আলমগীর কবিরের মৃত্যুবার্ষিকীতে (২০ জানুয়ারি) তাঁর জীবন ও কাজের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে লেখাটি শুরু করছি। তাঁর লেখাপত্র খণ্ডে খণ্ডে প্রকাশের একটা আয়োজন কিছুদিন হলো শুরু হয়েছে। প্রথম খণ্ড প্রকাশিত হয়েছিলো ২০১৮ সালে,'চলচ্চিত্র ও জাতীয় মুক্তি' শিরোনামাঙ্কিত হয়ে। বইটি পাঠ করে কবির রচনাবলীর ধারাবাহিক প্রকাশে ভালোবাসার তীব্রতা, সম্পাদকসমবায়ের অনুসন্ধানী মন,গবেষকের তৎপরতা এবং নির্মোহ ইতিহাসবিবৃতি- এই চার উৎকৃষ্ট গুণাবলীর একত্র সমাবেশ দেখে নিশ্চিত হয়েছিলাম। কেন না, এ জাতীয় অধিকাংশ বাংলা প্রকাশনাসমূহ তো মহাফেজখানার সৌন্দর্য থেকে বঞ্চিত, রচনার 'আর্কাইভ্যাল ভ্যালু' সম্পর্কে উদাসীন৷ এই উদাসীনতার পাপের মোচনপ্রচেষ্টা দেখে আনন্দ হয়েছিলো। এবং অপেক্ষায় ছিলাম পরবর্তী খণ্ডটির। বেশ কয়েক বছর ধরেই এই খণ্ডের প্রস্তুতির সন্দেশ, অগ্রগতি কর্ণগোচর হচ্ছিলো। অবশেষে কিছুদিন পূর্বে বইটির প্রকাশপূর্ব পাঠের একটি বিরল সু্যোগ পেয়েছিলাম।
১৯৮৪ সালে বাংলা একাডেমি হতে 'দিজ ওয়াজ রেডিও বাংলাদেশ ১৯৭১' প্রকাশিত হয়৷ স্বয়ং তাজউদ্দীন আহমদ কর্তৃক দায়িত্বপ্রাপ্ত হয়ে উক্ত বছরের ১৫ জুন থেকে ৩০ নভেম্বর তিনি যে ইংরেজি কথিকা পাঠ করেছিলেন এ বই তাঁর নির্বাচিত সংকলন। এতে একাশিটি কথিকা আছে। ইংরেজি বইটির বাংলা অনুবাদ 'শুনছেন স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র ১৯৭১' শিরোনামে আলমগীর কবির রচনাসংগ্রহের দ্বিতীয় খণ্ড হিসেবে প্রকাশিত হয়েছে৷
বইয়ের লেখক আলমগীর কবিরের ছোট বোন বেগম মমতাজ হোসেনের জবানিতে আমরা পড়ছি : 'মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে আমার বড় ভাই আলমগীর কবির সবসময় রেডিও শুনতেন। স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের বাংলা ঘোষণা শুনে শুনে তিনি অস্থির হয়ে পড়তেন। বারবার বলতেন, এ খবর শুধু বাংলায় প্রচার করলে চলবে না, সারা পৃথিবীর মানুষের কাছে পৌঁছানোর জন্য চাই ইংরেজি অনুষ্ঠান৷ ইংরেজি অনুষ্ঠানের জন্য আলমগীর কবির নিজেকে যথেষ্ট যোগ্য মনে করতেন৷' একবার স্থলপথে মুজিবনগর পাড়ি দিতে গিয়ে হানাদার বাহিনীর গুলি লাগলো পায়ে, সেবার বিফল হলেন৷ কিন্তু হাল না ছেড়ে পরে জুন মাসে ঢাকা থেকে লন্ডন যাওয়ার নাম করে ব্যাংকক নেমে সেখান থেকে ভারত যান৷ আহমেদ চৌধুরী নামে তিনি স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের ইংরেজি অনুষ্ঠান পরিচালনা করতেন যাতে তাঁর পরিবারের লোকদের কোনো দুর্বিপাকে পড়তে না হয়। এসব তথ্যও আমরা ছোটো বোনের জবানিতেই পাই৷
