিয়তা।

বাংলা সাহিত্যে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি একুশে পদক, বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, বাচসাস পুরস্কারসহ বহু পুরস্কার পেয়েছেন।

কেএপি