• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১৫, ২০২০, ০৬:০৯ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : ডিসেম্বর ১৫, ২০২০, ০৬:০৯ পিএম

বাংলাদেশ

বাংলাদেশ

যেদিকেই তাকাই―
চতুর্দিক একদিক হয়ে বিঁধে যায় চোখের নক্ষত্রপুঞ্জে
বেলিফুল নিয়ে উড়ে যায় বাবুই পাখির মা।

এইখানে ফসলের ভেতর ফসিল খুঁজে 
আয়তাকার মাত্রায় সৌদির পিঙ্গল বোমারু বিমানে ঈমান আনে 
সিরিয়ায় পা হারানো এক মুসলিম শিশু।

মানুষের মতো আর কোনো মাদারচোদ নেই―এমন ঘোষণা দিয়ে
এক নারী তার জলা থেকে ফলা নিয়ে ঢুকিয়ে দিয়েছে কলাগাছের পেটে।

একটা সুনসান আকাশমনি গাছ―যে নেতৃত্ব দিতে চেয়েছিল
সবুজ প্রান্তরে―সে এখন পাহারা দ্যায় লাল রক্তের দাগ 
যুদ্ধ বোঝে না—এমন এক গর্ভবতী নারীর।

বাংলায় বিচ্ছিন্নতাবাদী হতে হতে যারা 
মুক্তিযোদ্ধা হয়ে গেল―তাদের নাম খোদাই প্লেট খুঁজে ফিরছে ভিক্ষার বাজার। 
যাদের হাতে সন্দেহের সনদ তারাই বাজাচ্ছে রাষ্ট্রের সিংহাসন।

বাবা। আমি আজও অন্ধ। ত্রিবিধ মনোপলি বুঝে নিতে গিয়ে 
হারিয়ে ফেলেছি চে গুয়েভারাকে।
বিপ্লব―আকাশের কপালে সূর্য হয়ে টিপ নিয়ে আছে।

এদিকে শহরগুলো শহীদ কাদরীকে চেনে না
রবীন্দ্রনাথকে গালি দ্যায়, রুদ্র্র, স্লোগানে ভেসে ভেসে যুগোস্লাভিয়াকে 
শীতল করে। সোনালি কাবিন ছাড়া আল মাহমুদও কবি নয়।

ভারত-বাংলাদেশের এক নিরপেক্ষ নদী
কাঁদতে কাঁদতে তোমার কাছে এসে পত্রিকার কাটিং দ্যাখায় 
জানতে চায়―কেন তাকে ভিসা নিয়ে যাতায়াত করতে হয় এপার-ওপার।

মানুষ আসলে কবি নয় কখনো
কবিরা মানুষ হয় না কখনো
কবি মানে সেই পরাবাস্তব ধাঁধা—
কোনো ক্রেতা না থাকলেও যে দিস্তার পর দিস্তা রুটি ভেজেই 
যায় আরিচাঘাটে।

এমনই এক কবি―শেখ মুজিব
তার একটাই কবিতা―জয় বাংলা 
অথচ মুজিবও পৃথিবীর বাগানে হতে চেয়েছিলেন ছায়াধারী বৃক্ষমুঞ্জিকা 
একটা বৃক্ষ দিয়ে তো আর বাগান হয় না!

মায়ের নাম নিয়ে ছেঁড়া শাড়িতে শুয়ে আছে হতভাগিনী বাংলাদেশ।