'প্রবেশিকা' পাঠে আমরা জানতে পারি: '১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে শরিক হওয়ার পেছনে আলমগীর কবিরের দীর্ঘদিনের প্রস্তুতি ছিল। আলজেরিয়া, ফিলিস্তিন প্রভৃতি দেশের জাতীয় মুক্তিসংগ্রামে তিনি অংশ নিয়েছিলেন। ষাট দশকের গোড়া থেকেই সরাসরি জড়িত ছিলেন পূর্ব বাংলার জাতীয় মুক্তির আন্দোলনে। তাঁকে তাই বাঙ্গালি মধ্যবিত্ত বুদ্ধিজীবী সমাজের আর পাঁচজনের মত দোটানায় কিংবা দ্বিধা আর দোলাচলে ভুগতে হয় নাই।' আমি ভাবছি, ১৯৩৭ সালের ১৩ ডিসেম্বর জন্মে ১৯৮৯ সালের ২০ জানুয়ারি- বায়ান্ন বছরের অল্প কয়েক দিনের বেশি আয়ুর জীবনে কতো কিছুই না করেছেন তিনি! পদার্থবিজ্ঞানের স্নাতক অক্সফোর্ডে গেলেন ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে। সেখানে ইংমার ব্যারিম্যানের 'সেভেন্থ সিল' দেখে চলচ্চিত্রের প্রেমে পড়েন৷ চলচ্চিত্রের ইতিহাস, কলকব্জা বিষয়ে একাধিক প্রশিক্ষণ কর্মশালা করেন। লন্ডনে তিনি ইস্ট পাকিস্তান হাউস এবং ইস্টবেঙ্গল লিবারেশন ফ্রন্ট গড়ে তোলেন। যে কোনো ধরনের জাতিগত বৈষম্য বিষয়ে সোচ্চার ছিলেন তিনি। ঊনত্রিশের উজ্জ্বল তরুণ, ১৯৬৬ সালে দেশে ফিরলেন৷ কবিরের স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের সহকর্মী কামাল লোহানীর ভাষ্যে আমরা পড়ছি : 'লন্ডনে লেখাপড়া করার সময় তিনি ব্রিটেনের কমিউনিস্ট পার্টির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন এবং দলের মুখপত্র 'ডেইলি ওয়ার্কার' পত্রিকায় সাংবাদিক হিশাবে যোগ্যতার সাথে কিছুদিন কাজও করেছেন৷ সেই অভিজ্ঞতা তাঁকে পূর্ব পাকিস্তানে ফিরে আসার পর ইংরেজি সাপ্তাহিক 'দি এক্সপ্রেস' প্রকাশে সাহসী করেছিল। ট্যাবলয়েড আকারের পত্রিকাটির চমৎকার অঙ্গসজ্জা, বিশ্লেষণাত্মক সংবাদ, ক্ষুরধার সম্পাদকীয় আর প্রতিবেদনের বস্তুনিষ্ঠতা পাঠকদের মুগ্ধ করেছিল। মেধা ও পরিশ্রমের সমন্বয়ে আলমগীর কবির স্বল্পায়ু পত্রিকাটিতে তাঁর সৃজনশীল প্রতিভার স্বাক্ষর রেখেছিলেন।' সলিমুল্লাহ খানের 'উত্তরলেখ' পড়ে আমরা একটি চিন্তাকর্ষক তথ্য পাই: '১৯৬৬ সালে তাঁহাকে পাকিস্তান প্রতিরক্ষা আইনে বন্দি করিয়া কারাগারে পাঠান হয়। ঢাকা শহরের বাহিরে যাইতে পারিবেন না এই শর্তেই কেবল তিন মাস পর তিনি মুক্ত হন। '
স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে তাঁকে পেয়ে ইংরেজি ভাষায় সংবাদ প্রচারের জন্য আলাদা বিভাগ খোলা হয়েছিলো। ইংরেজি বইটির ভূমিকায় লেখক আশা প্রকাশ করেন, ‘... এই সংকলন শুধু যুদ্ধ বিষয়ক জাদুঘরেই জমা থাকবে না, বরং বিপ্লবী রণকৌশলে আগ্রহী শিক্ষার্থীদেরও কাজে লাগবে।’
'বিপ্লবী রণকৌশল' শব্দ দুটির দিকে আমি ক্ষুদ্র নিবন্ধটির পাঠিকাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই৷ স্মরণ করতে চাই, ভিন্ন একটি প্রসঙ্গ। ভিন্ন কিন্তু জরুরি। 'কথা' পত্রিকার অকালপ্রয়াত সম্পাদক কামরুজ্জামান জাহাঙ্গীর আরেক স্বল্পায়ু লেখক শহীদুল জহিরের এক সাক্ষাৎকার নেন। সেখানে জহিরকে তিনি প্রশ্ন করেছিলেন, মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ব্যর্থতা কী? উত্তর পেলেন একটি সংক্ষিপ্ত অথচ ঘন বাক্যে—‘প্রগতিশীলরা বিভক্ত, প্রতিক্রিয়াশীলরা একত্রিত।‘ স্মৃতি থেকে উদ্ধার করলেও বক্তব্যের সারমর্ম এটুকুই। সত্যতর অর্থে, বিপ্লব করবার কথা ছিলো যাদের তাঁরা পঞ্চাশ বছর ধরে রণনীতি আর রণকৌশল নির্ণয় করতে করতে, রাষ্ট্রচরিত্র ঠিক করতে করতে রাষ্ট্রের সাথে প্রেম আর করতে পারেননি এবং সে কারণেই রাষ্ট্র চরিত্রহীন হয়ে গেলো, মুক্তিযুদ্ধের স্বপ্ন এল ডোরাডোর মতো স্বপ্নই থেকে গেলো। এইদিক থেকে আলমগীর কবির ব্যতিক্রম। তিনি একজন বিশ্বপথিক কিন্তু মন আমূলপ্রোথিত স্বদেশপ্রেমে, প্রেমটি মোটেও ভাসাভাসা নয়, তিনি সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিকভাবে নিজের শরীর ও মনের সবটুকু সাধ্য দিয়ে যেরকম বিপ্লবী শিল্পীর দায়িত্বের কথা আমরা মার্ক্সীয় সাহিত্যে পড়ে থাকি তার মূর্ত প্রতীক হয়ে উঠেছিলেন। তাঁর মেধা ও রাজনৈতিক প্রজ্ঞার একটি ধারাবাহিক চিত্র আমরা 'দ্বিতীয় খণ্ড' হিসেবে পরিকল্পিত বইতে পাবো।
জাতিসংঘের অথর্বতা, ইয়াহিয়ার মিথ্যা থেকে শুরু করে মুক্তিযুদ্ধকে কেন্দ্র করে বিশ্বের অপরাপর দেশের সম্পর্কের টানাপোড়েন এ বইয়ে কবিরের উইটি ও হিউমারসমৃদ্ধ ভাষায় পরিবেশিত। যেমন পাকিস্তানের শেষ বাজেট করেন এম এম আহমদ৷ সে প্রসঙ্গে তিনি লিখছেন: ' ছয়শ কোটি রুপির অলীক রাজস্ব উৎস থেকে তিনশ কোটি রুপি খরচ দেখিয়ে যে বাজেট করা হচ্ছে তা পাকিস্তানের জন্য করা এম এম আহমদের শেষ বাজেট- এ কথা নিশ্চিতভাবে বলা যায়। এই বাজেটের পর অর্থনীতিবিদ হিশাবে তাঁর আর কোন গ্রহণযোগ্যতা থাকবে না৷ অবশ্য এই আখেরি কম্মটি সম্বল করে তিনি নিজেকে একজন কথাশিল্পী হিশাবে প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করতে পারেন৷ সেই চেষ্টায় তিনি সফলও হতে পারেন।’ প্রবল আশাবাদী লেখক মুক্তিযুদ্ধের ফলে সাম্প্রদায়িকতা উবে যাওয়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন: ‘প্রশ্ন উঠতেই পারে, সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমান অধ্যুষিত বাংলাদেশ যখন স্বাধীন দেশ হিশাবে আবির্ভূত হবে তখন কি আবার সাম্প্রদায়িকতা মাথানাড়া দিয়ে উঠবে? উত্তর: না, উঠবে না। কারণ মুক্তিসংগ্রামের মধ্য দিয়ে সমাজের ভিত্তিমূলে স্থাপিত অর্থনৈতিক দ্বন্দ্বের বেশ অনেকটাই উপড়ে ফেলা হচ্ছে। নতুন করে শুরু করা ব্যবস্থায় সামর্থ্য আর প্রয়োজনই হবে অর্থনৈতিক সম্পদ বন্টনের একমাত্র মাপকাঠি। নতুন রাষ্ট্রগঠন প্রক্রিয়ায় ধর্মীয় পরিচয় কিংবা ২৫ মার্চের আগে জারি থাকা সমাজব্যবস্থার কোন যোগ থাকবে না।’ আশাবাদটি সুন্দর এবং পবিত্র। ভবিষ্যদ্বাণী যে সুফলা হলো না, সে না-হওয়ার মূলেই লুকিয়ে আছে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের অর্জনের সম্যক বিফলতার মূল রহস্য।
একজন অনুভবী পাঠিকা, মুক্তিযুদ্ধের পূর্বাপর সম্পর্কে উৎসুক পাঠিকা বইটির যতো গভীরে প্রবেশ করবেন দেখতে পাবেন মুক্তিযুদ্ধের গতিপ্রকৃতির সাথে বদলে যাচ্ছে লেখকের শব্দচয়ন। কখনো কখনো তিনি উত্তেজিত হয়ে উঠছেন, সে উত্তেজনার ছাপ পড়ছে ভাষাতেও, নিয়াজি সম্পর্কে লিখছেন : 'গর্দভটা মুক্তিসেনাদের মাথার নগদ দাম ঘোষণা করেছে। বুদ্ধির ধাড়িটা এতই বোকার হদ্দ যে বুঝতে পারছে না, খেলা বহুদূর গড়িয়ে গেছে, এসব চালবাজির দিন শেষ। লোকটা যে অঙ্কের হিশাবেও কাঁচা তা সে নিজেই প্রমাণ করেছে। সে বুঝতে পারছে না যে মুক্তিবাহিনীর এক তৃতীয়াংশের মাথার দামও যদি শোধ করতে হয় তাতেই ইসলামাবাদের কোষাগার শূন্য হয়ে যাবে। হয়ত বা সে জানে কাজের বেলায় তাকে একটা পয়সাও পরিশোধ করতে হবে না- কারণ বিদেশি হানাদারদের কাছে একটা মাথাও বিক্রি হবে না। '
পাঁচজন এই বইয়ের ঐতিহাসিক অনুবাদকর্মে যুক্ত ছিলেন। তাঁরা হলেন : আফজালুর রহমান, আরস্তু লেনিন খান, তাহমিদাল জামি, প্রিয়ম প্রীতিম পাল এবং সামসুদ্দোজা সাজেন, আর সম্পাদনায় এই পঞ্চপান্ডবের দুজন আরস্তু লেনিন খান আর তাহমিদাল জামির সাথে যুক্ত হয়েছেন আবুল খায়ের মোহাম্মদ আতিকুজ্জামান। মোদ্দা কথা, ছয়জন কবিরানুরাগী মানুষের ঐকান্তিক শ্রমের ফসল এই গ্রন্থ। ১৯৮৪ সালে প্রকাশিত মূল গ্রন্থের পর ভাষাবদল হতে সময় লাগলো মাত্র ৩৭ বছর, তাতেই বোঝা যাচ্ছে এই গুরুত্বের দিকে দৃষ্টি আকর্ষিত হতে বেলা বয়ে গেছে। বুড়িগঙ্গার জল আরো কৃষ্ণবর্ণ হয়েছে৷ দেরিতে হলেও, অবশেষে সুচারুভাবে সম্পাদিত, যথাযথ টীকাসম্বলিত একটি গ্রন্থ আমাদের হাতে উঠে এসেছে এটি বাংলা বইয়ের পাঠক হিসেবে কম গৌরবের নয়। দামি আর্টপ্লেটে ছাপা অনেকগুলি ছবি বইয়ের সংগ্রহযোগ্যতা বৃদ্ধি করেছে। যেমন ধরা যাক, 'লিবারেশন ফাইটার্স' প্রামাণ্যচিত্রের আদি নাম যে ছিলো 'ফ্রিডম অর ডেথ', সেই শিরোনামের আদি পরিকল্পনার আলোকচিত্র পাঠকেরা দেখার সুযোগ পাবেন৷ কিংবা আহমেদ চৌধুরী ছদ্মনামে বাংলাদেশ সরকার যে পরিচয়পত্র দিয়েছিলেন তার ছবি। ছবিগুলো ভবিষ্যৎ গবেষকদের কাজ অনেক সহজ করে দেবে।
শুরুতে যে কথা বলছিলাম, আমাদের প্রকাশনা জগৎ যে 'আর্কাইভ্যাল ভ্যালু' বিষয়ে উদাসীন, এই গ্রন্থের সম্পাদকমণ্ডলী সে বিষয়ে অত্যন্ত যত্নবান ছিলেন। হৃদয়গ্রাহী প্রচ্ছদের জন্যে আমাদের সকলের প্রিয় শিল্পী শিবু কুমার শীল পাঠকপাঠিকার ভালোবাসায় সিঞ্চিত হবেন, বলাই বাহুল্য। তবে, একটা ছোটো খটকার কথা বলে শেষ করি। যেহেতু আলমগীর কবিরের মূল বইতে 'রেডিও বাংলাদেশ' কথাটি ছিলো এবং এই নাম নিয়েই তাঁর সহকর্মী, সহমর্মী কামাল লোহানী সাহেবের সাথে সঙ্গত দ্বিমত হয়েছিলো সেইজন্যে মনে হলো, ঐতিহাসিকতার খাতিরেই বাংলায়নেও শব্দ দুটি রেখে দিলে ভালো হতো। অবশ্য এটি ব্যক্তিগত অভিমত, কবিরপ্রেমিকের পাঠশেষে এক বিন্দু অতৃপ্তি। তবে বাংলা প্রকাশনার সাম্প্রতিক ইতিহাসে এটি স্মরণীয় হয়ে থাকবে মুদ্রণসৌকর্যে একথাটি না বললেই নয়। এ জন্য প্রকাশক ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ, আগামী প্রকাশনী আর মধুপোককে একত্রে বাংলাভাষাভাষী কবিরপ্রেমিকদের পক্ষ থেকে অভিনন্দন জানাই।